ঢাকার ভয়ঙ্কর ফাঁদগুলো জেনে নিন। বহুত ফায়দা হবে।

ঢাকার ভয়ঙ্কর ফাঁদগুলো- কর্মসংস্থানের সন্ধানে ঢাকায় আসছে মানুষ। তাই দিন যত যাচ্ছে মানুষের সংখ্যাও তেমন বাড়ছে। আর এসব মানুষকে বোকা বানিয়ে চুরি ও ছিনতাইয়ের চক্রগুলোও যেনে বেড়ে যাচ্ছে।
দিন দিন বাড়ছে এসব চক্রের সংখ্যা আর ভিন্ন ভিন্ন কৌশল। আপনিও পড়তে পারেন এসব ভয়ঙ্কর ফাঁদে। তাই আগে থেকেই জেনে নিনি ভয়ঙ্কর ফাঁদগুলো সম্পর্কে।
১। ফার্মগেটে হঠাৎ দেখতে পেলেন, কতগুলো মানুষ একজন মানুষকে মেরে রক্তাত্ত করছে, আর সে আপনাকে বলছে ভাই, সাহায্য করেন। আপনি দয়া দেখাতে গিয়ে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলেই বিপদ হতে পারে। ওরা আপনাকে মেরে সব কিছু নিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
২। ওভার ব্রিজ এর উপর মহিলা কাঁদছে। সে যার সাথে দেখা করবে, তার মোবাইলে কল দিতে হবে, কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। বলবে আপনার মোবাইল দিয়ে সেই লোকের নাম্বারে মিসকল দিলেও সে ব্যাক করবে। আপনি কল দিলেন তো ফাঁদে পড়লেন। ওরা নিরীহ মানুষ দেখে তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ও পরবর্তীতে সেই নাম্বারে কল করে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়, রাজী হলে আপনাকে তাদের আস্তানাতে নিয়ে ব্লাক মেইল করবে।
৩। শাহবাগ, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী জ্যামে আটকে আছেন, নানা ধরনের লিফলেট যেমনঃ দুর্বলতা, রোগে, নানা লোভে আপনাকে ফাঁদে ফেলার ব্যবস্থা। এমনও অফার, বলে যে, রুম ডেট এর ব্যবস্থা আছে।
৪। রাস্তায় সুন্দর চোখ এর বোরকাওয়ালি আপনার সাথে কথা বলতে চায়, প্রেমের প্রস্তাব নয়, কিন্তু ইশারা করে যে, আপনি ভাববেন, একটু চেষ্টা করলে কাছে পাবেন। যদি তাই ভাবেন, তবে ধরা পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
আপনাকে তাদের আস্তানায় নিবে, তারপর আর কিছু আপনার করা লাগবে না। সব হারাবেন। মেয়ে দিয়ে ব্লাক মেইল করবে।
৫। গাবতলী, সায়েদাবাদ, কিংবা সদরঘাট, মাওয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বসে আছেন, দেখলেন যে বাইরে তাস, লুডু ইত্যাদি খেলছে, কাছে গেলেন কি ফেঁসে গেলেন।
৬। যাত্রাপথে অপরিচিত লোক এর সাথে মতবিনিময় করবেন খুবই কম। আপনি যে স্থানে যাবেন, সে স্থান যেন আপনার পরিচিত।
৭। রেলগাড়ির ছাঁদে চলাচল করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এক দল ছেলে পাওয়া যায়, যারা রেলের ছাদের উপর থেকে ছিনতাই করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়।
৮। লঞ্চে কম যাত্রী থাকলে উঠবেন না।
৯। যারা দ্রুত যাতায়াতের জন্য স্পীড বোটে যাতায়াত করবেন, তারা টাকা বা মুল্যবান কিছু সাথে নিবেন না। কারণ দেখা যায়, এক দল আছে, যারা বোট ছাড়ার পর নির্জন স্থানে বোট ভিড়িয়ে ছিনতাই করে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে।
১০। হেঁটে যেতে হলে বিভিন্ন বাসের মাঝখান দিয়ে যাওয়া অনুচিত। কারণ, নেশাখোর ওঁত পেতে থাকে ছিনতাই এর জন্য। আবার হঠাৎ বাস চলতে শুরু করে আপনাকে পিষে ফেলতে পারে।