হঠাৎ মূল দৃশ্যপটে কেন ড কামাল হোসেন?
মহান আল্লাহ বেশি অবগত। তবে ১/১১ এর প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে চক্ষুষ্মান লোকেরা অনুধাবন হয়ত করবে। এ রকম পরিস্থিতিতে অমনটিই হয়। দলীয় চিন্তা চেতনায় একটা প্রত্যাশা ও আবেগ এক জিনিস। আর বাস্তবতা অন্য জিনিস। ভারত এতদিন পর্যন্তও হাসিনার ব্যাপারে অনমনীয় ছিল যে, তাকে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় আনতে হবে। বাচ্চা মানুষদের আন্দোলনের পর দক্ষিণ ব্লকের অনেকই বলছে, এ পঁচা মাল নিয়ে মাথা ঘামিয়ে ভারতের মত বড় দেশের জন্য লজ্জার এক শেষ হয়ে যাবে। খোদ কংগ্রেস নেতারা, যাদের ধরা হয় আওয়ামী লীগের আদিকাল থেকে অকৃত্রিম বন্ধু, তাদের অনেকরই বিবৃতি যাদের ঠাওর হয়েছে, তারা উপলব্দি করবেন, তারা এখন আর এ রকম জনপ্রিয়তাহীন দলীয় সরকার সব দিয়ে দিলেও তারা নতুন করে ভাবছে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প কি হবে? অবশ্যই অন্য দেশগুলো চাইবে এমন ব্যক্তিকে ক্ষমতায় এনে আওয়ামী লীগের জন্য একটা বহির্গমণের সুষ্ঠু পথ বের করে দেওয়া। সেক্ষেত্রে ড কামাল হোসেনকে নিয়ে চলছে জোর কানাঘুঁষা। ইউনুস সাহেবও একমত হলেন। তিনি রাজনীতিতে এক সময় আসতে চাইলেও জনগণের হাবভাব বুঝে তিনি এখন একটু রিলাক্ট্যান্ট। ড কামালের রাজনীতির রয়েছে বিশাল অভিজ্ঞতা। সর্বোপরি আমেরিকা ও ভারতসহ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও কামাল সাহেবের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছাতে খুব জটিলতা পোহাতে হয় নি। রাজনীতি এমন এক জিনিষ, অনেক যোগ্য প্রার্থীও অনেক সময় জনগণের দারগোড়ায় পৌঁছাতে পারে না। কিন্তু তাই বলে সে ব্যক্তি তো অপাঙ্তেয় হয় না। ক্ষমতায় এমন করেই এখন আসে এবং আগেও আসত, কম বেশ। খোদ আমেরিকাতেই ট্রাম্প এসেছে জালিয়াতি করেই। ড কামাল হোসেন সম্পর্কে যতটুকু দেখা গেছে, তিনি দুর্নীতি পরায়ন নয়। সবকিছুর পর, সমস্যাটা হয় জামায়াতকে নিয়ে। গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ ও অনেক মেহনত করে জামায়াতকে এমন ভাবেে উপস্থাপন করা হয়েছে,যে এটািএকটা মৌলবাদী দল। অথচ জামায়াত কোন ভাবেই ম্যৌলবাদী দল নয়। জামায়াতের মত সংগঠন থাকলেই বরং রেডিক্যাল ইসলামিক সংগঠনগুলো ততপরতা চালাতে পারবে না। সেটিও অনেকের আলোচনায় আসছে। বিএনপি জামায়াতের সাহায্য নিতে চায়, অথচ প্রয়োজন সেরে গেলে , নেতিবাচক প্রপাগান্ডা করতেও ছাড়ে না। সেক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেউ কারো থেকে কম নয়। হয়ত উনিশ বিশ। তবে আমি যা লিখছি, তা বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু গণমাধ্যম কর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতামতের ভিত্তিতে লিখেছি। রাজনীতিতে আমার নিজস্ব একটা চিন্তা চেতনা থাকলেও যা লিখছি, আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষণ করেছি। জামায়াতের ব্যাপারে আমি এখানে একজন নেটিভ আমেরিকান বুদ্ধিজীবীর সাথে আলাপ হয়েছে। তাঁর আলোচনা আমি পরে লিখব, সেটিতে পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জামায়াত সম্পর্কে ভাল ভাবে প্রকাশ পয়েছে বলে আমি মনে করি। এক কথায় তিনি জামায়াতকে পশ্চিমারা কোনভাবেই রেডিক্যাল সংগঠনই মনে করে না। তিনি বলেন, জাময়াত, মুসলিম ব্রাদারহুড এমন সব সংগঠনকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতেই দেওয়া উচিত। তবে তিনি একটি কথা বলেছেন, যা প্রণিধানযোগ্য। তাহল, তিনি বললেন, কাজ করতে দেয়া উচিত, কিন্তু ক্ষমতার দ্বারগোড়ায় গেলে রুখে দিতে হবে। এছাড়া তিনি বললেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে আন্দোলন করলেও তাদের মধ্যে যে লোকগুলো সৃষ্টি হয়, সেটি প্রকারান্তরে ইসলামি সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি অবাকই হলাম। তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশসহ এশীয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশগুলোতে ব্যাপক সফর করেন। [বিস্তারিত পরে লিখব ইন শা আল্লাহ।]
মহান আল্লাহ বেশি অবগত। তবে ১/১১ এর প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে চক্ষুষ্মান লোকেরা অনুধাবন হয়ত করবে। এ রকম পরিস্থিতিতে অমনটিই হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক চিন্তাশীল মানুষদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায়, তা অনেক লম্বা কথায় লিখতে হয়। খুব সংক্ষেপে বলি। কেননা অনেকের হয়ত জেনে উপকার হতেও পারে। আমি যা লিখি, কোন দলের অন্ধ ভক্ত হয়ে লিখি না। আলহামদুলিল্লাহ। হাসিনাও আমার কোন বিপক্ষ শক্তি নয়। তিনি যদি সুশাসন উপহার দেন এবং দেশকে নৈরাজ্যমুক্ত করতে ন্যূনতম একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন, তাহলে তো দেশ বাঁচে, যারা সরকারে আছে, তাদের জন্যও ভাল। ১/১১ তে মঈন ফখরুদ্দিন না এনে েকি কোন উপায় ছিল। ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্য রাজপথে যে হত্যাযজ্ঞ চলল, সে সময় যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিত, তাহলে সেটা দিবালোকের মত স্পষ্ট ছিল যে, চারদলীয় জোট সরকার আবারও আসত। কিন্তু যেসব অপরকর্ম হল এবং যারা করল, তাদের ভয়ানক পরিণতি হত। সেজন্য কায়দা করে মঈন ও ফখরদ্দিন দিয়ে কিছুদিন খেলাধুলা করিয়ে আওয়ামী লীগকে আনা হল। এখন তো সে একই অবস্থা। আওয়ামী লীগ যে কারণে ক্ষমতা থেকে যেতে সাহস পায় না। এটা তো সত্য। তারা যে পরিমাণ অর্থ দরকার, কয়লা,সোনা, ব্যাংকের ভল্ট, পাথর এগুলো থেকে বিশাল অংকের অর্থ সংরক্ষণে নিয়ে সেরেছে। সেজন্য