হাসিনা ও মমতার আলীপুরের হোটেলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক।



পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি উদয়ন আচার্যঃ টানা ৪০ মিনিট রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর দুজনই সৌজন্য সাক্ষাত্ বললেও আসলে এটা ছিল মূলতঃ তিস্তা নিয়ে দুই নেত্রীর নিতান্তই গোপন বৈঠক। শনিবার আসানসোল থেকে ফিরে বিকেলেই আলীপুরের তাজ বেঙ্গল হোটেলে দু’জনের এই বৈঠক হয়।
বৈঠকের শুরুতেই মমতা হাসিনাকে বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমনের নামে কলকাতায় তিনি একটি মিউজিয়াম বা যাদুঘর করতে চান। বাংলাদেশ চাইলে এ মিউজিয়াম থিয়েটার রোডে করতে পারেন। কারণ, বঙ্গবন্ধু এক সময় এখানে থেকে গিয়েছেন।
একটি সূত্রের খবর, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী মমতাকে বুঝিয়ে বলেন, তিস্তার উপর তাঁর ভোট ভাগ্য অনেকখানি নির্ভর করছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে প্রাণে চাইছে তিস্তা চুক্তি হোক। জল পাক বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তরফ থেকে সব রকমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। হাসিনা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের ভোটের আগে দেশে বিরোধীদলগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাইরে থেকে তাদের মদত দেওয়া হচ্ছে বলেও হাসিনা মমতাকে উল্লেখ করেন। এই শক্তিকে রুখতে তিস্তা চুক্তি শেখ হাসিনার জন্য বড় সাফল্য বয়ে আনবে। একদিকে যেমন বাংলাদেশের চাষ, জলসেচের জন্য এ জলের প্রয়োজন, তেমনি, রাজনৈতিক দিক থেকেও জরুরী। মমতাও এই আলোচনায় বুঝিয়ে দেন, তিনি আর আগের মত অনড় মনোভাব নিয়ে বসে নেই। আলোচনা যাতে টেবিলেই থেকে না যায়, তার জন্য উদ্যোগ নেবেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে দরকারে দ্রুত কথাও বলা হবে। তবে দু’জনই জানিয়ে দেন, প্রকাশ্যে তাঁরা তিস্তা প্রসঙ্গকে আনবেন না। দুজনের কথায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও পদ্মার ইলিশ প্রসঙ্গও ওঠে।
বৈঠকের আগে নেতাজি ভবনে যান শেখ হাসিনা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। আলীপুরের বৈঠকের শেষে
হাসিনা মমতাকে ঢাকা যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। দু’জনই দুজনকে উপহারও তুলে দেন।