একদিনেই যদি এত দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর!
দুর্নীতির একটি প্রতিবেদন শীর্ষ খবর হিসেবে প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো। প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম,“বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড।” প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থাৎ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা ভল্টের ভেতরে ঘটা ‘ভুতুড়ে’ কাণ্ডের কথা। এই ভুতুড়ে কাণ্ডটি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা ৯৬৩ কেজি স্বর্ণের বদলে যাওয়া। ভল্টে রাখা স্বর্ণ মিশ্র বা সংকর ধাতু হয়ে গেছে। ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।
স্বর্ণগুলো মূলত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্ধার-জব্দ করা। ভরসার জায়গা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে এসব জমা করে নিশ্চিন্ত থাকার দু’ বছর পর পরীক্ষা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে জানা যায় যে স্বর্ণ এনবিআর ভল্টে দিয়েছিলো সেগুলো বদলে গেছে!
প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনে ‘ভুতুড়ে কাণ্ডের’ জন্য শর্ষের মধ্যে থাকা ভূতেদের দিকেই সন্দেহের আঙুল তোলা হয়েছে।
জবাবদিহিতার অভাবের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক ইনকিলাব। প্রতিবেদনটির শিরোনাম “আষাঢ়ে গল্প”।
এই প্রতিবেদনে শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে আটক বিলাসবহুল গাড়ি আদৌ তাদের দাবী অনুযায়ী এতো দামী কিনা, কিংবা দামী এসব গাড়ি আটকের পর কী অবস্থা হয় সেসব বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। পত্রিকাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী শুল্ক গোয়েন্দারা অনেক সময় আটক করা গাড়ির দাম অতিরঞ্জিত করে গণমাধ্যম-সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে। এমনকি গোয়েন্দারা ৮০-৯০ লাখ টাকার টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ভি-৮ ২০১৩ মডেলের দাম ৫ কোটি টাকা বলে প্রচার করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। সত্যিই যেসব কোটি টাকার গাড়ি উদ্ধার হয় সেসব গাড়ির কী হয় তা নিয়েও প্রতিবেদনে প্রশ্ন রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাবেরই ৮ম পৃষ্ষ্টাঠায় দুর্নীতি নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম: “দিনাজপুরে বালু দিয়ে কোটি টাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।”
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার আজ প্রধান শিরোনাম ছিল: “এত সম্পদ গেল কোথায়”। এই প্রতিবেদনে ডেসটিনি, হলমার্ক, যুবক-এর প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, ভোগ-দখলের বিষয়গুলো উঠে এসেছে।