বাসে যাত্রীবেশী ডাকাত দলের অপহরণসহ নানান সিন্ডিকেট অপরাধ।
ঢাকায় স্থানীয় সময়ঃ ২ ডিসেম্বর ২০১৮
রাত ১২ টার দিকে বাসায় যাওয়ার সময় ক্ষিলখেতে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকি। তখন একটি বাস সামনে আসলে আমি জিজ্ঞেস করি আবদুল্লাহ পুর যাবে কিনা। কোনো উত্তর না দিয়ে কন্ডাকটর আমার হাত ধরে টেনে বাসে তুলে নেয়। বাসে উঠার কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারি, যাত্রীবেশী যারা ছিল, তারা কেউই আসলে যাত্রী নয়। ডাকাত দলের সদস্য। এভাবেই ভিকটিম নিজের অপহরণ হওয়ার কথা বললেন সাংবাদিকদের।
আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কে যাত্রী বেশে অপহরণ পরবর্তী মুক্তিপণ আদায় ও যানবাহনে নারী যাত্রীদের শারীরিক নির্যাতনের অপরাধে সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের মুলহোতাসহ ৯ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১।
আটককৃতরা হলেন- রকিবুল ইসলাম (১৯), হাবিবুর রহমান (২৭), হোসেন (১৮), বাবুল হোসেন (২২), নাঈম মিয়া (১৯), ইমরান (২১), জিহাদ আলী (১৮), শুভ (১৯), রকিবুল হাসান ও (১৮) জুলহাস।
যাত্রী বেশে বাসে উঠে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করত সংঘবদ্ধ এক ডাকাত চক্র। যাদের ৯ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
রোববার দুপুরে কাওরান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মিডিয়া উইং মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, অপরাধী এ চক্রটি আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কে যাত্রী বেশে বাসে উঠে অপহরণ করে পরে পরিবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করত। সম্প্রতি এমন কিছু অভিযোগ এলে তদন্তে নামে র্যাব। একপর্যায়ে আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও আশুলিয়া এলাকায় ওই চক্রের প্রধান ইমরানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, প্রতিটি অপহরণে ১০ থেকে ১৫ জন অংশ নিত। যাদের কয়েকজন যাত্রী বেশে বাসে অবস্থান করত। বাকিরা বিভিন্ন স্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠে। এদের সঙ্গে সাধারণ যাত্রী যারা উঠে তাদেরকে জিম্মি ও মারধর করে অর্থ আদায় করে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে নির্জন স্থানে ফেলে দিত।