বিশেষ মন্ত্র ফুঁকে চীনকে ধংস করতে হবে ভারতকে!
আরএসএসের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার-এর পরামর্শঃ
বিশেষ মন্ত্র ফুঁকে চীনকে ধংস করতে হবে ভারতকে!
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ড. ওমর ফারুক।। তারিখঃ ২৫ জুলাই ২০১৭।।
এবার ভারতীয় সৈন্যদের সীমান্তে গিয়ে যুদ্ধ করা লাগবে না। শুধু মন্ত্র পাঠ করে শত্রুসৈন্যদের ঘায়েল করতে পারবে ভারত।
অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দিয়ে না পারলেও মন্ত্র দিয়ে জব্দ করার পরামর্শ দিলেন এবার আরএসএসের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার।
সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে চীন ও ভারতের মধ্যে। এ অবস্থায় হিন্দুত্ববাদী আরএসএসের পক্ষ থেকে চীনকে বিনাশ করার জন্য বিশেষ মন্ত্র জপ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরএসএসের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইন্দ্রেশ কুমার চীনকে ‘অসুর শক্তি’ অভিহিত করে এই পরামর্শ দেন এবং ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে এক আবেদনে ওই মন্ত্র তাদের নিজ নিজ প্রার্থনার আগে পাঠ করতে বললেন তিনি।
গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, এর ফলে কেবল চীনের ক্ষতিই হবে না বরং আমাদের আধ্যাত্মিক শক্তিও বাড়বে এবং ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ইন্দ্রেশ কুমার মন্ত্র জপার পাশাপাশি চীনা সামগ্রী বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চীনা সামগ্রী ভারতের বাজারে আসায় অনেক ভারতীয় কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এজন্য দেওয়ালি, রাখী ও ঈদের মতো উৎসবে চীনের সামগ্রী বয়কট করা উচিত।’
এদিকে, সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে আরএসএসের সহযোগী শাখা সংগঠন ‘স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ’ চীনা সামগ্রী বয়কট করার ডাক দিয়েছে।
মঞ্চের পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে চীনা কোম্পানি চায়না রেলওয়ে রোলিং স্টক প্রকল্পের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ৮৫১ কোটি টাকার বিনিয়োগ চুক্তি বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিকে, চীন-ভারত চলমান উত্তেজনার মধ্যে চীন পুনরায় ভারতকে দোকালাম এলাকা থেকে সেনা সরাতে বলেছে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, চীনা সেনা পিএলএ ভারতের উদ্দেশ্যে দোকালাম থেকে সেনা অপসারণ করতে বলেছে। এটাই সমস্যা নিরসনের উপায় বলে তারা বলছে।
চীনা সেনাবাহিনী যেকোনো মূল্যে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে বলেও জানিয়েছে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে চীনের এলাকায় অনুপ্রবেশ করা পারস্পারিক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সীমান্তের গুরুতর লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ। আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।
ভারতের পক্ষ থেকে অবশ্য আগেই সেনা সরানোর দাবির মুখে উভয় দেশকেই একই পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। যদিও চীন এখনো পর্যন্ত সেনা অপসারণের কোনো ইঙ্গিত না দিয়ে বারবার ভারতকেই সেনা অপসারণ করার জন্য চাপ সৃষ্টি এমনকী যুদ্ধের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে।
[আনন্দবাজার অবলম্বনে]
