হাসিনা বলেন,আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘বোঝানোর’ দায়িত্ব ছাত্রলীগের।
নিরাপদ সড়ক ও দুই শিক্ষার্থীকে বাসচাপায় ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘বোঝাতে’ ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বেলা দুইটায় গণভবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ দায়িত্ব দেন।
উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ২৯ জুলাইয়ের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। কোমলমতি শিশুরা কয়েকদিন ধরে রাস্তায় অবস্থান করছে, তাদের মতো আমরাও ব্যথিত। যারা এটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা যায় এ জন্য তদন্ত চলছে। শাস্তি হবেই। কিন্তু যেসব কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, তারা যেন কারো প্ররোচণায় না পড়ে। তাদেরকে বোঝাতে হবে। এ দায়িত্ব ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বকে নিতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ছাত্রলীগকে সরকারের উন্নয়ন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে নিদের্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। ছাত্রলীগের দায়িত্ব সরকারের উন্নয়নগুলো জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছানো। তোমাদের কথা মানুষ শুনবে এবং বিশ্বাস করবে।
এসময় গণভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি মো. রেজানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্চিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মো. ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. জোবায়ের হোসেন। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল।
বিডি-প্রতিদিন