রোহিঙ্গা ইস্যুতে ‘বড় দাদা’ ভারতের সাহায্য চাইলেন।

May 27, 2018 1:39 am0 commentsViews: 32

ভারত বড় দাদা, বন্ধু ও দায়িত্বশীল প্রতিবেশী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজকের ছিটমহল, সব জায়গাতেই ভারতের সাহায্য ও স্পর্শ পেয়ে ধন্য।  এবার রোহিঙ্গা ইস্যুতেও ভারতের সাহায্য চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঐতিহ্যের বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ হয়ে উঠল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী স্থল। দুই দেশের নেতৃত্বই একে অপরের সঙ্গে মৈত্রী, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের কথা তুলে ধরলেন। ভাষণ দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের উপর বক্তব্য না রেখে নিজের মনের সব কথা উজাড় করে বললেন শেখ হাসিনা।

এদিন বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন, আমরা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। মানবতার খাতিরেই তাঁদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে। তবে আশা করছি মায়ানমার সরকার তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে।

বাংলাদেশ সরকার আগেই জানিয়েছে যে উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে ভীড় করা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে আন সান সু চি-র সরকারকে। তবে এখনও পর্যন্ত মায়ানমার সরকার সেভাবে ব্যবস্থা নেয়নি। আর এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

আর তাই শেখ হাসিনা সরাসরি ভারতে এসে এদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাহায্য চাইলেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সেদেশে ফিরিয়ে নিতে ভারত সু চি সরকারের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশের হয়ে মধ্যস্থতা করুক, এমনটাই চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডিলিট সম্মানে সম্মানিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীঃ

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট সম্মানে অভিভূত শেখ হাসিনা।ডিলিট সম্মান সমগ্র বাঙালি জাতীকে উত্‍সর্গ করেন শেখ হাসিনা । বলেন ডিলিটের আমন্ত্রন বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থাকলেও বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল এর জন্মদিনে তারই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট সম্মানের আমন্ত্রনে তিনি নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারেননি ।এদিন ডিলিট সম্মান পাওয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভূয়ষী প্রশংসা করলেন তিনি।পাশাপাশি কবি নজরুলের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিমান বন্দর গড়ে তোলায় সাধুবাদ জানান রাজ্যসরকারকে। বলেন নজরুলকে নিয়ে দুই বাংলাতেই কাজ চলছে।আসলে রাজনৈতিক সীমারেখায় ভাগাভাগি থাকলেও রবীন্দ্র নাথ নজরুলকে ভাগ করা যায়নি ।তিনি আরো বলেন,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কবি নজরুল ও বঙ্গবন্ধু মুজিবরের মধ্যে কোথাও একটা মিল আছে।তারা উভয়েই বিদ্রোহের কারণেই কারাবাস করেছেন।তাই নজরুল বিদ্রোহী কবি হলে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান রাজনৈতিক কবি।এছাড়াও তিনি বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতায় প্রতিবেশী দেশ ভারতের ঋণ ভোলার নয়,তবে ভবিষ্যতে সন্ত্রাস মাদক ও হানাহানি প্রতিরোধে প্রতিবেশী দেশগুলির পারস্পরিক আরোবেশী সহযোগীতা দরকার ।এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১৯জন ছাত্রছাত্রীকে সম্মান জানানো হয় ।

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com