নিউইয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।।
২০১০ সালে সারা বিশ্বে মোট ২১৭ কোটি মানুষ খ্রিষ্ট ধর্ম অনুসরণ করত৷ তারপরই ছিল ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা৷ তখন বিশ্বে মোট ১৬০ কোটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছিল৷ কিন্তু পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদন বলছে, ৫ দশক পর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের পিছনে ফেলে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি হয়ে যাবে মুসলমান৷ এটার কারণ হিসেবে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি বলছে, তা হল মুসলমানদের জন্মহার বেশি। মুসলমানদের শিশু জন্মাহার ৩ দশমিক ১ শতাংশ। আর খ্রিস্টানদের ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া ইসলাম ধর্মে তরুণ অনুসারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এ মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের বয়স ১৫ বছরের নীচে৷ অন্যদিকে ৩৪ শতাংশ ইসলাম ধর্মবলম্বীর বয়স ১৫ বছরের কম৷ তার মানে, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বেশি দিন সন্তান জন্ম দেয়ার সুযোগও বেশি৷ নারীদের ওপর ইসলাম খুব ভাল ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে বলেও বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে।
আপনি সাধারণ ভাবেও যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেন, দেখবেন নারীদের মধ্যে ইসলাম ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার লাভ করছে। আর যেহেতু পরিবারের সন্তানদের চরিত্র গঠনে নারীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সে হিসেবে নতুন যে প্রজন্ম আগামীদিনগুলোতে আসছে, তারা ইসলামি অনুশাসন ও অনুশীলনে অধিক যত্নশীল হবে।
পিউ রিচার্স সেন্টার আরেকটি জিনিস বেশি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করছে। আর তা হল, নাস্তিকের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে। এখন বিশ্বের জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ নাস্তিক। ২০৫০ সাল নাগাদ তা কমে হবে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে আরো যে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে, তা হলে, ২০১০ সাল থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে৷ এ সময়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বাড়বে ৭৩ শতাংশ৷ ফলে এক সময় স্বাভাবিক কারণেই সংখ্যায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ছাড়িয়ে যাবে ইসলাম৷ পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০৭০ নাগাদ সারা বিশ্বে মুসলমানই সবচেয়ে বেশি থাকবে৷
ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)এর একাংশ জার্মানিতে ইসলাম চর্চায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের লক্ষ্যে যে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রেখেছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ম্যার্কেল সরকার৷ জানানো হয়েছে, জার্মানিতে সবার ধর্মচর্চার সাংবিধানিক অধিকার বজায় থাকবে৷