স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় প্রত্যাহার হয়েছেন এক পুলিশ ফাঁড়ির সব সদস্য।।
১০ জানুয়ারি,২০১৮।।
বাংলাদেশে খুলনার বটিয়াঘাটায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করা এবং তার ভাইকে মারধর করায় গ্রামের লোকেরা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাওকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিহিত করছে পুলিশ। মঙ্গলবারের ঐ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়ির ১২জন সদস্যের সবাইকে প্রত্যাহার করার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।খবর বিবিসিপুলিশ বলছে, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় ফাঁড়ির ১২জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা ছাড়াও ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বটিয়াঘাটার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন বাইনতলা ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
তার মধ্যে একজন কনস্টেবল মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ঐ ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে শিস দেয় এবং কটু মন্তব্য করে।
এরপর ছাত্রীটি তার ভাইয়ের কাছে গিয়ে ঘটনা জানালে, তার ভাই এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে।
পুলিশ তখন তাকে ‘ফাঁড়িতে ঢুকিয়ে পিটিয়েছে’ বলে জানান নাঈমুল হক।
এরপর খবর পেয়ে বাজার সংলগ্ন গ্রাম থেকে কয়েক শত মানুষ এসে ফাঁড়ি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে আমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শকসহ ফাঁড়ির ১২ সদস্যের সবাইকে ক্লোজ করা, তদন্ত কমিটি গঠন এবং পিটুনি খাওয়া ভাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেছেন, এ ধরণের অন্যায় কাজে পুলিশের সব সদস্য জড়িত থাকে না।
‘তারপরও দুই একজন দুষ্ট সদস্য থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের যে আইনগত ব্যবস্থা আছে, সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
একে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিহিত করে নাঈমুল হক বলেছেন, এ ধরণের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘সেই সঙ্গে উত্ত্যক্তের শিকার হওয়া মেয়েটি এবং তার পরিবারকে পরবর্তীতে যাতে কোন হয়রানির শিকার না হতে হয়, সে নিশ্চয়তা দেবার দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন ’বলে উল্লেখ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা নাঈমুল হক।
আমিরপুরের বাইনতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টির পাশেই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় অবস্থিত।
ঐ ভবনের দোতলায় পুলিশ ফাঁড়ি। এখন ঐ ফাঁড়িতে নতুন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাঈমুল হক।
এর আগে গতকাল খুলনার বটিয়াঘাটায় এক পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। সে ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার ভাইকেও মারধর করা হয়। এরপর গ্রামের লোকেরা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করলে ফাঁড়ির ১২ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন বাইনতলা ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
জানা গেছে, ফাঁড়িতে দায়িত্বরতদের মধ্যে একজন কনস্টেবল মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ঐ ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে শিস দেয় এবং কটু মন্তব্য করে।
এরপর ছাত্রীটি তার ভাইয়ের কাছে গিয়ে ঘটনা জানালে, তার ভাই এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে। পুলিশ তখন তাকে ‘ফাঁড়িতে ঢুকিয়ে পিটিয়েছে’ বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ আরটিএনএন