।। বিনোদনমূলক ও হাস্যরসের সংবাদ সম্মেলন।।

May 2, 2018 10:15 pm0 commentsViews: 21
প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি তার সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে ২ মে, বুধবার, গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে একে একে সব সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী। কখনও জবাব দিতে গিয়ে মজা করেন। নিজে হাসেন। হেসে কুটি কুটি হন।  নিজে বিনোদন নেন এবং অন্যদেরও বিনোদন ও হাসি তামাশার ব্যবস্থা করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর হাস্যরসে উপস্থিত অনেকই ্বএ রকম ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বিনোদন পান ও হো হো করেও হেসে ওঠেন। সে সংবাদ সম্মেলন দেখে মনে হবে, এটি মূলত কোন সংবাদ সম্মেলন তো নয়ই, ভুলে কেউ ভাবতেই পারে, না জানি কোন কৌতুকাভিনেতার উপস্থাপনায় কোন হাস্যরসের একটি বিনোদন অনুষ্ঠান। এটি শুধু এবার নয়। প্রতিবারই তিনি যখন বিরাট সঙ্গী সাথী ও অনুগামীদের বহর নিয়ে জনগণের বহু ক্লেশের অর্থ ব্যয়ে বিশ্বের দু চারটা দেশে আনন্দ সফর করে আসেন, এরপরই গণভবনে এমন সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। সে সব সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকে এমন সব সাংবাদিক নামের ব্যক্তিবর্গ, তারা সাংবাদিক পদবীর আড়ালে আসলে মোসাহেব ও মোসাহেবা, সরকারি দলের কর্মী ও নেতা
 সম্মেলনে তাদের প্রশ্নের ধরন ও আচার আচরণ দেখে বুঝার কোন সুযোগ নেই যে, তারা পেশাগত ভাবে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। দিক শাবান মাহমুদের এক প্রশ্নের উত্তর শুরুর প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোনেন, একটা কথা আছে না! ঘি সব সময় খাঁটি হয়, জনসভা সব সময় বড় হয়। রাজনৈতিক দল সব সময় অবশ্যই সব থেকে বৃহৎ দল। নির্বাচন হলেই আমরা জয়ী হবো, নিশ্চয় সব সময় আমরা এটা বলব।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দী জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা অন্যায় কাজ করেছি, বলেন তো অন্যায়টা কী? একজন নিরাপরাধ মানুষ, ফাতেমা বেগম। উনার (খালেদা জিয়া) এখন সাথে মেড সারভেন্ট (পরিচারিকা) লাগবে। আপনি বলেন যে, সাজাপ্রাপ্ত কোন আসামিকে কবে কে কোন দেশে, মেড সারভেন্ট সাপ্লাই দিছে। তাদের সে দাবিও আমরা মেনে নিয়ে আমাদের হোম মিনিস্টার দয়াপরবশ হয়ে তাকে তার মেড সারভেন্ট পর্যন্ত সাথে দিয়ে দিছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থাও তো এত সোচ্চার, তারা কেউ কিন্তু সোচ্চার হয় নাই। একজন নিরাপরাধ মানুষ কেন খামাখা জেল খাটবে? তার পরও যদি একটা ভালো বেতন-টেতন দিত, তাও না। কত বেতন দেয় সেটা জিজ্ঞেস করে নেন। আমি আর বলতে চাই না।’
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যার একখান গাড়ি চলত না, সেই পরিবার এখন তিনখান গাড়ি চালায়। অর্থনীতির এটাও একটা ইনডেকেটর।’
আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ট্রাফিক জ্যাম তো পৃথিবীর সব দেশে আছে। লন্ডনে কী অবস্থা? কয় ঘণ্টা আগে বের হতে হয়? একটা প্রোগ্রাম ধরতে গেলে তিন ঘণ্টা আগে বের হতে হয়। আমাদের এখানে তো তাও চলে, ওখানে চলেও না। একটার সাথে একটা লেগেই থাকে। ঠিক একই অবস্থা ইটালিতে, যেখানে যাচ্ছি, সবখানেই একই অবস্থা।’
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাংবাদিক রেজওয়ানের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। শেষে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর আছে কিছু,নাই? পেট ভরছে? মন ভরছে?’

কটি ‘অন্যায়’ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একজন নিরপরাধ মানুষকে কারাগারে যেতে দিয়েছেন তিনি।

সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে বুধবার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমকে কারাগারে তার সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মতোই তাকে চার দেয়ালের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। তিনিও বের হতে পারেন না।

খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন বিএনপি নেত্রীকে সরকার গ্রেপ্তার করেনি, আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা অন্যায় কাজ করেছি। বলেন তো অন্যায়টা কী? একটা নিরাপরাধ মানুষ, ফতেমা বেগম…’

‘একটা নিরপরাধ মানুষকেও জেল খাটতে হচ্ছে খালেদা জিয়ার কারণে যিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কোনো মানবাধিকার সংস্থা একটা টু শব্দ করে না যে বিনা বিচারে, বিনা সাজায়, বিনা কারণে কেন একজন মহিলা জেল খাটবে বলেন?’

এই সুযোগ নজিরবিহীন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) এখন মেইড সার্ভেন্ট লাগবে। আপনি বলেন যে সাজাপ্রাপ্ত কোন আসামিকে কে কোন দেশে মেইড সার্ভেন্ট সাপ্লাই দিয়েছে?’

‘তাদের সে দাবি মেনে নিয়েও আমাদের হোম মিনিস্টার দয়াপরশ হয়ে তাকে তার মেইড সার্ভেন্ট দিয়ে দিয়েছেন।’

‘আমি জানি না মানবাধিকার সংস্থা এত সোচ্চার। তারাও কিন্তু সোচ্চার হয়নি একজন নিরপরাধ মানুষ কেন খামাখা জেল খাটবে?’

‘তারপরও যদি ভালো বেতন দেয়, সেটাও হতো, কত বেতন দেয়, সেটা জিজ্ঞেস করে নিয়েন, আমি আর বলতে চাই না’-বলেন শেখ হাসিনা।

কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তার চিকিৎসার ব্যবস্থা, হাসপাতালে এনে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তার ওষুধ রাখার জন্য ফ্রিজ লাগবে, সে ফ্রিজের ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়েছে। আর কত শুনবেন? বলেন?’

বিএনপি নেত্রীর মামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতিমের টাকা চুরি করে সে এখন কারাগারে। ১০ বছরের মধ্যে বিএনপি প্রমাণ করতে পারল না, বড় বড় আইনজীবীরা যে, সে নিরপরাধ। আর চিৎকার করে, আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে।’

 
আমাদের সময়

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com