জিয়ার গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়েঃ প্রধানমন্ত্রী।।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭।।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই ছেলে দেশের মানুষের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেছে। এটা বিদেশি সংস্থার লোক এসে সাক্ষী দিয়ে যায়। তাদের মা-ও কম যান না। এতিমের টাকা মেরে খান। গত রোববার, ৩১ ডিসেম্বর, বিকেলে যশোরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনককে হত্যার পর এ দেশ পরিণত হয়েছিল হত্যা, ক্যু, কারফিউর দেশ। লুটপাটের রাজত্বে কায়েম করা হয়েছিল এ দেশে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কারফিউ জারি করে দেশ চালাত। জিয়া কারফিউ দিয়ে ভীতিকর পরিবেশে দেশ চালাতেন।’
‘জিয়ার গণতন্ত্র ছিল যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে। যে যুদ্ধাপরাধীরা এ দেশের স্বাধীনতা চায় নি, এ দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে, পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে তুলে দিয়েছে, নৃশংসভাবে গণহত্যা চালিয়েছে, সেই যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে পুরস্কৃত করাটা ছিল জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র।’ এর আগে জনসভা মঞ্চে পৌঁছেই যশোরের উন্নয়নে ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতায় এ প্রকল্পগুলোর কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
উৎসঃ banglanews24