ফেসবুক নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পাচ্ছে বিটিআরসি।
প্রাইমারি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেখানেই চোখ যায়, সেখানেই বন্ধুদের আড্ডা লক্ষ করা যায়। তবে, সেই আড্ডার কাছে গেলেই দেখা যায় প্রত্যেকেই যার যার মত ফেসবুক নিয়ে মশগুল। যার ফলে তাদের মধ্যে জ্ঞানমূলক বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় হচ্ছে না। কিছু সময় পর আড্ডা ভেঙ্গে সবাই উঠেও যাচ্ছে। দেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাঙ্গণেই আজ এই চিত্র।
রবিবার (২৫ মার্চ) কমিশনের সম্মেলন কক্ষে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে টেলিযোগাযোগ সেক্টরের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এমন পরিকল্পনার কথা জানান। এসময় তিনি ফেসবুককে ‘ডিজিটাল আফিম’ ও ‘নেশা’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, ‘ফেসবুক আজ ডিজিটাল কোকেন’ অ্যাডিকশনের মত। যা একবার ঢুকলেই সহজে আর বের হচ্ছে না। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজ প্যাকট্রিক্যালি ইয়ংগার জেনারেশনে খুব একটা ক্রিয়েটিভ হচ্ছে না। আজকে আমি দেখেছি ইয়ংগার জেনারেশনের ভেতরে ম্যাক্সিমাম ব্যবহার করে ফেসবুক চ্যাটিং করার জন্য। এটি কিন্তু ক্রিয়েটিভ ইউজ না।’
ফেসবুককে তরুণদের ঘুম কম ও হতশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘তরুণদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এ আসক্তি ঠেকাতে এখনই সামাজিক বিপ্লব গড়ে তোলা দরকার। এখনই জোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’
ইন্টারনেট ব্যবহারে বিটিআরসির নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সরকার অনুমোদন পেলে এসব ব্যাপারে আমরা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
ইন্টারনেটে ফেসবুক ব্যবহারে ভিন্ন মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রস্তাব করব যেন ইন্টারনেটে ক্রিয়েটিভ ইউজের জন্য কোন বন্দোবস্ত করা যায়। কোন একটা বিশেষ রেইট দেওয়া যায় ফেসবুক ব্যবহারের জন্য, আবার ক্রিয়েটিভ ইউজ যদি করা যায়, তাহলে আরেক রকমের রেইট। তাহলে হয়তবা ফেসবুক ব্যবহার না করে নলেজ আহরণের জন্য চেষ্টা করবে তরুণরা। আর তাতে আমাদের প্রজন্মও সঠিক পথে ফিরে আসবে।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিটিআরসি সচিব মো. সরওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার। এসময় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আলম এবং অ্যামটব মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির প্রমুখ।