‘নিরাপদ যৌনজীবন’ বা ‘সেফ সেক্স’ নামের ওই পুস্তিকায় বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক করেছে এমন মেয়েদের ‘সস্তা বেশ্যা’ এবং বিয়ে ছাড়াই এক সঙ্গে থাকছে এমন যুগলকে ‘মজ্জাগত ভাবে দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যভিচারী’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এমন কি এ বইটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কেউ সমকামিতায় লিপ্ত হলে তার জন্য মৃত্যু ও নরক অপেক্ষা করছে।’

ক্রাইস্ট চার্চের পাপানুই হাই স্কুলের স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্লাসে ১৫ বছরের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এ পুস্তিকা বিলি করা হয়। এরপর এক ছাত্রের মা এ নিয়ে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে অনলাইনেও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে।  স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জেফ স্মিথ অবশ্য বলছেন, ছাত্রদের কাছে একটি উগ্র মতাদর্শকে তুলে ধরার জন্যই বইটি বিলি করা হয়েছে। যদিও এতে স্কুলের নিজস্ব আদর্শের কোন প্রতিফলন ঘটে নি বলে মন্তব্য জেফ স্মিথের। অনেকই আবার বলাবলি করল, এটি ইসলামি নীতিমালার প্রতিফলনই ঘটাল।

একটি শিক্ষনীয় ঘটনাঃ

বন্ধুদের সাথে সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়ে নিজের সতীত্ব প্রায় হারাতে বসেছিল পূজা নামে একজন যুবতী! ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বনের মধ্য দিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছিল সে। ইজ্জত সম্মান রক্ষার্থে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল পূজা। এমন সময়, এক ভদ্রলোকের সামনে পড়ে যায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছিল ভারতেই বলে কথিত আছে। যে ভদ্রলোকটি সামনে পড়ল,  তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন স্বয়ং উক্ত জায়গার ফরেস্ট অফিসার।
সবগুলো লম্পটকে উচিৎ শিক্ষা দিয়ে তিনি অবশেষে মেয়েটিকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন তিনি। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে।  কোন উপায় না পেয়ে বন অফিসারের আশ্রয়ে রাত্রিযাপন করার সিদ্ধান্ত নিল পূজা। এখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। কারণ সবাই ক্ষুধার্ত বাঘের মত তার দেহ ভোগ করতে উদ্ধত হয়। তাকে দেওয়া হল উক্ত অফিসারের রুমে থাকতে দেওয়া হল। সুন্দরী তরুণী ভয়ে ভয়ে অফিসার সাহেবের রুমে পাশের বিছানায় শুয়ে থাকল পূজা। না জানি মাঝরাতে আবার এ লোকটিও তার দেহটাকে ভোগে উদ্ধত হয়, এ ছিল তার সারাক্ষণই আশঙ্কা। ঘুমও আসছিল না, ভয়ে ভয়ে। এরিমধ্যে ফরেস্ট অফিসার রুমের মধ্যখানে পর্দা দিয়ে অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন। চোখে তো ঘুম নেই। চোখ বন্ধ করে বটে, তবে ঘুম নয়। মাঝে মাঝে চোখ মেলে দেখে নেয়  তরুণীটি- কী করছে, এ লোকটি। সেও তো এক  সময় নিশ্চয়ই লোভাতুর ব্যাঘ্রের মত তার দেহের মাংস খুঁচিয়ে তুলেই নিতে আসবে। আরে এ তো দেখি মুসলমান। সলাত কী করে আদায় করে, তার পাশের বাড়ির প্রতিবেশি মুসলিম একটি পরিবার  থেকে তার বুঝার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। সে পরিবারে মানুষদের তাদের ঘরে সলাত আদায় করতে দেখেছিল সে। শেষাবধিও মেয়েটি ফরেস্ট অফিসারের কার্যকলাপ পরখ করতে লাগল। এভাবে 
সারারাত জেগে হিন্দু মেয়েটি একজন আল্লাহ ভীরু মুসলমানের কাণ্ড কারখানা দেখতে লাগল।
রাতের প্রহর শেষ হয়ে ভোর হল। নাস্তা সেরে পূজাকে স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন অফিসার। পথিমধ্যে পূজা দু’টো প্রশ্ন করল তাঁকে।
আপনি সারারাত সলাত আদায় করে সময় কাটিয়েছিলেন কেন?
আপনার প্রতি দেহের আসক্তি থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, ভাবলেশহীন ভাবে উত্তর করল অফিসার।
আপনি তো চাইলেই আমাকে ভোগ করতেই পারতেন, আমিও হয়ত যেভাবেই হোক আপনার প্রতি কিছুটা কোমল মনোভাব পোষণ করতেও যে একদম প্রস্তুত হতাম না, তা হলফ করে বলা যায় না। কেননা আপনার বাদন্যতায় আমি মুগ্ধ হয়ে থাকতেই পারে। আর তাছাড়া যেহেতু আপনি একজন পুরুষ, আর আমি একা একজন নারী। এমন অবস্থায় তবুও তা করেন নি কেন? তীক্ষ্নভাবে প্রশ্ন ছুঁড়ে মারল তরুণী। এ সময় ভাবগম্ভীর স্বর তার।
তরুণীর দিকে একবারের জন্যও না তাকিয়েই তরুণীর প্রশ্ন শুনে উত্তর দিয়ে যাচ্ছিল  অফিসার।   এবার বলল, শুনুনঃ 
যাঁর পৌরুষত্ব আছে, তিনি পুরুষ। তা ঠিক। এরাপর যে কথাটি আমাদের মুসলমানদের বেমালুম ভুলে যাওয়া চলে না, তা হলঃ যে এটাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে হালাল কাজে নিজের পৌরুষত্বকে ব্যবহার করে, সেই উত্তম পুরুষ”। আর উত্তম পুরুষদের জন্য আল্লাহ পাক জান্নাতেরই ওয়াদা করেছেন। যেটাকে আপনারা স্বর্গ বল।
পূজা মুসলমান ছেলেটির নীতি দেখে খুবই মুগ্ধ হল। এর আগেও এমন মুসলমান সে দেখেছে, যারা মুসলমান হলেও ইসলামি নীতি অনুসরণের ধার ধারত না। এ মানুষটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।  …. এ ব্যক্তির প্রতিটি কর্মকাণ্ডে সে শুধুই মুগ্ধ হয়েছে  । মনে মনে ভাবলঃ এটিই তাহলে সত্যিকার ইসলামি জীবন ধারা ও মুসলমানের জিন্দেগির নমুনা।
কিন্তু এই সুন্দরী হিন্দু তরুনীটি নিজের ইজ্জত সম্মান রক্ষার্থে প্রতিটি দিন অবশ্য খুব যুদ্ধ করে দিন গুজরান করছে। সবাই তার দিকে লালসার দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে বলেই কেন যেন তার সারাক্ষণই মনে হতে লাগল।  নিজেকে তার কাছে বড় নিচু আর নর্তকী জাতীয় কোন মেয়ের মত মনে হল!!!
আজকাল পূজা লক্ষ্য করছে, সে কলেজে পড়ে, সে কলেজের মুসলিম মেয়েদেরকে কেউ বিরক্ত করে না। যদিওবা তারা খুবই সুন্দরী। একদিন পূজা একটি মুসলিম মেয়েকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করলঃ
:- এই যে আপু! একটু শুন!
:- জ্বী, বল….?
:- তোমার নাম কি?
:- সুমাইয়া।
:- বাহ! সুন্দর নাম তো! আচ্ছা তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
:- হ্যাঁ বল…?
:- আচ্ছা তোমাদেরকে ছেলেরা বিরক্ত করে না কেন?
:- দেখছ না দিদি, আমরা পর্দা করি?
:- পর্দা…..?
:- হ্যাঁ পর্দা…. “স্বর্ণালঙ্কার আলমারিতে তালা দিয়ে রাখলে যেমন সংরক্ষণ থাকে, পর্দা করলে নারীর ইজ্জত-সম্মানও তেমন ক্ষতি থেকে সংরক্ষণ থাকে।
এজন্য আমাদের ধর্মে পর্দাকে বাধ্যতামূলক (ফরয) করা হয়েছে। পর্দার জন্য আমাদেরকে কেউ খারাপ চোখে দেখতে পারে না, সবাই সম্মান করে।
একথা শুনে, পূজার ভিতরটা নাড়া দিয়ে উঠল। হ্যাঁ আসলেই তো কথাগুলো একদমই সত্য। কেন যে এমন ধর্মে জন্ম হল না আমার। আফসোস করছে পূজা…..।
হঠাৎ কিছুদিন পর, পূজার বাবা মারা গেল!!! কষ্টে খুবই কান্না করছে সে… পূজা দেখল, তার বাবাকে কোথায় যেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
* * এই আপনারা আমার আব্বুকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?
*  তোমার আব্বুকে দাহ্ করতে (পুড়িয়ে ফেলতে) নিয়ে যাচ্ছি….
* * কেন?

* এটাই আমাদের ধর্মের নিয়ম।
পূজা বহু বাধা দেওয়ার পরও কেউ তার কথা মানল না। অবশেষে মেয়ের সামনে বাবার সুন্দর দেহখানা আগুনে জ্বালিয়ে দিল তারা।
বাবার দেহ জ্বলার সাথে সাথে পূজার মনটাও পূড়ে ছাই হয়ে গেছে। নিজের ধর্মের প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষ দানা বেঁধে উঠল
 তার। এদিকে পূজার আম্মুও ধর্মের বেড়াজালে আটকা পড়ে বহুকষ্টে দিন অতিবাহিত করছে…

সচেতন হয়ে সে ভাবতে লাগল- এবার বোধ হয় কিছু একটা করতেই হবে…..
পূজা ছিল প্রচুর জ্ঞানী এবং বিজ্ঞান বিভাগের একজন মেধাবী ছাত্রী। তাই বহু চিন্তাভাবনা করে সমস্ত অপসংস্কৃতি থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য তার হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করল। পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন সমস্ত বাঁধন ছিন্ন করে অবশেষে শুধুমাত্র মাকে নিয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করল পূজা।
বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মুসলিমদের প্রতি ছিল তার সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধাবোধ ও অনুরাগ। কারণ ইসলামের অনেক নিয়মনীতিই ছিল তার জানা।
অতঃপর, ইসলামের সমস্ত আকীদায় মুগ্ধ হয়ে শান্তির ধর্মগ্রহণ করল পূজা। পরবর্তীতে তার নাম রাখা হয়, “লিজা”।
এভাবে পূজার মত দৈনিক অহরহ ভিন্নধর্মের মানুষ সত্য ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করছে, আলোর পথে ফিরে আসছে……। তথ্যসূত্রঃ  বিদেশি গণমাধ্যম।