আপনার এই আঙুলই বলে দেবে জীবনের রহস্যময় সব গোপন কথা
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক সম্পাদিত।।
হস্তরেখা বিজ্ঞানে বুড়ো আঙুলকে নাকি চরিত্রের আয়না বলা হয়৷ এ আঙুল দেখেই একজন ব্যক্তি সম্পর্কে অনেক গোপন কথা আপনি বুঝে যেতে পারে ন৷ যেমন, তার অর্থনৈতিক অবস্থা, তার ব্যাংক ব্যালেন্স, যৌন সম্পর্ক এবং রোগ সম্পর্কেও৷
* বলা হয়ে থাকে, যার বুড়ো আঙুল লম্বা হয় সে বুদ্ধিমান এবং উদার হয়৷ এঁরা শৌখিনও হয়ে থাকে৷ যদি এই আঙুল তর্জনীর দ্বিতীয় দাগ পর্যন্ত পৌঁছয় তাহলে সেই ব্যক্তি সৎ হয় এবং কখনও কারও ক্ষতিসাধন করে না৷
* এ আঙুলটি ছোট হওয়াকে শুভ মনে করা হয় না৷ এমন মানুষদের পয়সা ধার দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ, কারণ বলা হয়ে থাকে এতে পয়সা ফেরৎ না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে৷ এদের পারিবারিক জীবন সুখের হয় না এবং অনেক সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে এরা৷
* বুড়ো আঙুলটি বেশি চওড়া হলে মনে করা হয় সেই ব্যক্তি খরচ করতে ভালবাসে৷ আর এ ধরনের মানুষেরা অনেক সময়ই খারাপ স্বভাব বা সঙ্গতে জড়িয়ে পড়ে৷
* এই আঙুলটি নিচে সরু এবং ওপরের দিকে মোটা হলে, সেই ব্যক্তি শঙ্কায় থাকে বেশির ভাগ সময়ে এবং তার কাজে বিভিন্ন সময়ে বাধা আসতে থাকে৷ কিন্তু তার হাত ভারি হলে তার কাজে উন্নতি অবশ্যম্ভাবী৷
* এই আঙুল সরু এবং লম্বা হলে ব্যাক্তি শান্ত স্বভাবের হয়৷ এমন ব্যক্তি নিজের কামনা-বাসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে৷ এঁরা ভাবুকও হয়ে থাকে৷
কব্জিতে এ রেখা আছে? জেনে নিন কী হতে চলেছে আপনার জীবনে?
কথায় আছে- ’কপালের লিখন, যাবে না তো খণ্ডন’। কিন্তু কপাল দেখে বোঝা যায় না যে, আপনার ভবিষ্যত জীবনে কী হতে চলেছে । সে সব বোঝা যাবে, কপাল দেখে নয়, আপনার হাতের কব্জি দেখে। আপনার হাতের কব্জিতে যদি ব্রেসলেট লাইন থাকে, তাহলে সেটাই আপনা ভবিষ্যত নির্ধারক। হাতের তালুর ঠিক নিচে কব্জিতে পরপর কয়েকটি রেখা থাকলে তাকেই বলে ব্রেসলেট লাইন।
এ ব্রেসলেট লাইন বলে দিতে পারে, আপনার আয়ু থেকে নিয়ে আর্থিক অবস্থা। অধিকাংশ মানুষের হাতেই থাকে তিনটি করে ব্রেসলেট লাইন। আর যাদের হাতে চারটি লাইন থাকে, মূলত তারা ভাগ্যবান হন। কিন্তু প্রতিটি রেখার আলাদা আলাদা মানে আছে।
১) প্রথম রেখাটি, হাতের তালুর ঠিক নিচে, স্পষ্ট এবং লম্বা হলে বুঝতে হবে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভাল আছে। আর যদি এ রেখার মধ্যে ফাঁক দেখা যায়, তাহলে বোঝা উচিত যে আপনার স্বাস্থ্য ভাল নেই। শীঘ্রই খেয়াল করা উচিত।
২) দ্বিতীয় রেখাটি স্পষ্ট ও লম্বা হলে আপনার হাতে অর্থ আসতে চলেছে। এ রেখা যদি অস্পষ্ট হয় এবং মাঝে ভাঙা থাকে তাহলে আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নেই আপনার।
৩) তৃতীয় রেখাটিও স্পষ্ট হলে বুঝতে হবে আপনি সমাজে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
৪) চতুর্থ রেখাটি সবার হাতে থাকে না। তৃতীয় রেখাটির সমান্তরাল বরাবর যাদের হাতে চতুর্থ রেখাটি থাকে, তাদের জীবনে খ্যাতি সম্মান ও সমৃদ্ধি তিনটিই থাকে।
হাতে এ রেখা থাকলে কিন্তু সম্পত্তি লাভ হতে পারে!
অনেকেই এটা মনে করেন যে, ভাগ্য না থাকলে কিছু হয় না, ভাগ্যই সবকিছু ঠিক করে রাখে৷ তাই একাংশ ভাগ্যকে মেনেও চলে ন৷ বিশ্বাস করেন হাতের রেখাতেও৷ আর হাতের রেখার সঙ্গেই নাকি জড়়িয়ে ভাগ্যরেখা, যা জানতে পারলে অনেক রহস্যের দরজাও খুলে যায় চোখের সামনে৷
হস্তরেখা বিজ্ঞান অনুসারে, হাতে জীবনরেখার পাশ দিয়ে শনি পর্বত পর্যন্ত রেখাটি হল ভাগ্যরেখা৷ ভাগ্যরেখা যদি জীবনরেখাকে ছুঁয়ে শনি পর্বত পর্যন্ত যায় তাহলে জীবনে উন্নতির পথে অনেক সমস্যার আসে৷ সংঘর্ষ করে এগিয়ে যেতে হয়৷ ভাগ্যরেখা জীবনরেখা থেকে বেরিয়ে এলে পরিবারের সাহায্য না পাওয়া সেই ব্যক্তিকে জীবনে একাই এগিয়ে যেতে হয় তাকে৷
তবে জীবনরেখা, ভাগ্যরেখা থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চললে, সেই ব্যক্তি ভাগ্য তাঁর সঙ্গে চলে৷ অল্প পরিশ্রম করেই উন্নতি হাতের মুঠোয় চলে আসে৷ জীবনে আনন্দ থাকে৷
ভাগ্যরেখা জীবনরেখার থেকে দূরে থাকলেও যদি শুরুতে তা মোটা এবং পরে সরু হয়ে যায় তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে উন্নতি অবধারিত এবং সেইসঙ্গে সম্পত্তি লাভের যোগও থাকে৷
মস্তিষ্ক রেখা থেকে ভাগ্য রেখা বেরিয়ে এলে তা শুভ মনে করা হয়৷ এ ধরনের ব্যক্তি তার বুদ্ধি এবং জ্ঞানের জোরে অনেক উন্নতি করে৷
যাঁদের দুই হাতের ভাগ্যরেখা একই রকম তারা পৈতৃক ব্যবসা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷
ভাগ্যরেখা যদি মস্তিষ্ক রেখার কাছে এসে থেমে যায় তাহলে সেই ব্যক্তির সন্তানসুখে ব্যাঘাত ঘটতে পারে৷ পরবর্তীকালেও অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়৷
তবে এসব কিছুই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল৷ কর্মই যে পরবর্তী পথ ঠিক করে দেয়, এ কথা বলাই বাহুল্য৷ তবে ভাগ্য যদি সঙ্গে থাকে, তাহলে যে পথ মসৃণ হয়ে যায়, এমনটা মনে করেন অনেকে৷
এ রেখা আপনার হাতে থাকলেই কিন্তু কেল্লাফতে!
আপনার হাতেই রয়েছে আপনার ভাগ্য৷ ভাবছেন পরিশ্রমের কথা বলছি? সে তো রয়েছেই৷ কিন্তু সাফল্যের জন্য অনেকের মতেই আরও কিছু ফ্যাক্টরও কাজ করে৷ তার মধ্যে নাকি রয়েছে হাতের রেখা৷ আপনার হাতে কি নিচের রেখাগুলি রয়েছে? একবার দেখে নিন তো এই ফাঁকে…
সূর্যরেখা- এই রেখা হাতের মধ্যভাগে থাকে৷ এই সূর্যরেখা রিং ফিঙ্গারের নিচে সূর্য পর্বতের দিকে যায়৷ এই রেখা অবশ্য সকলের হাতে থাকে না৷
জীবন রেখা- জীবন রেখা শুক্র ক্ষেত্রকে(বুড়ো আঙুলের নিচের অংশ) ঘিরে রাখে৷ এ রেখা তর্জনী এবং বুড়ো আঙুলের মাঝ থেকে শুরু হয়ে কব্জি পর্যন্ত যায়৷ এ রেখার ওপর ভিত্তি করেই ব্যক্তির আয়ু এবং দুর্ঘটনা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বিচার করা হয়ে থাকে৷
মস্তিষ্ক রেখা- এই রেখা হাতের মধ্যভাগে তির্যকভাবে থাকে৷ জীবনরেখার শুরুর দিকেই এই রেখা শুরু হয়৷ এখানে শুরু হয়ে মস্তিষ্ক রেখা হাতের অন্যদিকে এগিয়ে যায়৷ েই রেখা কোনও ব্যক্তির বৌদ্ধিক ক্ষমতাকে তুলে ধরে৷
হৃদয় রেখা- কম বেশি অনেকেই এ রেখার নাম শুনেছেন৷ হাতের সবথেকে ছোট আঙুলের নিচের অংশ থেকে এ রেখা শুরু হয় ইনডেক্স ফিঙ্গার বা তর্জনীর দিকে এই রেখা এগিয়ে যায়৷ এ রেখাও বৌদ্ধিক ক্ষমতা, আচার-বিচার এমনই বিভিন্ন বিষয়কে তুলে ধরে৷
তবে শেষ করার আগে একটা বিষয় আবারও বলতে হয়, রেখা যায় বলুক, আপনার পরিশ্রম-অধ্যবসায়ই কিন্তু সাফল্যের পথকে মসৃণ করে৷