ফিতনা-ফাসাদের সময় উপাসনা করার ফযীলত।।
পরিচ্ছদ ১।।
মা’ক্বিল ইবনে য়্যাসার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ফিতনা-ফাসাদের সময় ইবাদত-বন্দেগী করা, আমার দিকে ‘হিজরত’ করার সমতুল্য।” (মুসলিম ৭৫৮৮, মিশকাত ৫৩৯১ নং) * (ঈমান ও দ্বীন বাঁচানোর জন্য স্বদেশত্যাগ করাকে ‘হিজরত’ করা বলে।) [হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস]
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “ফিতনায় সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যে তার ঘোড়ার লাগাম ধরে আল্লাহর দুশমনদের পিছনে ধাওয়া করে, তাদেরকে ভয় দেখায় এবং তারা তাকে ভয় দেখায়। আর সেই ব্যক্তি, যে কোন বেদুঈন (জনহীন) এলাকায় পৃথক বসবাস ক’রে তার উপর আল্লাহর (নির্ধারিত) হক আদায় করে।” (হাকেম ৮৩৮০, ৮৪৩৩, সিঃ সহীহাহ ৬৯৮ নং) [হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস]
আবূ ষা’লাবাহ খুশানী কর্তৃক থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “তোমাদের পরবর্তীতে আছে ধৈর্যের যুগ। সে (যুগে) ধৈর্যশীল হবে মুষ্টিতে অঙ্গার ধারণকারীর মতো। সে যুগের আমলকারীর হবে পঞ্চাশ জন পুরুষের সমান সওয়াব।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রসূল! পঞ্চাশ জন পুরুষ আমাদের মধ্য হতে, নাকি তাদের মধ্য হতে?’ তিনি বললেন, “না, বরং তোমাদের মধ্য হতে!” অন্য বর্ণনায় আছে, “তোমাদের পঞ্চাশজন শহীদের সমান সওয়াব!” (আবূ দাঊদ ৪৩৪৩, তিরমিযী ৩০৫৮, ইবনে মাজাহ ৪০১৪, ত্বাবারানী ১৮০৩৩, সঃ জামে’ ২২৩৪ নং) [হাদিসের মানঃসহিহ হাদিস]