ভারতের অদূরে মালদ্বীপের মুকুনুধুতে ওই অবজারভেটরি তৈরি করা হচ্ছে। এটি ভারত মহাসাগরের শিপিং রুটের মধ্যেই অবস্থিত। ওই অঞ্চল দিয়ে জাহাজ নিয়ে যেতে হয়। এটি ভারতের জলভাগের একেবারে গা ঘেঁষে রয়েছে আর ভারত ও মালদ্বীপের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই অবজারভেটরির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বছরেই চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে ‘প্রোটোকল’ নামে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তিতে অবজারভেটরি তৈরির উল্লেখ ছিল। একই সঙ্গে ‘ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ নামে আরও এক চুক্তি হয় দুই দেশের। মালদ্বীপের বিরোধী দলের দাবি, ভারতকে নিশ্চিত করতে হবে যে চীনের এ অবজারভেটরি আসলে ভারতকে ঘিরে রাখার একটা উদ্দেশ্য না হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে ভারত ও মালদ্বীপের নিরাপত্তাজনিত সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে। ঠিক এভাবেই দক্ষিণ চীন সাগরে অবজারভেটরি তৈরি করে আমেরিকাকে চাপে রেখেছে বেজিং। তাই মালদ্বীপের এই অবজারভেটরি ভারতের নিরাপত্তার নয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

মালদ্বীপের রাজনৈতির অস্থিরতার আঁচ ভারত-চীন সম্পর্কে যেন না পড়ে, কিছুদিন আগেই ভারতকে এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিল বেজিং-এর সরকারি কর্মকর্তারা৷ যদিও আগে চীন হুমকি দিয়েছে অযথা মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারত যেন নাক না গলায়৷ [কোলকাতা২৪]