Pat Condell এর টুইটঃ আমার রাজ্যের ভাবনা।।

স্থানীয় সময়ঃ ১৩ মার্চ বিকেল ৬টা।
লন্ডনের Pat Condell নামে একজন সুপরিচিত লেখক ও একজন ফলোয়ারের টুইটারে পড়লামঃ
Pat Condel এর Tweet এ রকম ভাষাঃ The integrity of our electoral system is “vulnerable” to voter fraud imported by the Labour Party from Pakistan and Bangladesh. If we don’t stop it now, the inclusion and diversity crowd will ensure that the country ends up like Tower Hamlets.
প্যাট্রিক কোন্ডেল একজন লেখক, বিশ্লেষক এবং সাবেক স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান। ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকের দিকে তিনি ‘অল্টারনেটিভ কমেডি’ রচনা ও প্রদর্শন করে ‘টাইমআউট কমেডিয়ান এ্যাওয়ার্ড’ এর মত মর্যাদাকর পুরষ্কারও লাভ করেন। তিনি সেকুলারিস্ট ও ফ্রি স্পিচ ফান্ডামেন্ডালিস্ট হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, নিজেকে একজন ‘ Pro-Brexit. Pro-Trump. Pro-Israel. Pro-western civilisation’ হিসেবে পরিচয় দিতে। এক সময় পাব এন্টারটেইনারও ছিলেন তিনি।
যদিও আমি Pat Condel কে কোন রকম সমর্থন করার প্রশ্ন তো নেই ই, বরং আমি তার এ রকম ভাষা প্রয়োগের তীব্র নিন্দা জানাই। যে জিনিসের জন্য আমি অনেক কষ্ট ও যত্ন করে তার পরিচিতি ও তার টুইট সম্পর্কে একটু বিধৃত করতে অনুবাদ করলাম, তা হলঃ ক’দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেনঃ “বাংলাদেশ শিক্ষা বিদেশে রপ্তানি করবে।” বিষয়টি আমার নিকট হাস্যাষ্পদ তখন লাগলেও এখন আর লাগে না। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অনেক কিছুই শিখছে। এগুলো আমরা রপ্তানি করছি। যেমন ফিলিপাইন খুব ঘটা করেই শিখেছে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কীভাবে সুসম্পন্ন ভাবে রুপ দিতে হয়। তাছাড়া ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট চীনকে সেধে সেধে অফার দিচ্ছে যে, ’আমরা স্বার্বভৌম রাষ্ট্র থাকতে চাই না। আমাদের গিলে ফেল। একটু শান্তি পাই।’ Pat Condel বলছে, ভোটার জালিয়াতি, নির্বাচনী জালিয়াতি ইত্যাদি ইউকে তে আমদানি নাকি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকেই। আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি কোন এক কাকডাকা ভোরে বলে বসে, বিরোধীদলকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় এবং কিভাবে ৫ জানুয়ারি স্টাইলের নির্বাচন করা যায়, সেটি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছে, তাহলে কিন্তু অস্বীকার করার জো থাকবে না। হয়েছেও তো তাই। হিলারিই তো গত ২০১৬ ইলেকশনে জয়লাভ করেছিল। রাশিয়া’র সহযোগিতায় হিলারিকে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে জয়ের মালা নিয়ে নিলেন ট্রাম্প। তেমনি বাংলাদেশেও। ভারত হস্তক্ষেপ করে জনপ্রিয় দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটকে ল্যাং মেরে আওয়ামী লীগ জনসমর্থনহীন হওয়ার পরও ক্ষমতায় এলো এবং এখনও কিভাবে টিকে থাকবে, তা তারা তাদের মাসল শক্তি এবং অন্য যে কোন ধরনের হিংস্র কোৗশল ও পদ্ধতি তা আছে, সেটি ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে তারা বিরোধীদলের সকল সামর্থবান ও দেশপ্রেমিক নেতা ও কর্মীদের পরপারে পাঠিয়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতায় থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি বলেই বসে, এ সবই আমি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চলেছি, অস্বীকার করবেন কি দিয়ে?
আমাকে কোন দলের ট্যাগ লাগিয়ে লাভ নেই। আমি কোন দলভুক্ত নই। আমি বিবেকের তাড়নায় লিখি। আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি যদি দেখি, আওয়ামী লীগ সুশাসন উপহার দিচ্ছে জাতিকে, এ দলকে আমার অভিনন্দন জানাতে আপত্তি থাকর কথা নয়। তেমনি বিএনপি বা জামায়াত যদি সুশাসন দেয় ও আদর্শ নৈতিকতা সম্পন্ন নাগরিক তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর হয়, সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা থাকে, আমার সমর্থন দিতে আপত্তি নেই। আমি মনে করি, কোন অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানুষ ছাড়া সকলেই সমর্থন এ রকম দলকে দেবে।
অতএব আমরা প্রতিটি নাগরিক এভাবে ভাবতে হবে, আল্লাহ একদিন জিজ্ঞেস করবে, তুমি তোমার জ্ঞান, বিবেক ও সামর্থকে কি কাজে ব্যয় করেছ? অথবা মানুষ দুঃসহ জীবন যাপন করেছে, তুমি তাদের মুক্তির জন্য তোমার জ্ঞানকে কাজে লাগাও নি কেন? তখন মূলতঃ মসজিদে গিয়ে শুধু জিকির করে কাটিয়েছি বলে কতটুকু নিস্তার পাওয়া যাবে, সেটি একটু চিন্তা ও গবেষণার বিষয়। মহান স্রষ্টা আমাদের বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন পদক্ষেপের আলোকে কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন।