শেষাবধি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুঝি হেরেই গেলেন!
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।
স্থানীয় সময়ঃ ৯ ফেব্রুয়ারি রাত নয়টা।
সরকারের জনসমর্থন দেশে হয়ত শতকরা দশভাগ।এমনই ইঙ্গত দিলেন দেশ থেকে এক বন্ধু ও প্রথিতযশা সাংবাদিক নেতা। সংখ্যালঘুদের কাছেও আগের মত জনসমর্থন নেই। তারাও সরকারের দলীয় ধান্ধাবাজদের কাছ থেকে সুবিচার ও সুশাসন পায় নি বলে অভিযোগ করলেন। প্রসঙ্গক্রমে বলি, সাংবাদিক নেতা যখন আমার সাথে কথা বলছিলেন, তার সাথে বসা ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী এক সাংবাদিক ভাইও। সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে কে? অনেকই এক কথায় বলে ফেলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। না, তাও কিন্তু নয়। মূলতঃ ভারতই ঠেক দিয়ে রেখেছে হেলেদুলে পড়ে যাওয়া এ সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। সাভারে যেমন হেলে পড়েছিল রানা প্লাজা। তেমন করে এ সরকারও সবসময় আতঙ্কের মধ্যেই দিন গুজরান করেন। কখন যদি হেলে পড়ে যান। উপর দিয়ে মাঠে ময়দানে অনেক বড় বড় বুলি আওড়ালে কী হবে।ভেতরে ঠনঠন। কথায় বলে যত গর্জন তত বর্ষণ নয়। এবরাও সরকারের জন্য বড় ভয় ছিল, (তাদের ভাষ্যমতে দুনীতিবাজ ও অশিক্ষিত) খালেদা জিয়ার যে জনপ্রিয়তার প্রমাণ সরকার পেল, সারা দেশবাসী পেল এবং বিশ্বব্যাপী সকল রাষ্ট্র ও জাতি পেল, তা এক কথায অভাবনীয়। সরকারের লোকজনই বিশ্বাস করতে পারছিল না। এত জনপ্রিয়তা খালেদার! অবাক হয়ে দেশের সচেতন নাগরিকেরা তাকিয়ে রয়। এত বাধা ও বিাপত্তির পরও জনরোষ ও প্রতিবাদ রুদ্ধ হয় নি। রাস্তায় নামলে গুলি। গ্রেফতার এবং অবশেষে নির্ঘাত মৃত্যু কিংবা রিমান্ড। রিমান্ড তো এ সরকারের আমলে পান্তা ভাত। কে কখনও গুম হবে, কে কখনগ্রেফতার হবে, তারপর রিমান্ড হবে, কেউ কিন্তু জানে না।
অথচ এক নজরে দেখি তো, কে এই খালেদা জিয়া! একজন নিরেট গৃহবধু খালেদা জিয়া। রাজনীতির নয় ছয় কোনটি বুঝতেন না। এখনও বুঝেন না। জিয়াকে যেমন ইনু ভাইসহ অনেক জাসদের ভাইরা মিলে জোর করে ক্ষমতদায় বসিয়েছিল। খালেদাকেও অনেকটা জোর করে নেতাকর্মীরা দলের নেতৃত্বক হাতে দিয়েছিল। তার অধীনে ড. কামাল সিদ্দিকীর মত একজন সৎ ও প্রচণ্ড ব্যক্তিত্ববান জ্ঞানী মানুষটি মূখ্য সচিবের দায়িত্বব পালন করেছিলেন। আমি কামাল সিদ্দিকী সম্পর্কে জানি খুব কাছ থেকে। সচিবদের মধ্যে হাতে গোনা ক’জন সৎ ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। আমি তার অধীনে রিচার্স প্রজেক্টে ‘গবেষণা সহকর্মী’ হিসেবে কাজ করে তাঁকে খুব কাছে থেকে দেখার অভিজ্ঞতা আছে। এরপর আমি কথা বাড়াব না। শুধু কতগুলো লিঙ্ক দেব। সেগুলো দিয়েই বুঝে নেব, কে দেশের মানুষের নেত্রী। তবে একটি কথা বলি, দেশের মানুষের মাঝে ফ্যামিলি ডাইন্যাস্টি’র ব্যাপারে অত্যন্ত নেতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করি। বেগম জিয়াকেও বলি, এ থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্রের জন্য জামায়াতে ইসলামি থেকে কোন শিক্ষা নেওয়া যায় কিনা, তা ভেবে দেখলে মন্দ হবে বলে আমার কাছে মনে হয় না। দেশের স্বার্থেই ফ্যামিলি ডাইন্যাস্টি থেকে বেরুতে হবে।
এতকিছু করেও শেষাবধিও কথিত আন্ডার মেট্রিক খালেদার আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তার কাছে শেখ হাসিনা হেরেই গেলেন। বিদগ্ধজনরা বলছে, শেখ হাসিনার এবার বুঝি হেরে যাবার পালা শুরু হয়েই গেছে। আল্লাহ অধিক অবগত।