পেট থেকে গ্যাস দূর করবেন কিভাবে!
পেটে গ্যাস তৈরি হলে খুব যন্ত্রণা। একটু ভাজাপোড়া বা কোন নিমন্ত্রণে উল্টাপাল্টা খেলে কিংবা অতিরিক্ত মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে কখনও কখনও শুরু হয়ে যায় এ অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড খাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতার এ যুগে ব্যস্ত জীবনযাত্রার কবলে নিষ্পেষিত মানুষের জন্য পেটে গ্যাস তৈরি, অন্য কোন পেটের অসুখ এখন সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোন বাসায় গেলে প্রায়শঃ গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যাবে।
তবে অত বেশি ঔষধ নির্ভর নাহয়ে কিভাবে ঘরোয় কিছু উপায় অবলম্বন করে গ্যাস, পেটের অন্য অসুখ এবং বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যেতে পারে।
১. শসাঃ শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকর একটি খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
২. দইঃ দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
৩. পেঁপেঃ পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলাঃ কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
৫. আদাঃ আদা সবচাইতে কার্যকরি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হয়ে যাচ্ছে অনায়াসে।
৬. ঠাণ্ডা দুধঃ পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনিঃ হজমের জন্য খুবই ভাল। এক গ্লাস পানিতে আধা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরাঃ জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভাল করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে।
দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
৯. লবঙ্গঃ ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়।
১০. এলাচঃ লবঙ্গের মত এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানিঃ এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
১২. মৌরির পানিঃ মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।
১৩. সরষেঃ এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন। সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সে সব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।
[স্বাস্থ্যকথা’র নিবন্ধ আলোকে।]