বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড দখলের আহবান ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতা প্রবীণ তাগোদিয়া।
বুধবার এক মিডিয়া কনফারেন্সে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আন্ত:রাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের সভাপতি। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস।
খবরে বলা হয়, আসামের অবৈধ বাঙালিদের ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রবীণ কুমার ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে দোষারোপ করেন।
তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই কোন ওয়ার্ক-পারমিট দেয়া যাবে না। বাংলাদেশ যদি তাদের ৫০ লাখ মানুষকে গ্রহণ করতে রাজি না হয়, ভারতের সেনাবাহিনীর উচিত বাংলাদেশের ভূ-খন্ড দখল করে সেখানে তাদের বসতির ব্যবস্থা করা। এছাড়া, কংগ্রেসের মতো বিজেপিও মুসলিমদের তুষ্ট করার নীতি অনুসরণ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, আসামে ও কেন্দ্র সরকারে বিজেপি এই অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে যে, তারা ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু গত দু’বছরে মাত্র ১৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছে তারা। এখনো অবৈধ অভিবাসীরা ৭ হাজার বিঘা জমি দখল করে রেখেছে।
তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দুদের আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। বলেন, এককভাবে কোন প্রদেশে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা কঠিন। তাই এসব হিন্দুদের বিভিন্ন রাষ্ট্রে বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য কমিটি গঠন থেকে শুরু করে স্থায়ীভাবে তাদের বসতি নির্মাণ পর্যন্ত সরকারকে সহযোগিতা করার প্রস্তাবও দেন তিনি।
উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কারণে সভা-সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার ক্ষেত্রে তাগোদিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বুধবার তিনি মুখে কালো কাপড় বেধে ওই অনুষ্ঠানে হাজির হন। এর পরেই তিনি এসব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে গোয়াহাটির পুলিশ কমিশনার হিরেন নাথ বলেন, ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন তাগোদিয়া। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার ওপর সভা-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তাগোদিয়া বলেন, তার বাক-স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশীদের স্বাগত জানানো হচ্ছে।