অতএব ফেসবুক ইউজারদের দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।।
তারিখঃ ২৩ নভেম্বর ২০১৭। স্থানীয় সময়ঃ রাত দু্’টো।
ইতোমধ্যে অনেক ফেসবুক ইউজার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধিক সময় দেওয়ার বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আমি নিজেও মাঝে মাঝে মনে করতাম, অন্য ঢাউশ ঢাউশ বই পড়া বাদ দিয়ে ফেসবুক ও টুইটারে অজস্র সময় ঢেলে দেওয়া হচ্ছে না তো? সময়ের ঢের বেশি অপচয় হয়ে যাচ্ছে না তো? কোরআন ও হাদীস অধ্যয়নে অনেক কম সময় দেওয়া হচ্ছিল বলে মনে মনে খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকতাম। যদিও অবশেষে ভাবতাম, আমি সত্য ও কল্যাণ অন্বেষণেই ফেসবুকে সময় ব্যয় করি। কোন মন্দ কাজে নয়। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার অহর্নিশি প্রচেষ্টায় আমি নিবেদিত। আর সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত জার্মানির এ গবেষক দলের গবেষণার ফাইন্ডিঙ্স তাই সত্য প্রমাণ করল। সেজন্য অন্যদেরও বলি, যারা ফেসবুক বা টুেইটারে মন্দ কাজে সময় না দিয়ে ভাল কাজে, আরও স্পষ্ট করে বললে নিজে সত্য অন্বেষণ ও জ্ঞান লাভের জন্য এবং সর্বোপরি সে আহরিত জ্ঞান বৃহত্তর মানব সমাজে ছড়িয়ে দিতে প্রয়াস চালান, তাদের হতাশ হবার কিছু নেই। তবে েফেবুক ব্যবহার করতে গিয়ে দৈনন্দিন রুটিন মাফিক কাজ যেন বিপর্যস্ত না হয়, সেদিকে সবিশেষ নজর দিতে হবে।
সম্প্রতি জার্মানির বোহচাম রুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবী হল, যিনি যত বাস্তববাদী, ফেসবুক বা টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ততটাই সময় খরচ করেন। তাঁদের মতে ফেসবুক করলে মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যাঁরা ফেসবুকে অনেকটা সময় কাটান, তাঁরা নিজেদের অজান্তেই নিজেদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে ফেলেন। এতে অনুমানশক্তিও বাড়ে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা নিজেদের আগ্রহের বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাঁদের লক্ষ্যপূরণের জেদও নাকি বেড়ে যায়। গবেষকদলের প্রধান ফিলিপ ওজিমেক বলেছেন, ‘সামাজিক তুলনার জন্য ফেসবুক যে পরিকাঠাবো (Infrastructure) ইউজারদের দেয়, সেটা প্রায় নিখুঁত বললেই চলে। কেউ যদি একটু বুদ্ধিমান হন, তাহলে সত্যি–মিথ্যে যাচাই করে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয় না। যেহেতু ফেসবুক একটি ফ্রি ওয়েবসাইট, তাই বুদ্ধিমান ইউজাররা ফেসবুক থেকে অনেক প্রয়োজনই মিটিয়ে নেন। ক্রমাগত একের পর এক মানুষের মধ্যে তুলনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়ে।’