ইকোনমিস্টের ‘গণতন্ত্র সূচকে’ এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দুর্দশায় বাংলাদেশ
বিশ্বখ্যাত ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। আগের বছর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম। কিন্তু এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৮ ধাপ নেমে দাঁড়িয়েছে ৯২তম তে। লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিন তাদের ওয়েবসাইটে গতকাল বুধবার এই সূচক প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘হাইব্রিড শাসন’ (নিম্নমানের শাসন) ক্যাটাগরির দিকে ক্রমশ ধাবমান বাংলাদেশ। গণতন্ত্র সূচকে আবারো শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া রয়েছে সূচকের একেবারে শেষে। মোট ১০ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে সূচক নির্ধারণ করা হয়। এই ১০ পয়েন্টের মধ্যে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অর্জন ছিল ৫.৭৩। এবার তা এসে দাঁড়িয়েছে ৫.৪৩। এবার ইকোনমিস্টের এই সূচকে সাতটি মহাদেশের মধ্যে এশিয়া সার্বিক সূচকে নিচের দিকে রয়েছে। ১০ পয়েন্টের মধ্যে এশিয়ার গড় অর্জন ৫.৬৩। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ১০ পয়েন্টের মধ্যে সারাবিশ্বের গড় অর্জন ছিল ৫.৫২। কিন্তু এবার সার্বিক সূচকে এই গড়েও পতন এসেছে। এবার সার্বিক গড় নম্বর হলো ৫.৪৮। উল্লেখ্য, ইআইইউ হলো দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপের একটি গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী বিভাগ। এটি দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের একটি অঙ্গ সংগঠন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রথম ডেমোক্রেসি সূচক বা গণতন্ত্র সূচক প্রণয়ন শুরু করে দ্য ইকোনমিস্ট। তারপর সারা বিশ্বে মিডিয়ার স্বাধীনতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে একটি অভিন্ন জায়গা ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু তাতেও বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। বিশ্বের মাত্র ৩০টি দেশ ২০১৭ সালে পূর্ণাঙ্গ মিডিয়ার স্বাধীনতা ভোগ করে। এমন সুবিধা পাওয়া মানুষের সংখ্যা বিশ্বে শতকরা মাত্র ১১ ভাগ। অন্যদিকে বিশ্বের ৪৭টি দেশে তা অবাধ নয়। সূত্রঃ বিডিটুডে।