অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়ে আমাকে বাথরুমে আটকে ফেলেন উইন্সটেন
নতুন ছবিতে অভিনয়ের প্রলোভন দিয়ে অভিনেত্রী কাদিয়ান নোবেলকে নিজের হোটেল স্যুটে ডেকে নেন হলিউড প্রযোজক হারভে উইন্সটেন। এরপর তার শরীরের স্পর্শকাতার অঙ্গগুলোতে তার হাত সঞ্চালিত হতে থাকে। অনাচারে মেতে ওঠেন উইন্সটেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে পালাতে চেষ্টা করেন অভিনেত্রী কাদিয়ান নোবেল। কিন্তু তা টের পেয়ে তাকে বাথরুমে আটকে ফেলেন হারভে উইন্সটেন। এক পর্যায়ে হারভেকে ‘ওরাল সেক্সে’ আনন্দ দিতে বাধ্য করেন।
কাদিয়ান নোবেলকে দিয়ে নিজের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত বোলান। ‘মাস্টারবেট’ করান। এসব অভিযোগ এনে নিউ ইয়র্কে সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টে ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে সোমবার মামলা করেছেন নোবেল। হারভে উইন্সটেনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগে কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক নারী, অভিনেত্রী তার বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ করেছেন। তার যৌন লালসার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী অ্যানজেলিনা জোলি, গোয়েন পালট্রো সহ প্রথম সারির অনেক অভিনেত্রী। তাই উইন্সটেনের বিরুদ্ধে ‘সেক্স ট্রাফিকিং’ মামলা করেছেন অভিনেত্রী নোবেল। তিনি এতে বলেছে, ফ্রান্সে যখন তাদের সাক্ষাত হয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে তখনই তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন উইন্সটেন। তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির কথা।
তখন ফ্রান্সের লা ম্যাজেস্টিক হোটেলে নিজের নতুন ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে আমাকে নিজের কক্ষে ডেকে নেন উইন্সটেন। ভিতরে প্রবেশ করার পর পরই তিনি আমার শরীরের উপরের অংশ ও নিতম্ব মর্দন করতে থাকেন। এ সময় আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি কৌশলে আমাকে তার বাথরুমে আটকে ফেলেন। তাকে পরিপূর্ণ আনন্দ না দেয়া পর্যন্ত আমাকে দিয়ে ‘মাস্টারবেট’ করান। তাই আমি এখন বিচার প্রার্থনা করছি। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বৃটেনের নেক্সট টপ মডেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন কাদিয়ান নোবেল। তখনই তিনি প্রথম হারভে উইন্সটেন হারভের নজরে আসেন। কাদিয়ান নোবেল জামাইকান বংশোদ্ভূত। তিনি একজন সিঙ্গেল নারী। এখন চেষ্টা করছেন অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার। মামলায় তার প্রতিনিধিত্ব করছেন স্টুয়ার্ট মারমেলস্টেইন। তিনি বলেছেন, হোটেল কক্ষের ঘটনা পর্যন্ত তার মক্কেলকে ছবিতে একটি রোল দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার সবটা শেষ হয়ে যায় ওই ঘটনায়।