ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নয়া উসকানি; ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা

December 3, 2017 6:19 am0 commentsViews: 19

ইসলামবিদ্বেষী তিনটি ভিডিও রিটুইট করে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিডিওগুলো ব্রিটেনের চরম ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ দলের উপনেতা জেইডা ফ্রানসেন প্রথমে টুইট করেছিলেন। এরপর উসকানিমূলক ওই তিনটি ভিডিও-ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেন । এর ফলে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে।

ট্রাম্পের টুইট অনুসরণকারীর সংখ্যা চার কোটি ৪০ লাখের ওপরে। এর ফলে বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে উসকানিমূলক তিনটি ভিডিও পৌঁছে গেছে। এর মাধ্যমে তিনি তার ফলোয়ারদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছেন। ট্রাম্পের ইসলাম বিদ্বেষী নীতিতে যে কোনো পরিবর্তন আসে নি সে বিষয়টি এর মধ্যদিয়ে আবারও স্পষ্ট হয়েছে।

ট্রাম্পের ইসলাম বিদ্বেষী নীতি ও আচরণ নতুন কিছু নয়। তিনি ২০১৫ সালে নির্বাচনি প্রচারণার সময় দাবি করেছিলেন, মুসলমানেরা আমেরিকাকে ঘৃণা করে। এরপর তিনি ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট হতে পারলে আমেরিকায় মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেবেন। এছাড়া তিনি এক ভাষণে সন্ত্রাসী শব্দের আগে ইসলামপন্থী শব্দটি ব্যবহার করে সমালোচিত হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিককে ভিসা না দেওয়ার নির্দেশ জারি করেন।

তবে ট্রাম্পের এবারের পদক্ষেপ তার অতীতের সব বক্তব্য ও পদক্ষেপকেও হার মানিয়েছে। এ ঘটনা এতটাই উদ্বেগজনক যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিজে এর সমালোচনা করে বলেছেন, এটি ভুল পদক্ষেপ। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছেন, থেরেসা মে’র উচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুল না ধরে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের বিষয়ে তার নিজের দায়িত্ব পালন করা।

বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ভেতরে ও বাইরে চরমপন্থা ও বর্ণবাদ ছড়িয়ে দিতে চান। ট্রাম্প মুসলমানদের পাশাপাশি সব কৃষ্ণাঙ্গ মানুষেরও বিরোধী। ট্রাম্পের দৃষ্টিতে শেতাঙ্গ মার্কিন নাগরিকরা ছাড়া সবাই বহিরাগত এবং আমেরিকায় বসবাসের অধিকার তাদের নেই।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি ট্রাম্পের বিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়েছে। মার্কিন সিনেটর বার্নি সেন্ডার্স প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইসলাম বিদ্বেষী ভিডিও পুনঃপ্রচার  প্রসঙ্গে বলেছেন, ট্রাম্প আসলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি ও ঘৃণা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার মতো একটি দেশের প্রেসিডেন্টের এ ধরনের বর্ণবিদ্বেষী আচরণ গোটা বিশ্বকেই মারাত্মক সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এর ফলে বিভিন্ন দেশে ধর্ম-বর্ণ ভিত্তিক যুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে অনেকই আশঙ্কা প্রকাশ করে করেছেন। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষের উচিত ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং জোরালো প্রতিবাদ করা।#

পার্সটুডে

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com