সিরিয়া সম্পর্কে ড. মুহাম্মদ আল-আরিফি’র ২০১৪ সালের একটি জ্বালাময়ী ভাষণ।।
নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।। স্থানীয় সময়ঃ ৩ জানুয়ারি ২০১৮ রাত নয়টা।।
আমরা প্রথমেই শায়খ আরিফী সম্পর্কে একটু জেনে নেই। তাহলে তাঁর ভাষণের গুরুত্ব সম্পর্কে সকলেরই একটু টনক নড়তেই পারে । তাঁর পুরো নামঃ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন মিলহি বিন মুহাম্মদ আল-আরিফি। বংশের দিক দিয়ে তিনি হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদের বংশধর । মা শা আল্লাহ। জন্মঃ ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই সৌদী আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন এ মহান ব্যক্তি । তিনি একজন বিজ্ঞ আলেম, সুললিত কণ্ঠের বক্তা এবং সুলেখক । তাঁর বাগ্মিতায় মুগ্ধ হয় সকলই। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সকল মানুষ মাখলুকাতই।
ড. মুহাম্মদ আল-আরিফি। আরববিশ্বের বিশিষ্ট দাঈ, শক্তিমান লেখক ও নন্দিত বক্তাদের অন্যতম। বক্তৃতা ও লেখালেখির মাধ্যমে তিনি আরব-অনারব সর্বত্র সাড়া জাগিয়েছেন। একজন দাঈ হিসেবেও ইতোমধ্যে তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দুনিয়ায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন দাম্মামে। রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ বিন সঊদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইসলামের মৌলিক নীতিমালা ও বিভিন্ন ধর্মের তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ বিষয়ে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে ১৯৯৬ সালে মাস্টার্স ও ২০০১ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য শিক্ষকগণ হলেন, সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ বিন বাজ রহ. (শাইখ বিন বাজ রহ.-এর ছোহবতে তিনি প্রায় পনের/ষোল বছর থাকার সৌভাগ্য লাভ করেন), বিখ্যাত হাদিস বিশারদ শাইখ মুহাম্মদ বিন ইসমাইল, শাইখ আবদুল্লাহ বিন কুউদ, শাইখ আবদুর রহমান বিন নাসের আল-বাররাক প্রমূখ।
ড. আরিফি একজন সুসাহিত্যিক। তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলী আরববিশ্বে সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে শীর্ষে। আরবিভাষায় ইতোমধ্যে তাঁর বিশটিরও অধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর একেকটি গ্রন্থের প্রচার-সংখ্যা অবাক হবার মত। এখানে তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ বিক্রয়-সংখ্যাসহ উল্লেখ করছি। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থঃ ইস্তামতি বিহায়াতিকা (Enjoy Your Life বাংলাঃ জীবন উপভোগ করুন) প্রকাশকঃ হুদহুদ প্রকাশন। গ্রন্থটির বিক্রয় সংখ্যাঃ ৩০লক্ষ এবং এটি ১১টি ভাষায় অনুদিত। আরেকটি গ্রন্থঃ নেহায়াতুল আলম (End Of The World বা মহাপ্রলয়) হুদহুদ প্রকাশন, বিক্রয়-সংখ্যাঃ ৩ লক্ষ এর বেশি। এটি ৬টি ভাষায় অনুদিত। আরেকটি গ্রন্থঃ ইন্নাহা মালিকা (তুমি সেই রাণী) অনুবাদঃ ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী। বিক্রয়-সংখ্যাঃ ১৫ লক্ষের বেশি। আরও একটি হলঃ ইরকাব মা’আনা (কবর পুজারী কাফের)। হুদহুদ প্রকাশন। বিক্রয়-সংখ্যাঃ ৪০ লক্ষ। আরও একটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থঃ ফি বতনিল হুত (মৃত্যুর বিছানায়)। হুদহুদ প্রকাশন। বিক্রয় সংখ্যাঃ ১৫ লক্ষ। প্রসিদ্ধ অন্য গ্রন্থটি হলঃ সারখাতুন ফি মাতআমিল জামিআ (ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে)। হুদহুদ প্রকাশন। বিক্রয় সংখ্যাঃ ১৫ লক্ষ।
ড. আরিফি একজন সুবক্তাও। তাঁর বক্তৃতায় আগুন ঝরে। সততা ও সত্য উচ্চারণে তিনি সদা নির্ভীক। বাতিলের রক্তচক্ষু স্তব্ধ করতে পারে নি তাঁর অবিচল বিদ্রোহ-চেতনা ও বজ্রকঠিন কণ্ঠস্বর। সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ ভূমিকা এবং দৃঢ় ও আপসহীন মনোভাবের কারণে ইউরোপের কিছু কিছু দেশ তাঁর ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এবং কয়েকটি দেশ তাঁর প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে। সৌদি সরকারের রোষাণলে পড়েও তাঁকে কারাভোগ করতে হয়েছে।
তাঁর বক্তৃতার বিপুল পরিমাণ অডিও-ভিডিও সিডি রয়েছে। ইউটিউবে তাঁর এসব বক্তৃতা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হচ্ছে। ইংরেজি ভাষায় তাঁর অসংখ্য বক্তৃতার অনুবাদ হয়েছে এবং অন্যান্য ভাষায়ও অনুবাদ হয়ে তা ইউটিউবের কল্যাণে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, টেলিভিশন সর্বত্র তাঁর সরব পদচারণা। ফেসবুকে তাঁর মূল আরবি পেইজের লাইক-সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ইংরেজি পেইজের লাইক-সংখ্যা ১৫ লক্ষের উপরে। টুইটারে তাঁর ফলোয়ার-সংখ্যা ১ কোটিরও বেশি। আর ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার-সংখ্যা ৬ লাখের অধিক।
ড. আরিফি জীবনের মূল কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ‘দাওয়াত ইলাল্লাহ’কে। এই লক্ষে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা করে থাকেন। তাঁর দাওয়াতে বহু লোক ইসলাম গ্রহণ করছে।
মাত্র সাতচল্লিশ বছর বয়সী আরব-অনারবে সাড়া জাগানো এ বিজ্ঞ আলেম অসংখ্য সংস্থার সদস্য, বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার উপদেষ্টা এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ‘রাবেতা আলমে ইসলামি’ ও ‘বিশ্ব মুসলিম ওলামা ঐক্য পরিষদে’র অন্যতম সদস্য।
১৯৯৩ সালে তিনি কিং সঊদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি রিয়াদের ‘আল-বাওয়ারদি’ জামে মসজিদের খতিব হিসেবে কর্মরত আছেন। শুক্রবার জুমার খুতবায় তাঁর এই মসজিদে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না।
আমরা এ মহান ব্যক্তির দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি। আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন। আমিন।
আমি তাঁর যে বক্তব্য সম্পর্কে লিখতে গিয়ে এত কথা লিখলাম, তা এখনও ইউটিউবে সংরক্ষিত আছে। আপনি আরবি লেকচার বুঝুতে পারলে তাঁর পুরো বক্তব্য না শুনে অন্য কাজে মনোযোগী হতেই পারবেন না। এ বিষয়ে আমি হলফ করে বলতে পারি। আর ইউটিউবে’র লিঙ্ক- যেটি নিচে আমি দিয়েছি, এই বক্তব্যটি তিনি এ যুগের সুশাসক মুরসির শাসনকালের শেষ সময়ে মিসরের আমর বিন আস রাযি. মসজিদে জুমআর পুর্বে প্রদান করেন। আমি দীর্ঘ বক্তব্যের চৌম্বকাংশের অনুবাদ তুলে ধরলাম। এ আরবি বক্তব্যের অংশটি অনুবাদ করলেন, ইবনে আমির হোসেন। এটি আমি মনে করি, সকল যুগেই মুমিনদের জীবনে নতুন উৎসাহের সঞ্চার করবে, নিঃসন্দেহে। আমি ইবনে আমির হোসেনের সেই কৃত আরিফি’র বক্তব্যের সেই অংশটি একটু পরিমার্জিত, সম্পাদিত ও পরিশীলিত আকারেই পেশ করছি। এছাড়া জীবনী অংশ লিখতে গিয়ে অনলাইন থেকে সহযোগিতা নিয়েছি। আল্লাহ আমার এ পরিশ্রমকে কবুল করুন। আমিন।
ড. মুহাম্মদ আল-আরিফি’র ২০১৪ সালের একটি জ্বালাময়ী ভাষণঃ
… শাম হচ্ছে ওই পবিত্রভূমি, যে ভূমি সম্পর্কে এই উম্মতের সব আলেমগণ একমত যে, মক্কা-মদিনার পর যে ভূমির সবচেয়ে বেশি ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, সেটি হচ্ছে শাম দেশ। শাম হচ্ছে সে ভূমি, যেখানে হাশরের মানুষকে একট্টা করা হবে। শাম হচ্ছে সে ভূমি, যেখানে মুসলিম বনাম কাফিরদের মাঝে প্রলয়ংকর মালহামা ( শেষ যুগের ভয়াবহ যুদ্ধ ) অনুষ্ঠিত হবে !
মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ ভয়াবহ মালহামার সময় গুতা শহরে মুসলমানদের একটি ঘাঁটি হবে, সেখানে একটি শহর আছে যার নাম দামেস্ক !!
… হে শাম, তোমার জন্যে কতই কল্যাণ ! হে শাম, তোমার জন্য কতই কল্যাণ !! হে শাম, তোমার জন্য কতই কল্যাণ !!!
এভাবে আমাদের নবী সা. বলেছেন , তখন সাহাবী রাযি. জিজ্ঞেস করলেন , কেন ?
তখন নবীজী সা. বলেন , শামের ভূমিতে রাহমানের ফেরেস্তারা ডানা মেলে আছেন !
… শামকে জিজ্ঞেস কর, ইসলামের মহান বীর খালিদ বিন ওয়ালিদ রাযি. সম্পর্কে ,
হিমসের মাটিকে জিজ্ঞেস কর খালিদের বড়ত্ব সম্পর্কে ,
জিজ্ঞেস কর , খালিদকে যখন তিনি কবরে শায়িত অবস্থায় দেখছেন ,তার সন্তানদের উপর যে বর্বরতা চলছে , তা সম্পর্কে ?
জিজ্ঞেস কর, তার কন্যাদের উপর যা ঘটছে তা সম্পর্কে ।
দেখবে, তিনি কবরে ক্রোধান্বিত হয়ে কম্পন শুরু করেছেন ।
শামকে জিজ্ঞেস কর উবাদা বিন সামিত রাযি. সম্পর্কে ! যিনি সাহাবাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন !
শামকে জিজ্ঞেস কর ইসলামের মুআযযিন বিলাল রাযি. সম্পর্কে !
বরং শামকে জিজ্ঞেস কর তিন শতাধিক সাহাবী সম্পর্কে , যারা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছেন, অথবা বসতি গেড়েছেন , অথবা জিহাদের জন্যে গিয়েছেন । অথবা কখনো সেখানে দাফন হয়েছেন ।
… হে লোক সকল ! যে সব শিশুরা আজ সিরিয়ায় জবাই হচ্ছে, তারা হচ্ছে এদের সন্তান , যেসব নারীরা সেখানে ধর্ষিতা হচ্ছে, তারা হচ্ছে খালিদের সন্তান , উবাদার সন্তান , তারা হচ্ছে এইসব সাহাবাদের সন্তানাদি ।
আর যে সব যুবকরা সেখানে অস্ত্র হাতে নিয়েছে, তারা হচ্ছে এসব বীরপুরুষদের সন্তানাদি ।
… এই হচ্ছে শামদেশ, হে লোক সকল! আমি দেখতে পাচ্ছি যে, সানাআ (ইয়ামেনের) তুফান দামেস্কের দরজায় করাঘাত করছে ।
…হে মুসলমানগণ, আমি আজ বরং বিগত তিন বছর ধরে এমন দৃশ্য দেখছি , যা বলতে জিহ্বা অক্ষম, চক্ষু যার দিকে দৃষ্টি স্থির রাখতে অপারগ !!
এক যুবতী, তাকে রাস্তার মধ্যখানে ফেলে রাখা হয়েছে , অতঃপর তার শরীর থেকে সব ধরনের কাপড় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে , অথচ সে হচ্ছে মুসলিম, সচ্চরিত্রবান এবং পর্দানিশীন। যে নারীকে পরপুরুষ জীবনে দেখে নি, স্পর্শ করে নি। এরপর প্রায় একশ (কসাই) বাশারের কুলাঙ্গার তার সম্ভ্রম লুন্ঠনে ধেয়ে আসছে । মানুষ তখন আতঙ্কে দেয়ালের পিছনে লুকায়িত। কিন্তু যখনি কোন লোক আড়াল থেকে বের হয়ে সে যুবতীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে, তাকে উঠিয়ে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এভাবে একের পর এক কয়েক যুবক এ যুবতীকে উদ্ধারে শহীদ হয়েছে !!!
আরেক ব্যক্তি, তাকে বলা হয়েছে, বল! ’বাশার ছাড়া কোন ইলাহ নেই !’
কিন্তু সে এ ঘৃণিত ঈমানবিধ্বংসী কথা বলে নি। সে বলেছে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই ।
অতএব তাকে জীবন্তাবস্থায় মাটিতে গর্ত খুড়ে দাফন দিয়েছে !!!
সে জানে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাওলা নেই ।
আল্লাহই আমাদের মাওলা , তিনিই আমাদের রব !
তিনিই এর বদলা নেবেন …
এভাবে তারা (কসাই বাশশারের বাহিনী ) নির্যাতন চালাচ্ছে ।
তারা শিশুদেরকে এক ঘরে একত্রিত করে। তারপর তাদেরকে ছুরি দ্বারা জবাই করে ফেলে পাশবিক উল্লাস করে ! অথচ এ শিশুদের বয়স এক থেকে তিন বছর !
নারীরা তাদের সন্তানদের সামনে সম্ভ্রমহারা হচ্ছে ! পুরুষদেরকে জবাই করা হচ্ছে তাদের সন্তান এবং স্ত্রীদের সামনে !
এমন কোন ভাষা আছে কি, যা এসব দৃশ্যকে চিত্রায়িত করবে ?
তারপরও তুমি কি গর্জে ওঠবে না , গর্জে ওঠ , গর্জে ওঠ …!
এসব শিশুদের দেখে তুমি গর্জে ওঠ। এসব মজলুমদের পক্ষে গর্জে ওঠ।। হিমসের নারীদের জন্যে গর্জে ওঠ।।। অসহায় ক্ষুধার্তদের জন্যে গর্জে ওঠো।।।।
কেননা গর্জনকারীদের সামনে মাটি নত হয় …
পৃথিবীটাকে গর্জনই বাঁচিয়ে রেখেছে …।
জেনে রাখ , যে সব ছুরি দ্বারা সিরিয়ার শিশুদেরকে জবাই করা হচ্ছে। ওসব ছুুরিগুলো আরও শানিত হচ্ছে আমাদেরও গর্দন কাটার জন্য !
সফবীরা (শীয়া রাফেজিরা ) মনে করে আমাদেরকে হত্যা করা, আমাদেরকে জবাই করা, আমাদের শরীরকে টুকরা টুকরা করা পুণ্যের কাজ। এর দ্বারা সওয়াব অর্জন হবে!
আমরা এমন এক নিষ্ঠুর শত্রুদের সামনে অবস্থিত, যারা পরস্পরে আমাদেরকে হত্যা করার জন্যে সহযোগিতা করছে !
তোমাদের ভায়েরা তোমাদের কাছে আর্তনাদ করছে, মসজিদসমুহ বিলাপ করছে, যেসব মিনার আল্লাহর নাম উচ্চারণের জন্যে নির্ধারিত ছিল, সেগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
তারপর এতে এমন এক পতাকা টানানো হচ্ছে, যাতে লেখা ‘ইয়া হোসাইন’…!
এগুলো দেখে কে সহ্য করতে পারে?
এরপরও কি আমরা নীরব থাকব ? গর্জে উঠব না ?
হে বিত্তশালীরা, শামের সুপুরুষরা, খালিদ বিন ওয়ালিদের সন্তানেরা, তোমাদের কাছে সাহায্যের জন্যে চিৎকার করছে …
আমি শপথ করে বলতে পারি ! আমি শপথ করে বলতে পারি !! আমি শপথ করে বলতে পারি !!!
যদি সফবীরা (শীয়া রাফেজিরা) আজ সিরিয়া যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে পারে, তাহলে অচিরেই তারা অন্য মুসলিম দেশসমুহে হাত বাড়াবে !
… গতকাল ( জুলাই মাসে) মিসরে একত্রিত হয়েছেন কয়েক শ’ আলেম এবং মুজাহিদ, তারা প্রায় পঞ্চাশটি দেশ থেকে সেখানে জড় হয়েছেন। তারা সিরিয়া নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করেছেন। তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন, যে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যে জিহাদ ওয়াজিব !!!
…জিহাদ ছাড়া এ উম্মতের কোন জীবন নেই।
জিহাদ ব্যতীত আমাদের কোন জীবন নাই ,
আল্লাহর কসম! জিহাদ ব্যতীত আমরা অপমানের শৃঙ্খল চূর্ণ করে শান্তিতে রূপ দিতে পারব না।
যখনই এই উম্মাহ জিহাদ ত্যাগ করেছে, তখনই লাঞ্ছনা তাদের উপর চেপে বসেছে এবং কাফির ও নিকৃষ্ট গোষ্ঠীরা আমাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে !!!!
বক্তব্য দেওয়ার পরের অবস্থাঃ
বক্তব্য শোনার পর নামাযের পরপরই মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরেই শ্লোগান দেওয়া শুরু করে, তাদের শ্লোগান ছিল –
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ — বাশশার আদুউল্লাহ
(আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নাই , বাশার আল্লাহর শত্রু )
এরপর বাশার আল-আসাদ শায়খ আরিফীকে হত্যার হুমকি দেয় । ইরানের শীয়া মিডিয়া ও ধর্মযাজকরা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় ।
কিছুদিন পর তিনি মিসরের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেন । তখন সৌদী দালাল রাজপরিবার তাকে কারাগারে পাঠায় । কিছুদিন পর মিসরের রাজনৈতিক বিষয়ে কথা না বলার শর্তে মুক্তি দেয়।
যারা এই বক্তব্যের ভিডিও দেখতে চান , তা নিচে প্রদত্ত হলঃ