সন্তানের প্রতি পিতামাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য।।

মনে রাখবেন শুয়োর কুকুর ও সন্তান জন্ম দিয়ে লালন পালন করে আপনার সন্তানের কাছে বৃদ্ধ বয়সে বোঝা হবেন না কিয়ামতে ও জাহান্নামি হবেন না সন্তানের অভিযোগে যদি আল্লাহর আইন মতে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
**** কিয়ামতের দিন আপনার বিরুদ্ধে সন্তান অভিযোগ করবে হে আল্লাহ আমার অভিভাবক পিতা মাতা আমাদের কে আপনার আইন শিখায়নি বলেনি
আমাদের কে জান্নাতের পথ দেখায়নি বলে আমরা ভুলপথে ছিলাম খেলতামাশা ভোগবাদী ছিলাম আমাদের কোন দোষ নেই।
পিতা মাতা কিয়ামতের ময়দানে আটকে যাবেন। সময় আছে নিজ ছেলে মেয়েকে ফরহেজগারিতার পথ দেখান। জান্নাতের পথ।

আপনার সন্তানকি আর্জেন্টিনা ব্রাজিল জার্মানি ইত্যাদি খেলতামাশায় ব্যাস্থ??
জেনে রাখো,পার্থিব জীবনতো কেবল খেল তামাশা এবং জাঁকজমক ও পরস্পর আত্মগর্ব করা,আর ধন সম্পদ ও সন্তান সন্তুতি সম্বন্ধে একে অন্যের অপেক্ষা প্রাচুর্য বর্ননা করা মাত্র।যেমন বৃষ্টি বর্ষিত হলে এর সাহায্যে উৎপন্ন ফসল কৃষকদের আনন্দ দেয়,এরপর তা শুকিয়ে যায় এবং তুমি তাকে হলুদ বর্ণের দেখতে পাও।এরপর তা চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায়।আর পরকালে রয়েছে কঠোর শাস্তি;আর আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি।আর পার্থিব জীবন হচ্ছে প্রতারনার উপকরনমাত্র।
সুরা হাদীদ:২০

★”আর এই পার্থিব জীবন একমাত্র খেলতামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়,বস্তুতঃ পরকালের জীবনই হচ্ছে প্রকৃত জীবন।যদি তারা তা জানত।”সুরা আনকাবুত-৬৪

আপনার সন্তানের বন্ধু কারা? সেই কাকে ভালোবাসে? কার জন্য প্রাণ দিচ্ছে মারামারি করতেছে মিছিল করতেছে???
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
সূরা আল-মায়িদাহ আয়াত ৫১

আপনার সন্তান পতাকা লাগাচ্ছে?
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।
সূরা বনি ইসরাইল ১৭:২৭।

★***আপনার সন্তান খেলতামাশায় ব্যাস্ত আর আপনি তাসবিহ হাতে? আপনি নিজ সন্তানকে উপদেশ দিয়েছেন দিচ্ছেন?
সুরা লোকমান ১৩-২৫
যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বললঃ হে বৎস, আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা অন্যায়।

আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।

পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।

হে বৎস, কোন বস্তু যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় অতঃপর তা যদি থাকে প্রস্তর গর্ভে অথবা আকাশে অথবা ভূ-গর্ভে, তবে আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ গোপন ভেদ জানেন, সবকিছুর খবর রাখেন।

হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।

অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।

পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।

তোমরা কি দেখ না আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে যাকিছু আছে, সবই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করে দিয়েছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতসমূহ পরিপূর্ন করে দিয়েছেন? এমন লোক ও আছে; যারা জ্ঞান, পথনির্দেশ ও উজ্জল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করে।

তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তোমরা তার অনুসরণ কর, তখন তারা বলে, বরং আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছি, তারই অনুসরণ করব। শয়তান যদি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির দিকে দাওয়াত দেয়, তবুও কি?

যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ণ হয়ে স্বীয় মুখমন্ডলকে আল্লাহ অভিমূখী করে, সে এক মজবুত হাতল ধারণ করে, সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর দিকে।

যে ব্যক্তি কুফরী করে তার কুফরী যেন আপনাকে চিন্তিত না করে। আমারই দিকে তাদের প্রত্যাবর্তন, অতঃপর আমি তাদের কর্ম সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করব। অন্তরে যা কিছু রয়েছে, সে সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ পরিজ্ঞাত।

আমি তাদেরকে স্বল্পকালের জন্যে ভোগবিলাস করতে দেব, অতঃপর তাদেরকে বাধ্য করব গুরুতর শাস্তি ভোগ করতে।

আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল কে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বলুন, সকল প্রশংসাই আল্লাহর। বরং তাদের অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না।

★আপনি আপনার সন্তানকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে রক্ষার চেস্টা করতেছেন?
সূরা আত-তাহরীম আয়াত ৬৬:৬
মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে।