পুলিশের গাড়িতেই শারীরিক সম্পর্ক!
২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
২৪ জুলাই, মঙ্গলবার নির্যাতিতা নারী এ বিষয়ে ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ সুনীল চৌধুরীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে দিনের পর দিন পুলিশের গাড়িতেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। অভিযোগকারী তার অভিযোগে জানান, পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপ মন্ডল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার জানান। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে থানায় দেখা করতে গেলে তাকে মারধর করে বের করে দেয়।
ওই নারী দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সন্দীপ মন্ডলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেখানেই তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তাদের মধ্যে ফোনে আলাপ হতে থাকে। আর সেখানেই বার বার ওই নারীকে ভালোবাসার কথা জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এরপর ২০১৫ সালের জানুয়ানি মাসে পুলিশের গাড়ি নিয়ে কলকাতায় ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে যান সন্দীপ। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরার পর সেই গাড়িতেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। ওই নারী বাধা দিতে গেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার পুলিশের গাড়িতেই শারীরিক সম্পর্ক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সূত্র এবেলা
৬৫ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে পুত্রবধূর ‘অবৈধ সম্পর্কে’র জেরে ছেলে খুন
হাসান আদিল
পুত্রবধূর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে নিজের ছেলেকে হত্যা করলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। ওই ঘটনার পর পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভারতের মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানায়, ওই বৃদ্ধ ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন করেছেন। সিল্লোদ গ্রামে নিজেদের খেতের কাছে ছেলেকে খুনের পর তার দেহ কুড়াল দিয়ে টুকরো টুকরো করে মাটিতে পুঁতে ফেলেন তিনি।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ জুলাই এই নির্মম হত্যার ঘটনাটি ঘটে।
সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর বিশ্বাস পাতিল বলেন, ‘বৃদ্ধর সঙ্গে তার পুত্রবধূর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জন্য ছেলেকে বাধা বলে মনে করত বৃদ্ধ।’
পুলিশ জানায়, ছেলেকে খুনের পর পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও করেন বৃদ্ধ। থানায় ছেলে নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাতিল আরও জানান, নিহতের মোবাইলের কল রেকর্ড থেকে বৃদ্ধর ছক সম্পর্কে জানা যায়। কল রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা যায়, ১৪ জুলাই রাতে নিহত ছেলে খেতেই ছিলেন। বাবা ও ছেলে রাতে খেতেই থাকতেন আর পরিবারের লোকজন গ্রামের বাড়িতে থাকতেন।
জেরায় বৃদ্ধ ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করেন বলে জানায় পুলিশ।
হত্যার শিকার ছেলের দেহ যেখানে পুঁতে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে তোলার পর পচা-গলা ওই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।