আওয়ামী লীগে অস্থিরতা, বিরোধীদলীয় নেতারা টেনশন ফ্রি!

বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে, হামলা চালিয়ে ভোটের মাঠে দাঁড়াতেই দিচ্ছে না আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশি হয়রাণিও অব্যাহত ভাবে চলছেই । আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও নিশ্চিত ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে, এটা ধরে নিয়েই দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎফুল্ল ও আরও বেপরোয়া ভাব দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ক্ষমতাসীন দলের লোকজন মিষ্টি বিতরণ করছে, কোথাও ছাগল জবাই করে উৎসবের আমেজে খানাপিনা হচ্ছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আনন্দ-ফূর্তিতে থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ঘুম হারাম। তারা খুবই উদ্বেগ ও অস্থিরতায় আছেন। কী হতে কী হয় এ নিয়ে তারা রয়েছেন মহা টেনশনে। যদিও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের এটি তারা বুঝতে দিচ্ছেন না। অন্যদিকে একেবারেই ভিন্নচিত্র দেখা যাচ্ছে বিএনপি জোটের শীর্ষ নেতাদের মাঝে। ক্ষমতাসীনদের কর্মকাণ্ডে ভোটকে সামনে রেখে সারাদেশের মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি দেখে সাধারণ মানুষ মনে করছে, ক্ষমতাসীনরা জবরদখল করে নিজেদের পক্ষেই জয় ছিনিয়ে নেবে। আদৌ ভোট হবে কি না তা নিয়েও সংশয় ও উদ্বেগ রয়েছে। বিএনপি জোটের মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীর মাঝেও এই শঙ্কায় হা-হুতাশ আছে। মাঠপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাঁড়াতেই দেয়া হচ্ছে না, হামলা, ধরপাকড়ে অনেকটা দিশেহারা ভাব। কেন্দ্রীয় নেতাদের ফোন দিয়ে কী হচ্ছে, কী করণীয় এসব বিষয়ে জানতে চাচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও বিরোধীজোটের শীর্ষ নেতাদের মাঝে কোন উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা নেই। রহস্যজনক ভাবে তারা অনেকটা ভাবলেশহীন বা টেনশন ফ্রি অবস্থায় রয়েছেন।তাদের মাঝে কোন অস্থিরতা নেই। মনে হয় তারা কোন একটি হিসাব কষে বসে আছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তাদের ওপর একের পর এক হামলা হলেও, প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের প্রচারণা চালাতে বাধা দিলেও খুব একটা উদ্বেগ বিরোধী জোটের নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। আবার পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ কেন ভাবে ক্ষমতায় গেলে যে তাদের অবস্থা খারাপ হবে, সেটিও তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কিন্তু এমন অবস্থায়ও তারা একটি রহস্যজনক নির্লিপ্ততার মধ্যে রয়েছে।
তাদের এ রহস্যজনক নির্লিপ্ততার কারণ কী? এই কারণ খুঁজতে গিয়ে গোয়েন্দাসংস্থাগুলো বিরোধীজোটের কিছু পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছে। সূত্রগুলো বলছে, মূলতঃ বিরোধী জোট একটি বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। স্মরণকালের একটি ভয়াবহ সংঘাতও তাতে হয়ে যেতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে বিরোধীজোটের নেতাকর্মীদের গণ হারে গ্রেপ্তার চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটের আগে আরো অন্তত আড়াই লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের তালিকা তৈরি করেছে বলে একটি সূত্র থেকে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পুলিশের এ তালিকার বাইরেও বিরোধী জোটের একটি বড় শক্তি রয়ে গেছে। যে শক্তি ভোটের ২/৩ দিন আগ থেকে ব্যবহার করা হবে এবং পুরো পরিস্থিতি তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবে। সেই ক্ষমতা তাদের পুরোপুরি রয়েছে বলে অনেকটা নিশ্চিত বলে জানা গেছে। ২০ ডিসেম্বরের পরও যে কোন সময় সেই শক্তি ব্যবহার শুরু হতে পারে। মূলতঃ ২০১৫ সালের পর থেকে বিএনপি জোট কোন আন্দোলনে যায় নি। শক্তি ক্ষয় না করে তারা এতদিন ধরে শুধু শক্তি সঞ্চয় ও সুসংহত করেছে। এতে শক্তি বৃদ্ধি যেমন হয়েছে তেমনি নৈতিক মনোবলও আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব শক্তি সঞ্চয় করা হয়েছিল জাতীয় নির্বাচনের জন্যই। আর সেই শক্তি নিয়েই বিএনপি জোট যে কোন সময় অপ্রতিরোধ্য গতিতে মাঠে নামবে। ১৫ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্টের প্রথম রোডমার্চে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘরে ঘুমানোর দরকার নেই। মার খেলেও জবাব না দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। সব জবাব ৩০ ডিসেম্বর দেওয়া হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এমন জবাব দেব, যে আওয়াজও করতে পারবে না।’ অন্য দিকে আওয়ামী লীগের গণভিত্তি বলতেই নেই। ক্ষমতার জোরে দলীয় পুলিশ ও ক্যাডারদের দিয়ে তারা মাঠ দখল রেখে নির্বাচন সেরে নিতে চাইছে। জনগণের কাছে তারা যা বলে, যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়ায়, তা ভোটার ও সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটা হ্যাস্যকের। তারা আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, সে ঘরে ঘরে চাকরির বদলে মানুষ পেয়েছে ঘরে ঘরে কান্না আর শোক। বেকারত্ব আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি। ব্যাংক লুট, তামা, সোনা, রুপা এবং ব্যাংকের ভল্টশুদ্ধ গায়েব হয়ে যাওয়ার মত ইতিহাস আওয়ামী লীগের আমলেই মানুষ লক্ষ্যে করেছে। জন জীবনে ভোগান্তির শেষ নেই। মানুষ কথা বলতে পারে না। কোন ন্যায্য দাবী দাওয়া নিয়ে মাঠে আসতে পারে না। সে সব ন্যায্য দাবী অগ্রাহ্য করে উল্টো সে সব দাবী আদায় আন্দোলনকারীদের উল্টো বিরোধীদলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী বলে নিজ দলীয় হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী দিয়ে দমন করা হয়। পুলিশ তো দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বরাবরই বিরোধীদল ও ন্যায্য দাবী আদায়ের আন্দোলনকে কঠোর হস্তে ও নির্মম ভাবে দমন করে এসেছে। ’কোটা সংস্কার’ ও ’নিরাপদ সড়ক চাই’ হল এ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সর্বশেষ নজির।
আওয়ামী লীগের আয়ু আর মাত্র অর্ধ মাসঃ
১৪ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের সতর্ক করে দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, “সরকার ক্ষমতায় আছে ১৫-১৬ দিন। তাদেরকে বলব, বে আইনি আদেশ দেওয়া বন্ধ করুন, আপনারা আইন মেনে চলুন। সরকার আইনের ঊর্ধ্বে না। জেনে রাখো এই দেশে কোনো সরকার আইনের ঊর্ধ্বে না।” তিনি বলেন, “লজ্জা পাও, লজ্জা পাও, লজ্জা পাও। লজ্জা পেয়ে মুখটা দেখিও না, মুখটা একটু ঢেকে এদিক ওদিকে থেকে ১০-১৫ দিন কাটিয়ে দাও। তোমাদের মুখ দেখব না, যারা এসব অন্যায় কাজ করছে। অবিলম্বে তা বন্ধ কর। ১৫-১৬ দিন আছ, চেষ্টা করো ভালো থাকতে। তারপরে শুক্রবার সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার সময় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গাড়িবহরে হামলার পর ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ওই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি। ‘বে আইনি’ আদেশ পালন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, “আমি পুলিশ একাডেমিতে বহু লেকচার দিয়েছি, বে আইনি আদেশ মানা একদম নিষেধ। বে আইনি আাদেশ মানবে না- এটা পুলিশরা জেনে রাখ। যারা বে আইনি আদেশ দিচ্ছে এরা চিরস্থায়ী কেউ নয়। ভুলে যেও না। তোমরা তো ৫০-৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করবে আশা কর। এটা মনে রেখে আজকে যে বা যারা আদেশ দেয়, তোমাদের এটা সাংবিধানিক কর্তব্য, সেই আদেশ আইনানুগ কি না, তা খতিয়ে দেখা। যদি কোন লোক আইন ভঙ্গ করছে না, তাকে অ্যারেস্ট করা এটা সংবিধান ভঙ্গ করা। তোমাদের শুভাকাঙ্খী হিসেবে বলছি- তোমরা সংবিধান ভঙ্গ করার অপরাধ করিও না।” সরকারে থেকে যারা বে আইনি আদেশ দিচ্ছে, তাদের দেশের মানুষ চিহ্নিত করে আগামীতে বিচার করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ড. কামালেোহসেন।
১৫ ডিসেম্বর, শনিবার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা রোড মার্চ করেন। টঙ্গীতে রোডমার্চের প্রথম পথ সভায় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। নির্বাচন বন্ধ করার সুযোগ খুঁজছেন। তিনি নির্বাচন থেকে পালিয়ে যেতে চান।’ ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেন তিনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যেতে চাইলেও দেওয়া হবে বলে জানান। আসম আবদুর রব বলেন, বিরোধী দলকে নিয়েই তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। [ এ অংশটুকু শীর্ষকাগজ- এ প্রকাশিত রিপোর্ট অবলম্বনে এবং আংশিক পরিমার্জিত, সম্পাদিত ও পরিবর্দ্ধিত।]
নিচের অংশটুকু বাংলাদেশ থেকে একজন সাংবাদিক ইনবক্সে পাঠালেন। সেটিও সম্পাদিত ও পরিমার্জিত।
সেনা বাহিনীর দুটি গাড়ি লক্ষীপুর গিয়েছে। পথিমধ্যে তারা সোনাপুর ক্রস করার সময় দেখলো সোনাপুর মোড়ে প্রচুর ভীড় অথচ পাশেই দুজন এস আই দাড়িয়ে কথা বলছে। সেনা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে তাদের দুজনকে কাছে ডাকলেন। তাদের বললেন, এখানে এত যান ঝট, আপনারা বসে আছেন কেন ? তারা কোন উত্তর দিতো পারল না। তাদেরকে বলা হল, আমাদের ফলো করুন। ততক্ষণে তারা ওসিকে ফোন করে রামগঞ্জ চৌরাস্তায় আসতে বলল। তিনিও হাজির হলেন। তাদের জিঞ্জেস করা হলো রাস্তায় এত ভীড় হয়, পুলিশ কেন দায়িত্ব্য পালন করে না। পুলিশের কাজ কি কেবল বিরোধী দল দমনের ? ওসি কোন উত্তর দিল না। তাদের বলা হল, দেখুন আমরা আসার সাথে সাথে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেল, যান ঝট নেই । অথচ আপনাদের দুই এসআই দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে। কিন্তু যান ঝটের কারণে আমাদের গাড়িও ক্রস করতে পারছিল না। আগে যা করেছেন সব ভুলে যান, সামনে দায়িত্ব্য ঠিকমত পালন করুন। আমরা কোন ঝামেলা চাই না। সাথে সাথে বি এন পি মাইন্ডের কিছু লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে আর্মিদের জানাল যে, কিছুক্ষণ আগে তাদের লোকদের হয়রাণি করা হয়েছে। অফিসার ওসি’কে প্রশ্ন করলেন, আপনার দায়িত্ব ল এন্ড অর্ডার ফলো করা। কাউকে হয়রাণি করা নয়। নির্বাচনে মাঠে সবাই সমান সুবিধা পাবে, কেউ বিশৃঙ্খলা করলে সাথে সাথে গ্রেফতার করুন। যদি গ্রেফতার করতে আপনাদের সমস্যা হয়, তাহলে তালিকা দেবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা থাকতে কোন প্রকার গোলযোগ হতে পারবে না। ওসি কোন কথাই বলল না, কেবল জ্বি জ্বি করল। এ হচ্ছে অবস্থা। এরা এখনও ডিউটি শুরু করে নি। মাত্র এলাকায় তাদের পেছনের বাহিনীর আবাসন, সিকিউরিটির বিষয়টি কনফার্ম করতে গিয়েছিল, তাতেই তাদের দায়িত্ব বোধ জেগে উঠেছে এবং পুলিশ বাহিনীকে এক প্রকার ঠেঙ্গানী দিয়েছে। যদি ঠিকমত দায়িত্ব পেয়ে যায় এবং আল্লাহর হুকুমে তারা নিরপেক্ষ অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে নিশ্চত জেনে রাখুন, লীগ দুর্বীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। ওদের পোষ্টার ব্যানার থাকবে, কিন্তু ওরা মাঠে আসবে না। ভদ্রলাক আমাকে ফোন করে জানালেন, আনোয়ার মিয়ার চাপে পড়ে বি এন পির কর্মীরা এতদিন রাস্তায় নামে নি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইত, অথচ আর্মির গাড়ি যাওয়ার সাথে সাথেই পোলাপান ওসির সামনেই জিয়ার সৈনিক বলে শ্লোগান দিয়ে এক জোট হয়ে বাজারে ঢুকে গেল। এ রকম হলে তো, হাসিনার পরিকল্পিত ভাবে সাজানো পদ্ধতিতে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে। কট্টর বি এন পি জামায়াত বিরোধী একটি লোক স্থানীয় এক সাংবাদিকের কাছে তার মন্তব্য এভাবে পরিবেশন করলেন। এসব শুনে আমার কাছে মনে হয়েছে, গতকালকে ফোনে যা শুনেছি, তার যেন কিঞ্চিত বাস্তবায়ন দেখলাম। ওদিকে ফরিদগঞ্জের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নাকি ফরিদগঞ্জ ওসিকে ধমকিয়ে গেছে। পরক্ষণে বি এন পি বিশাল শোডাউন করেছে এবং কোন প্রকার হামলা করার সাহস পুলিশ করে নি। ১৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, চাদঁপুরের পুরান বাজারে বি এন পি আওয়ামী লীগ ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের তের জন আহত হয়েছে। মজার বিষয় হল, একজন বি এন পি কর্মীও আহত হয় নি, আর পুলিশও কোন পক্ষ নে য়নি। লীগের লোকেরা বলছে, পুলিশ টাকা খেয়ে চুপ হয়ে গেছে। এ জন্য বলি, সর্বোচ্চ দু তিন দিন অপেক্ষা করুন, তারপর দেখবেন, দলে দলে লোক রাস্তায় নেমেছে। ইন শা আল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।