প্রশ্নপত্র ফাঁস যুগ যুগ ধরে চলে আসছেঃ প্রধানমন্ত্রী।
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।
স্থানীয় সময়ঃ ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাতটা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, সংবাদ সম্মেলনে বললেন, “প্রশ্নপত্র ফাঁস নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে এটা চলে আসছে।” প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রশ্নপত্র ফাঁস বলে একটি সুর তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই বলে মন্ত্রী, সচিবকে চলে যেতে হবে?” জনগণের অর্থে বেতনভোগী দায়িত্বপ্রাপ্তদের যদি কোন দায়-দায়িত্ব না থাকে, তাহলে দায়টা কার? তবে কি দায়টা শুধুই দুর্ভাগা জাতির! প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, প্রশ্নফাঁকারীদের ধরিয়ে দেন, তাদের শাস্তি দেব।” গণমাধ্যমকর্মীরা বেতন ছাড়াই এবার প্রশ্ন পত্র ফাঁসের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের ধরবে। এই হল ১২টির বেশি ডক্টরেট ডিগ্রি সনদপ্রাপ্ত একজন প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য। সরকার, প্রশাসন, মন্ত্রণালয় কিংবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেতন নেবে, ঘুষও খাবে, জনগণের ওপর দুঃশাসনের দুর্বহ বোঝা চাপিয়ে দিতে ও অবৈধ ও জনগণের ম্যান্ডেটহীন িএকটা অবৈধ সকারকে টিকিয়ে রাখতে কলোনী’র সিপাহি ও পাইক পেয়াদার মত কাজ চালিয়ে যাবে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে সে সব সিন্ডিকেট দুর্বৃত্তদের দায়িত্ব পড়ল গিয়ে সাংবাদিক তথা গণমাধ্যমের সাথে জড়িতদের ওপর। তার ওপর তো তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয় ৩২ ধারার খড়গ মাথায় নিয়েই। এরপর আবার বুঝি মাধ্যমকর্মীরা প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত ডাকাতগুলোর সন্ধান দিয়ে আজীবন জেল খাটবে? হাহা । বুদ্ধি সবই আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তার মানে তাল গাছের গোড়ায় জল তোমরা সাংবাদিকরা দিবে। আর আগার রসটুকু খাবে দুর্বৃত্তদের পরিচালিত রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরাই। আলী ভদ্র বিধায় আগে নির্বোধ মনে করলেও এখন কিন্তু চালাক হয়েছে, তার মানে ছাড় দেবে না কোনকিছুতেই এখন আর জনগণ । দায়-দায়িত্ব সেসব গুলোকেই নিতে হবে, যারা প্রশ্ন ফাঁস সিন্ডিকেটের সাথে জাড়িত এবং বহু অন্যায় সুবিধাপ্রাপ্ত ও বেতনভোগী। এটাই রাষ্ট্র ও সরকার ব্যাবস্থার অমোঘ নিয়ম। আমার কাছে মনে হল প্রধানমন্ত্রী আজকেও যে সংবিধানের দোহাই দিলেন, তিনি সেই সংবিধানটাই কতটুকু যে বুঝতে পারেন না আমাদের বেকাকা মনে করে যা ইচ্ছে তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন!