খুব শীঘ্রই আগুনের গোলা হয়ে উঠবে এ পৃথিবীঃ স্টিফেন উইলয়াম হকিং
ড. ওমর ফারুক সম্পাদিত।। তারিখঃ ৭ নভেম্বর ২০১৭।।
খ্যাতিমান ইংরেজ দার্শনিক, পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ স্টিফেন হকিং-এর বক্তব্যকে ঘিরে বারবারই আলোড়ন ওঠে। গণ মাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সর্বত্রই। ৬০০ বছরের মধ্যেই আগুনের গোলা হয়ে উঠবে এ পৃথিবী৷ জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং শক্তির ব্যয়ের জন্যই এমনটা ঘটবে বলে চিনের Tencent WE Summit-এর একটি ভিডিওতে বলেন বিশ্ববিখ্যাত এ বিজ্ঞানী৷ সেই সঙ্গে তিনি এও জানান, মানব অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে৷ টিকে থাকতে গেলে এমন এক স্থানে যেতে হবে, যেখানে এর আগে কেউ যায় নি৷
হকিং এর জন্ম ১৯৪২ সালে, বাবা ড. ফ্রাঙ্ক হকিং একজন জীববিজ্ঞান গবেষক ও মা ইসোবেল হকিং একজন রাজনৈতিক কর্মী। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত হকিং সেন্ট অ্যালবার মেয়েদের স্কুলে পড়েন (সে সময় ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেরা মেয়েদের স্কুলে পড়তে পারতো ) । পরে সেখান থেকে ছেলেদের স্কুলে চলে যান। স্কুলে তার রেজাল্ট ভাল ছিল বটে তবে অসাধারণ ছিল না। বিজ্ঞানে হকিংয়ের সহজাত আগ্রহ ছিল। হকিংয়ের বাবার ইচ্ছে ছিল হকিং যেন তার মতো ডাক্তার হয়। কিন্তু হকিং গণিত পড়ার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু যেহেতু সেখানে গণিতের কোর্স পড়ানো হতো না, সেজন্য হকিং পদার্থবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়া শুরু করেন। অক্সফোর্ডে থাকাকালীন সময়ে মার্ক মোটামুটি পেলেও বিজ্ঞানের প্রতি ব্যাপক কৌতূহলের জন্য সহপাঠীরা তাকে আইনস্টাইন বলে ডাকত ।
বর্তমান বিশ্বে জীবিত বিজ্ঞানীদের মধ্যে সেরা ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। তার সব গবেষণার কেন্দ্রে রয়েছে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও এর সম্প্রসারণ। কিন্তু যাপিত জীবন সম্পর্কেও তার রয়েছে তীক্ষ্ণ ধারণা। জীবন সম্পর্কে তিনি যেসব কথা বলেছেন, তার মধ্যে থেকে শ্রেষ্ঠ কিছু উক্তি সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষুরধার মেধার অধিকারী স্টিফেন হকিংকে মাত্র ২১ বছর বয়সে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তিনি কিছু দিনের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। মোটোর নিউরন নামে স্নায়ুঘটিত এক ধরনের রোগে ভুগছিলেন তিনি। এখন তার বয়স ৭২। প্রবীণ পদার্থবিদদের মধ্যে তিনি একজন। এখনো ক্যামব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কৃষ্ণগহ্বর গবেষক। তার লেখা “এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম” বইটি বেস্ট-সেলার হয়।
বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, Alpha Centauri হল সৌরজগতের নিকটতম এক গ্রহ যা ঠিক পৃথিবীর মতই বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে মানবজাতির কাছে৷ হকিং ন্যানোক্র্যাফ্ট নামে এমন এক স্পেসক্র্যাফ্টের কথা বলেছেন, যা মঙ্গলগ্রহে পৌঁছে দেবে এক ঘন্টারও কম সময়ে৷ প্লুটোতে পৌঁছাতে সময় লাগবে একদিনের মত, অন্যদিকে ২০ বছর সময় লাগবে Alpha Centauri-তে পৌঁছাতে ৷
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বোরিস্কা নামের এক রাশিয়ান তরুণের বক্তব্যে রীতিমত সাড়া পড়ে গিয়েছে৷ তার দাবি অনুযায়ী, সে পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার আগে মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা ছিল৷ অতীতে পরমাণু অস্ত্রের লড়াইয়ে বিদ্ধস্ত হয়ে যায় মঙ্গল৷ শুধু তাই নয়, মঙ্গলের বাসিন্দাদের উচ্চতা ৭ ফুট৷ মাটির নীচেই বাস তাদের৷ মানুষের মত অক্সিজেন নয়, কার্বন ডাই অক্সাইডেই শ্বাস-প্রশ্বাস পর্ব চলে তাদের৷
বোরিস্কার মতে, ৩৫ বছরের পর মঙ্গলের বাসিন্দাদের বয়স নাকি আর বাড়ে না। তাছাড়া তারা প্রযুক্তির দিক থেকেও খুবই উন্নত৷ এভাবেই লালগ্রহের বিভিন্ন কথা বলেছে রাশিয়ার এই তরুণ৷ স্কুলের ছাত্র বোরিস্কা আরও জানায়, প্রাচীন মিশরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মঙ্গলবাসীদের৷ তখন পাইলট হিসেবে সে একবার পৃথিবীতে এসেছিল৷