রাবি প্রফেসর এনামুলকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করল কথিত ইন্টার্নি ডাক্তারী পেশার দুর্বৃত্তরা।

February 20, 2018 6:16 pm0 commentsViews: 11

সামান্য ঘটনার জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের প্রফেসর এনামুল জহিরকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

গত বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি,  রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ৩০ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে হাসপাতালের ৩০নং ওয়ার্ড দিয়ে প্রফেসর এনামুল জহির হেঁটে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক পিংকি’ নামে আজীবন নানান যুবকের সাথে টাঙ্কি মারা এক ডাক্তার হতে যাবে, এমন এক নারী’ র সাথে তার ধাক্কা লাগে। এতে ওইই নারী  মনে করে বাসে যে, অধ্যাাপক সাহেব বোধ হয়, তাকে এখানে রোগীদের সামনেই টাঙ্কি মারতে আসছে বুঝি। চোরের মনে চোর চোর চোর ভাব, সে আর কী। সে তার অন্য টাঙ্কি মারা আরেক ডাক্তার হতে আগ্রহী অর্থাৎ ইন্টার্ন চিকিৎসক, কে জানায় যে, তার সাথে নতুন অপরিচিত আরেকজন ১৪ ফেব্ররুয়ারি’র মজা লুটদেত এসেছে। পিঙ্কী অধ্যাপকের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে।   তার কথার প্রেক্ষিতে ওই অধ্যাপক তাকে ননসেন্স বলে সম্বোধন করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এ সময় পিংকি মোবাইল ফোনে বিষয়টি আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক কামালকে জানায়। তার সহকর্মী অন্য সব চিকিৎসা পেশায় শিক্ষানবীসে মানে ইন্টার্ন ডাক্তারদের তাৎক্ষণিক সবাইকে ফোনে ডেকে নিয়ে ৩০নং ওয়ার্ডে ছুটে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত নার্সরা অধ্যাপককে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তালা দেয়। কিন্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সেই তালা ভেঙে তাকে বাইরে বের করে বেধরক মারধর করে। তাদের মারধরের ফলে অধ্যাপক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে রাজপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দ্বারা মারধরে আহত হলেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানার পরে হাসপাতালের পরিচালক ঘটনাস্থলে যায়। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।

তবে ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎকের অভিযোগ, তাকে খারাপ ভাষায় গালি দেয়া হয়েছে। সে জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে। আর ওই শিক্ষকের দাবি, তিনি কোন খারাপ ভাষায় গালি দেন নি।

এদিকে, সামান্য বিষয় নিয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে ইন্টার্নদের মারমুখী আচরণকে ভাল চোখে দেখছেন না হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা। তারা বলছেন, সামান্য বিষয় নিয়ে রোগীর স্বজনদের মারধর করা কোনো ডাক্তারের কাজ নয়। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনকে মারধর করে। ওই ঘটনার কয়েকদিন আগে আরেক রোগীর স্বজনকে মারধর করে তারা। এভাবে একের পর এক মারধর চালিয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যাপককে উদ্ধার করেছে।। [আরটিএন অবলম্বনে]

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com