ভারতের সাথে চলছে ইসরাইলের দহরম মহরম।। সেনা ঘাঁটিতে ঘুরে গেল ইসরাইলের বাহিনী
ভারতীয় সেনা ঘাঁটি পরিদর্শন করে গেল ইসরাইলের জরাসেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টারে সম্প্রতি ঘুরে গেলেন ইজরায়েলি জওয়ানেরা। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে এই সেনা হেডকোয়ার্টারে আসেন তাঁরা।
সেনাবাহিনীর তরফ থকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মেজর জেনারেল ইয়াকভের নেতৃত্বে ইসরাইলের একদল প্রতিনিধি এসেছে ভারতে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একাধিক সামরিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চলতি বছরেই তিনদিনের ইসরাইল সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বন্ধুত্বপূর্ণ সফর হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। দুই প্রধানমন্ত্রী একসঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তেল আভিভ এয়ারপোর্টে মোদীকে স্বাগত জানাতে আসেন খোদ নেতানিয়াহু। এমনি বিদায় জানাতেও এয়ারপোর্টে আসেন তিনি। এদিকে, কিছুদিন আগে ইজরায়েলের পার্লামেন্টে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, যে তিনি জানুয়ারিতে নরেন্দ্র মোদীর অতিথি হয়ে ভারতে আসেবেন।
এছাড়া অনুমান করা হচ্ছে যে চুপিসাড়ে দুটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলেছে ভারত। ইসরাইলের সঙ্গে ভারতের ১৪০ কোটির চুক্তি হয়েছে। যে চুক্তি অনুযায়ী, ১০টি হেরন ড্রোন ও দুটি Phalcon/IL-76 এয়ারবোন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (AWACS) কিনছে ভারত। সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের সময়েই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এছাড়া ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে যে, পাকিস্তাসি ড্রোন ধ্বংস করে দিতেইসরাইল থেকে আরও শতিক্তশালী ড্রোন কিনবে ভারত।
চীনা সাহায্যে পাকিস্তান ড্রোন হামলায় দক্ষ হয়ে উঠছে। ভারতীয় গোয়েন্দা মারফৎ এই খবর পেয়েই তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইজরায়েলের কাছ থেকে অত্যাধুনিক সামরিক ড্রোন কেনায় সবুজ সংকেত দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও।’
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের মাটিতে অনুপ্রবেশ রুখতে এই ড্রোন বানাতে প্রযুক্তিগত সাহায্য করেছে চিন। কাশ্মীর নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে সংঘাত দেখা দিলে ড্রোনগুলি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তান, এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি পালটা সতর্কতা নিতে শুরু করল ভারতও। কিছু দিনের মধ্যেই ইজরায়েলের কাছ থেকে সশস্ত্র ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত।
প্রথম পর্যায়ে ইজরায়েলের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে দশটি সর্বাধুনিক ড্রোন-‘হেরন টিপি’। সবকটিতেই অস্ত্র ভরা যাবে। সবকটিই হবে দূর পাল্লার। ধ্বংসের পরিমান হবে আরও বেশি, মারাত্মক।ওই সর্বাধুনিক ড্রোন বিমানবাহিনীর হাতে এলে অনেক সহজে অন্য দেশের ‘টার্গেট’গুলোর উপর আঘাত হানা যাবে। তাতে যুদ্ধে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্ষয়-ক্ষতিও কিছুটা কমবে।
সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, তিন বছর আগেই ইজরায়েলের কাছ থেকে সর্বাধুনিক ড্রোন ‘হেরন টিপি’ কেনার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, তার পর আর সেগুলি কেনা হয়নি।পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র- চিন ও পাকিস্তান নিজেদের দেশে সর্বাধুনিক, সশস্ত্র ড্রোন বানাতে শুরু করায় ইজরায়েল থেকে তড়িঘড়ি ওই ড্রোনগুলি কেনার ব্যাপারে নয়াদিল্লির তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইজরায়েলের কাছ থেকে ওই ড্রোনগুলি কেনার জন্য বিমানবাহিনীর তরফে এ বছর জানুয়ারি মাসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানানো হয়। এর পরেই ঠিক হয়, ইজরায়েলের কাছ থেকে খুব শীঘ্রই দশটি দূর পাল্লার ড্রোন- ‘হেরন’ কেনা হবে। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, তড়িঘড়ি ওই ইজরায়েলি ড্রোন কেনার জন্য কেন্দ্রের সম্মতিও মিলেছে এ মাসের গোড়ার দিকে।
দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চিনের কথা মাথায় রেখে ভারত এর আগেও অস্ত্র কিনেছে ইজরায়েলের কাছ থেকে। চিন ও পাকিস্তানের উপর নজর রাখতে জম্মু-কাশ্মীরে পাহাড়ের উপর বিমানবাহিনী যে সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত ‘এরিয়াল ভেহিকেল’ (ইউএভি) বসিয়েছে, সেটিও ইজরায়েলের কাছ থেকেই কেনা হয়েছিল
আবার ভারত গোপনে ইজরায়েলের সঙ্গে ১৪০ কোটির সামরিক চুক্তি করেছে বলে জানা গেছে।
গোপনে এমন দুটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলেছে ভারত। ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের ১৪০ কোটির চুক্তি হয়েছে। যে চুক্তি অনুযায়ী, ১০টি হেরন ড্রোন ও দুটি Phalcon/IL-76 এয়ারবোন আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (AWACS) কিনছে ভারত। সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের সময়েই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
দিল্লিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা। গত পাঁচ বছর ধরে AWACS কেনার বিষয়ে কথাবার্তা চলছিল দুই দেশের। আগামী দু’তিন বছরের মধ্যেই ভারতে আসছে এই সিস্টেমগুলি। পাশাপাশি হেরন ড্রোন কেনার চুক্তিও হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই এসব ড্রোন আসবে ভারতে।
এয়ারফোর্স সূত্রে জানা গিয়েছে ভারতের এই হেরন টিপি-তে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে ডিটেকশন ফাইন্ডার, সিগন্যাল প্যারামিটার, জিও-লোকেশন ক্যাপাবিলিটি ইত্যাদি। এছাড়া দীর্ঘ রেঞ্জে নজরদারির জন্যও থাকবে আধুনিক প্রযুক্তি। যাতে টার্গেট খুঁজে নিতে অসুবিধা না হয়। এই হেরন টিপি হাল্কা ওজনের মিসাইল ছুঁড়তে সক্ষম হবে। বর্তমানে ভারত মোট ৬০টি হেরন টিপি ব্যবহার করে। আগামী ১০ বছরে ভারতের প্রয়োজন ২০০টি সশস্ত্র ড্রোন। ইজরায়েল ও ডিআরডিও যৌথ উদ্যোগে ভারতে হেরন তৈরি করার কথাও রয়েছে।
[ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে]