।। ফেসবুক সমাচার চতুর্থ পর্ব।। এবারের পর্বঃ বিনয়ের সাথে ক’টি কথা।।

October 22, 2017 2:15 am0 commentsViews: 92

নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।

তারিখঃ ২১ অক্টোবর ২০১৭, সময়ঃ রাতঃ দশটা।

আপনারা যারা আামাকে অত্যধিক ভালবেসে অব্যাহত ভাবে বিভিন্ন Group এ অন্তর্ভুক্ত করে চলেছেন, তাদেরকে এত ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ। তবে সবিনয়ে বলে রাখিঃ আমি Group এ অন্তর্ভুক্তি একদম পছন্দ করি না এবং দেখার সময় মেলে না। তবে অনিবার্য কারণে কোন Group এ অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তা একান্তই হয়ত ইনভাইট ফলো করে আমি নিজেই হব।

দ্বিতীয়তঃ ইনবক্সে আমাকে অনেক আপনজন বার্তা পাঠাচ্ছেন, তাদের সেই বার্তাগুলোর মধ্যে শতকরা দশভাগ বার্তাও আমার দেখার বস্তুতপক্ষে সময় থাকে না। সে ব্যাপারে আমি আমার বন্ধুদের খুব বিণয়ের সাথে নিরুৎসাহিত করছি। অনেক সময় টেলিফোনে ইনফরম না করলে বা ফেসবুক ওয়ালে দখে না জানলে সেসব বার্তা দেখা হয় না। আমি জানি না, এত শত শত বার্তা অন্যরা কিভাবে read করে!

তৃতীয়তঃ আমাকে কোন পোস্ট ট্যাগ করবেন না। ট্যাগ যদি কারও পোস্ট ট্যাগ করতেই হয়, তা ওয়ালে দেখে আমি নিজেই ওয়ালে দেব। এরকম অজস্র ট্যাগ করার কারণে ইউরোপীয় একটি দেশে বসবাসকারী অত্যন্ত সুপরিচিত অনলাইন একটিভিস্ট, সাবেক বাম নেতা (এখন আল্লাহতে বিশ্বাসী, তবে প্রাকিটিসিং মুসলিম নয়। লন্ডন থাকার সময় চেষ্টা করেছিলাম) ও আমার ব্যক্তিগত জীবনে ত্রিশ বছরেরও অধিক কালের মিত্রকে আমি শেষাবধি বিরক্ত হয়ে প্রথমে ’আনফ্রেন্ড’ পরে ‘আনফলো’ করতে বাধ্য হয়েছি। সেজন্য আমি দুঃখও কম পাই নি। আমার সে সেলিব্রিটি অনলাইন একটিভিস্ট ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি দুঃখ পেল কিনা, তা আমি টেলিফোনে একাধিকবার এখান থেকে কথা হলেও জিজ্ঞেস করি নি।

চতুর্থ বিষয়ঃ ফেসবুক বন্ধুদের অনেকই এমন আছে, যাদের উপস্থিতি আমি যদি দীর্ঘদিন উপলব্দি করতে না পারি, তাহলে তাদের বন্ধু তালিকা থেকে আমি খুব সন্তর্পণে বাদ দিচ্ছি। গত এক মাসে এভাবে বেছে বেছে বাদ দিতে পেরেছি, মাত্র ‍৫ থেকে ৬ জন। যাদেরকে বাদ দিয়েছি, তাদের অনেকই আমার ব্যক্তিগত জীবনে মিত্রই বটে। আমি আগের একটি পোস্টে বলেছিলাম, ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্ক এক বিষয়, আর ফেসবুকে সম্পর্ক অন্য বিষয়। আর ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্ক দিয়ে কেউ যদি ফেসবুক বন্ধু হত, তাহলে (আলহামদুলিল্লাহ) প্রায় একশ বছর বয়সী আমার প্রিয় মানুষটি ‘মা-ই তো হত আমার একজন বড় ’ফেসবুক বন্ধু’। এটা ভুলে গেলে চলবে না, ফেসবুক একাউন্ট! এটি আমার নিজস্ব একটি ভুবন।আমি হয়ত কোন সেলিব্রিটিচ নই, কিন্তু আমার এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুক একাউন্ট কিংবা টুইটার একাউন্ট, এখানে আমি রাজাধিরাজ।  Mark Elliot Zuckerberg তো এমন এক ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা ‘আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন’ এর দেওয়া জ্ঞানকে ব্যবহার করে করেছেন, তা নিয়ে এখন জগতজুড়ে মানুষ নামে মাখলুকাতেরা নেশাগ্রস্ত। ব্লু হোয়েল বিশ্বব্যাপী অজস্র গেমপিয়াসী তরুণ তরুণীদের ঘাতক, সে না হয় বুঝলাম। কিন্তু আমি এখন ভাবতে শুরু করেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ‘ফেসবুক’ও আবাল বৃদ্ধ বণিতা- সকল বয়সী ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্য একাট ঘাতক।আমার ব্যক্তিগত জীবনে অন্যসব জ্ঞানের রাজ্যে যথাযথ সমান তালে বিচরণের চেষ্টা করতে খাকলেও আমি কোরআন ও হাদীস অধ্যয়নে কম সময় দিতে পারছি, সে নিয়ে আমি অন্তরে অনেক দুর্বসহ জ্বালা অনুভব করছি।সলাত শেষে সেজন্য আল্লাহর কাছে সাহায্যও চেয়ে যাই। আপনারা যারা সুহৃদ আছেন, তারাও আমসার জন্য প্রার্থনা করবেন। আল্লাহ যেন আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আমার জন্য সামাজিক ব্যাধি’র মধ্যে শামিল না করেন। তবে যে স্বল্প সংখ্যক ফেসবুক বন্ধুকে আমি আনফ্রেন্ড করেছে, তাদের জন্য আমি বরাবরই শাওনের গাওয়া গানটির এ লাইনগুলো নিবেদন করিঃ ”যদি মন কাঁদে/ তুমি চলে এস, চলে এস…”

পঞ্চম বিষয়ঃ অনেকই ইনবক্সে মন্তব্য পাঠান যে, আমার লেখা খুব পছন্দ করেন, তিনি সেটি ইনবক্সে না লিখে ফেসবুক ওয়ালে লেখাটাই কি যথার্থতা নয় কি?

ষষ্ঠ বিষয়ঃ অনেকই আমার লেখা পছন্দ করে বা কখনও ফেসবুক বন্ধুটিকে ভালবেসে ফেসবুক বন্ধু’র জন্য রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমি ধীরগতিতে হলেও তাদের আমার ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, তা নির্দ্বিধায় বলে যেতে পারি। অনেককে অনেকদিন পর হলেও একমডেট করে নিয়েছি, ইতোমধ্যেই। কিন্তু যারা ফ্র্যান্ডশিপ রিকোয়েস্ট পাঠান, তাদের নাম ও তাঁর ব্যক্তিগত তথ্যাদি যথাযথ ভাবে প্রফাইলে লেখা দেখতে না পেলে আমি তা এড়িয়ে যেতেই চেষ্টা করি। তবে অনেকের নাম দেখে আমি বিস্মৃতই হই। যেমন দেখি, একজনের নামঃ একজন ফেসবুক বন্ধু হতে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে, তার নাম দেখলাম-’মেঘলা আকাশ’, আরেকজনের নামঃ কতদিন দেখি না তোমায়, অন্য একজনঃ স্বপ্ন ছোঁয়া আকাশ, অন্যজনের নামঃ Right Way, তিনি তাঁর নাম দিলেন, রাইট ওয়ে। অথচ নামটিতে রাইট ওয়ে’র কিছু নেই। এভাবে কত বলবঃ একজনের নাম হল – জিয়া’র সৈনিক। ইত্যাদি।

সপ্তম বিষয়ঃ ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককে দেখি, লাইক পেতে খুব মরিয়া। তবে একটা কথা শুনুন, লাইক পেতে মরিয়া হয়ে কোন কাজ নেই। আপনি গরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর কাছে, বা আপনার Target Group এর কাছে আপনার বার্তা পৌঁছাতে পারছেন কিনা, সেটি নিয়েই বিশেষ করে ভাবুন। বেশির ভাগ পাঠকের কাছে অবশ্য সেটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য হল, পাঠকের এ নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া, তা জানতে নিশ্চয়ই প্রয়োজন যাদের মাঝে আপনার পোস্ট শেয়ার করেছেন, তাদের অংশগ্রহণমূলক একটিভিটি অর্থাৎ লাইক, সেড, ইত্যাদি প্রতিক্রিয়া ছাড়াও ক’টি লাইনের মন্তব্য, এসব না হলে কিভাবে লেখক বা পোস্টদাতা বুঝবে এর চাহিদা কতটুকু আছে? এক্ষেত্রে একজন সোশ্যাল রিসার্চার হিসেবে আমি যতটুকু স্টাডি করেছি, তা এখন বলি। আমার এসব বলা কথা শুধু আমার জন্য কিন্তু নয়। ব্যক্তির প্রয়োজনে আমার মত এত ব্যস্ত মানুষটি নিশ্চয়ই এত সময় দিয়ে এ বড় লেখা লিখব না, সেটি আমি আপনাদের সকলকে হলফ করে বলতেই পারি। শুনুন তাহলে, সাধারণত অনেক লেখাতেই আপনি দেখবেন, সে লেখাটি যদি জাতীয় রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ইস্যু হয়, তা অনেকই অনেক কারণে অংশ নেয় না । কারও লেখা পছন্দ হলেও তিনি ভয়ে জড়সড়, সেজন্য তিনি আপনার লেখা পড়ে যাবেন। অথচ মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন। আবার অনেক সময়, তিনি এ রাজনৈতিক বক্তব্যের সাথে আদতেই একমত নয়। কোনরকম বিতর্ক এড়াতে তিনিও সেটি কোন রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা থেকে বিরত হন।আবার অনেকই আছেন, যারা আপনার লেখালেখি’র জগতে আপনার সুনিপুণ পদচারণায় অনেকটা মনের অজান্তেই কেমন যেন একটা বিদ্বেষ পোষণ, হিংসা হয়-’হায়! আমি যে নরাধম, অত সুন্দর করে নিজের লেখাকে লাবন্যময় করে তুলতে পারি না।’ মনে মনে বদ্বমূল বিশ্বাস নিন, তিনি নির্ঘাত আপনাকে উৎসাহ প্রদান থেকে বিরতই থাকবেন। ও হ্যাঁ, নারীকুল এর মধ্যে কোন লাস্যময়ী রমণী যদি একটা পোস্ট দেয়, কোন কবিতা’র মত করে দু’টি লাইন তার ফেসবুক ওয়ালে ছেড়ে দেয়, সেটিতে এক শ্রেণির পাঠককুল সানন্দে গ্রহণ করে, সে পোস্ট যদি কিছু প্রেমের তাড়না, ব্যাকুল কোন অনুভূতি’র হয়ে থাকে, তাহলে তো কথা নেই, হুমড়ি খেয়ে পড়তে চায় তারা। অনেক সময় এমনও হয়, সে পোস্টদাতাকে কাছে  না পেয়ে যন্ত্রণায় শুধুই নিজেকে দগ্ধ করে। কখনও ফেসবুকে তার ইনবক্সে ম্যাসেজ দিতে দিতে তার জীবনকে অনেক সময় নাভিশ্বাস করে তোলে। বিশেষতঃ সে নারী যদি একটু সামান্য মেধাসম্পন্ন হয়, তাহলে মোটামুটি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারিং করার বন্ধুর সংখ্যা বেশিই হয়। অবশ্য ব্যতিক্রমী কিছু নারী লেখিকাদের কথা ভিন্ন। আমি তাদের সশ্রদ্ধ সালাম জানাই ও তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে অনেক বেশি দোয়া করি। কেননা নারীবাদী লেখিকারা ইসলামের সুমহান বাণী’র কথা তো শুনতেই চায় না। উল্টো ইসলামকে দোষারোপ করে এই বলে, ইসলাম নাকি তাদের অধিকার হরণ করেছে। অথচ ইতিহাস বলেঃ মহানবী (সাঃ) জীবন্ত নারী পুঁতে রাখার সে সাংস্কৃতি থেকে নারীদের বের করে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক সম্মানের ঘোষণা দিয়েছেন। কন্যা সন্তানের অধিকারী দুনিয়াতে যেমন ভাগ্যবান। তেমনি আখেরাতেও সৌভাগ্যশীল। কন্যা সন্তানের অসিলায় সে জান্নাত লাভ করবে। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যার তিনটি মেয়ে থাকে বা তিনটি বোন থাকে সে যদি তাদের সাথে সব সময় সদয় ব্যবহার করে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিরমিজি, ২য় খণ্ড, হাদিস নং-১৯১৮

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “তোমরা নারীদের সাথে ভাল ব্যবহার করার ব্যাপারে ওসিয়ত গ্রহণ কর।”[সহিহ বুখারী (৩৩৩১) ও সহিহ মুসলিম (১৪৬৮)]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আমি আমার পরিবারের কাছে উত্তম।” [সুনানে তিরমিযি (৩৮৯৫)।

যাই হোক, আপনি লিখবেন জনস্বার্থে এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহর সন্ত্রষ্টির জন্য। আর সে উদ্দেশ্যেই যদি আপনার লেখা ও জীবনের সকল কর্সম হয়, তাহলে সে বিষয়ে যারা আপনাকে অব্যাহত সমর্থন যোগাবে, তারা সওয়াব পাবে। যারা করবে না, তারা পৃথিবীর মানুষ মাখলুকাতের জন্য নিবেদিত সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সহযোগী হওয়া থেকে বঞ্চিত হল। আর যারা উৎসাহ ও সমর্থন যোগানোর বদলে উল্টো বিদ্বেষ পোষণ করবে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহই পরকালে যখন তাঁর সাথে সাক্ষাত হবে, তখন ফয়সালা দেবেন।

অষ্টম বিষয়ঃ এটা আমিও পূর্বের পোস্টগুলোকে বলতে চেষ্টা করেছি, যারা আমার পোস্টগুলোতে অংশগ্রহণমূলক, আমিও চেষ্টা করি, যখনই তাদের পোস্টগুলো নজরে পড়ে, তখন  মোটামুটি মানসম্প্ন্ন হলেই তাতে প্রতিক্রিয়া জানাতে চেষ্টা করি। অনেক সময় দৃষ্টিগোচর না হলে তো কি আর করা। বিপরীত ভাবে, যারা আমার পোস্টগুলোতে অত বেশি ক্রিয়াশীল নয়, তাদের পোস্টগুলো পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে তাতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় আমার থাকে না।

 

নবম ও সর্বশেষ বিষয়ঃ অনেকই পোস্টগুলোতে যে সব কথাগুলো লেখেন, সে গুলোতে অনর্গল বানান ভুল থাকে। বাক্যগঠনও অনেক ক্ষেত্রে হয়ই না। এসব বিষয়গুলো একটু চেষ্টা করলে সংশোধন করতে পারবেন। এখন অনেকভাবেই বাংলা বানানও  ভুল বা শুদ্ধ কিনা তা অনুসন্ধানের সুযোগ আছে। বিশেষ করে, যারা একাডেমিশিয়ান, তাদের কাছ থেকে আমার মত খুঁতখুঁতে স্বভাবের সচেতন অনেক পাঠকই তাদের এরকম অগণিত বানান ভুল ও ভুল বাক্য আশা করে না। অনেকই আবার মনে করে, আমি তো ইংরেজি ভাষায় অনর্গল লিখতে পারি, বাংলা বানান ভুল হলে অনেক সময় তিনি বুঝাতে চেষ্টা করেন, তিনি যেহেতু ইংরেজিতে পারঙ্গম, তাহলে বাংলা নিয়ে তার একটু দুঃসময় থাকতেই পারে। আসলে এটি অত্যন্ত ভুল। অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, যিনি ইংরেজি ও বাংলা লেখা, উভয়টাতেই ছিলেন রাজাধিরাজ। তাঁর কথাটা আমার এখনও মনে পড়ে। সেবার আমি গিয়েছিলাম তাঁকে তাঁর বাসায় দেখতে। তখন তিনি জীবকন সায়াহ্ণে। খুব অসুস্থ। হসপিটাল ও বাসা এভাবে চলছিল সম্ভবত তখন। আমার ‍উদ্দেশ্য ছিল দুটি, একেত তাঁকে দেখব, দ্বিতীয়ত যদি একটু আধটু খোশ গল্প করে তখন আমার তখন প্রকাশিতব্য ইংরেজি একমাত্র কবিতার বই – ‘In The Solitary Portic” গ্রন্থের জন্য একটা ফরওয়ার্ড নেব। তিনি দিয়েছিলেনও এবং বলেছিলেন মুখে, আমি তা নিজেই লিখে নিয়েছিলাম। যাই হোক সেদিন শরীরটা কিছুটা সুস্থতা ছিল। কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলেনঃ যিনি ভাল ইংরেজি জানেন, তিনি তাঁর মাতৃভাষায়ও পারদর্শী হন। তখন সৈয়দ আলী আহসান স্যারের কথাটা সেই ছাত্রজীবনে উপলব্দি না করতে না পারলেও এখন ইন শা আল্লাহ ভাল ভাবে উপলব্দি করি।

আর বাড়াব না। পাঠকদের হয়ত অস্থিরতা এসে যেতে পারে। এটা ও তো কোন প্রেমিকের চিঠি নয় যে, পড়তে পড়তে সকাল দুপুর রাত পোহাবে।  এ লেখাটা পড়ে গুটিকয়েক মানবে মানবী’র উপকার ও তারা কৃতার্থ হলেই আমার শ্রম স্বার্থক। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকেই সর্বাগ্রে নিজেকে বুঝার তৌফিক দিন এবং পরে তার সৃষ্টি ও সৃষ্ট জগতকেও। আমিন।

[ড. ওমর ফারুক।। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব,  যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সামাজিক গবেষক,  লেখক। এ পর্যন্ত ইংরেজি ও বাংলা ভাষায়  লেখা গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় ত্রিশটির বেশি। ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা পোস্ট সম্পাদক এবং  ঢাকা সাংবাদিক  ইউনিয়নের সাবেক নির্বাহী সদস্য। ]

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 1366 White Plains Road, Apt. 1J, The Bronx, New York-10462

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com