পরমানু অস্ত্র প্রতিযোগিতায় কী তাহলে ভারতের চেয়ে পাকিস্তােই এগিয়ে!
পরমাণু বোমা বানানোর প্রতিযোগিতায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। ভারতের থেকে তাদের অস্ত্র রয়েছে ১০টির বেশি পরমাণু অস্ত্র। পরমাণু বোমা বিষয়ক সংস্থার ‘বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টে’ উঠে এসেছে এমনই তথ্য। গত কয়েক বছরের নিরিখে তৈরি ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১২০টি পরমাণু বোমা। এ সংস্থার নিউক্লিয়ার নোটবুকে স্মরণ করা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পরমাণু বোমার পরীক্ষা করেছিল ভারত ও পাকিস্তান। আর এর মধ্যে দিয়েই দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু বোমা তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ২০০২ সাল থেকেই পরমাণু অস্ত্র সম্ভারে ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। যদিও গুণমানের নিরিখে পাকিস্তানের পরমাণু বোমাগুলি ‘ডার্টি বম্ব’ ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারতের পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার সেই তুলনায় অনেক উন্নত। ভারত প্রথম এক্ষেত্রে তার যাত্রা শুরু করে ইন্দিরা গান্ধীর জমানায়, ১৯৭৪ সালে। সেই প্রথম পোখরানে ভারত পরীক্ষামূলকভাবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে। যার নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের পরমাণু বিশেষজ্ঞ ড. হোমি ভাবা। পাক সেনাশাসক জেনারেল জিয়াউল হকের আমলে পাকিস্তন প্রথম পরমাণু বোমা বানাতে উদ্যোগী হয়। পাকিস্তানের হয়ে এ কাজে হাত দেন ড. আবদুল কাদির খান। যাঁকে ‘ইসলামিক বম্ব’-এর জন্মদাতা বলে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়। কিন্তু ভাবার কৃতিত্বের সঙ্গে আবদুল কাদের খানের কৃতিত্বের তুলনা কোনও মতেই টানা চলে না। তার কারণ, ইসলামি বোমার নকশা কাদের খান বিদেশে কর্মরত থাকাকালীন হুবহু চুরি করেছিলেন। যার জন্য ডাচ আদালতে তাঁর নামে মামলাও রুজু হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে দ্বিতীয় পোখরান বিস্ফোরণের পর দু’দেশের মধ্যে পরমাণু বোমা বানানোর প্রতিযোগিতা মারাত্মক আকার নেয়। সেই সময় ভারতের ওই পরীক্ষার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। পক্ষান্তরে, পাকিস্তানের যাবতীয় বোমার কৃতিত্ব দাবি করেন আবদুল কাদের খান। কারণ ততদিনে তিনি নিজের চুরি করা নকশা উত্তর কোরিয়া, এমনকী কট্টরপন্থী মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের পর্যন্ত পাচার করে এবং তার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ ও প্রযুক্তি হস্তগত করে ফেলেন। যদিও পরে জানা যায়, পাকিস্তানের দ্বিতীয়বারের পরমাণু পরীক্ষার নেপথ্যে ছিলেন পাক বিজ্ঞানী মাকবরমন্দ। কার্যত অধঃস্তনের কৃতিত্ব একান্ত তাঁর নিজের বলে চালাতে চেয়েছিলেন আবদুল কাদের খান।