৪০ রানী নগ্ন না হলে গোসল করতেন রাজা কিষণ সিংহ
৪০ রানী নগ্ন না হলে- আলাউদ্দিন খিলজির হাত থেকে সম্মান রক্ষার্থে স্বামীর চিতায় জ্যান্ত আত্নাহুতি দিয়েছিলেন রাজস্থানের রানী পদ্মাবতী। তার এই কাহিনি আজও ভারতীয় নারীদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
আবার সেই রাজস্থানের রাজা কিষণ সিংহের কাহিনি অবাক করে সবাইকে। ইতিহাসে আজও কুখ্যাত হয়ে আছেন এই রাজা। কেন? দেওয়ান জারামানি দাসের লেখা বই থেকে রাজা কিষণ সিংহের কুকর্মের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
১৮৮৯ সালে জন্ম রাজা কিষণ সিংহের। নারীসঙ্গ উপভোগের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করেননি এই রাজা। এ কারণে আজও তাকে ধিক্কার দেন রাজস্থানবাসী।
রাতের অন্ধকারে সুইমিং পুলে নগ্ন হয়ে স্ত্রীদের সঙ্গে গোসল করতে নামতেন কিষণ সিংহ। এটা ছিল তার প্যাশন। তার রাজমহলে ৪০ জন রানি থাকতেন। রাজার গোসলের সময় এই রানিদের নগ্ন হয়ে পুলে নামতে হতো। না হলে গোসল করতেন না রাজা!
বিলাসবহুল এই জীবনকে আরও রঙিন করতে রাজমহলের সামনে গোলাপি মার্বেলে সুইমিং পুল বানিয়েছিলেন কিষণ সিংহ। এমনকী, সেই সুইমিং পুলে যাওয়ার রাস্তা বাঁধানো হয়েছিল চন্দন কাঠে।
সুইমিং পুলে নামার জন্য চন্দন কাঠের সিঁড়িও বানানো হয়েছিল। পুলের মধ্যে ২০টি চন্দনকাঠের পাটাতন এমনভাবে রাখা হয়েছিল যে, এক একটি পাটাতলে ২জন করে রানি আরামসে দাঁড়াতে পারতেন।
রাজা কিষণ সিংহের নির্দেশে প্রত্যেক রানিকেই হাতে মোমবাতি নিয়ে পুলের সিঁড়ি থেকে একদম সিড়ির শেষ ধাপ পর্যন্ত দাঁড়াতে হতো। মোমবাতি হাতে রানিরা পুলে এসে হাজির হলে নিবিয়ে দেওয়া হত রাজপ্রাসাদের সমস্ত আলো।
রানিরা পুলের সামনে এসে দাঁড়ানোর পরে রাজা পুলে আসতেন। সুইমিং পুলে নামার সময়ে এক এক করে রানিদের পুলে ছুড়ে দিতেন রাজা। কেবল একজন রানিকে বাহুডোরে নিয়ে নিতেন। রাজা পুলে নামলে নগ্ন অবস্থায় হাতে মোমবাতি নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে হত রানিদের।
রানিদের উদ্দেশে কিষণ সিংহের কঠোর নির্দেশ ছিল, মোমবাতি যেন না নেবে। নাচের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত যে রানির হাতের মোমবাতি জ্বলত, তাকে নিয়ে নিজের খাসমহলে যেতেন রাজা। এর মানে, ওই রানি সেই রাতে রাজার সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ পেতেন।