স্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুরের ১৪৭ তম জন্মবার্ষিকী ৭ জুন।
উপমহাদেশে মুসলিম জাতিসত্তার জনক, নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুরের ১৪৭ তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৬৬ সালে ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি নবাব খাজা আহসান উল্লাহর পুত্র। নবাব সলিমুল্লাহ ছিলেন মুসলিম বাংলার নবজাগরণের পুরোধা, বঙ্গভঙ্গের মহানায়ক, প্রখ্যাত শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ। তিনি বিদেশী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে গৃহে শিক্ষালাভ করেন। কর্মজীবনে কিছুকাল ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে দায়িত্ব পালন (১৮৯৩-১৮৯৫) করার পর ১৯০১ সালে পিতার মৃত্যু হলে নিযুক্ত হন পরিবারের প্রধান (নবাব)। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তিনিই রাজনীতিতে প্রথম সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তদানীন্তন ভারতের নবগঠিত ব্যবস্থাপক সভায় কোন মুসলমান নির্বাচিত না হতে পারায় নবাব সলিমুল্লাহসহ আগা খাঁ, নবাব মুহসীনুল মুলক, নবাব ভিকারুল মুলক, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী প্রমুখ মুসলিম নেতার সাথে মিলে ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর বড়লাট (ভাইসরয়) লর্ড মিন্টোর (১৯০৫-১৯১০) সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা ব্যবস্থাপক সভা ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় মুসলমানদের আলাদা নির্বাচনের দাবি জানান। সলিমুল্লাহ মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য ঢাকায় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন আহবান (১৯০৬) করেছিলেন। মুসলিম সমাজে রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য সেই সম্মেলনে মুসলিম লীগ গঠনে নেতৃত্ব দান (১৯০৬) করেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের তিনিই প্রধান উদ্যোক্তা। তিনি আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, যা বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রতিষ্ঠাতা। তার আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার শিক্ষা বিভাগে মুসলমানদের জন্য সহকারী পরিদর্শক ও বিশেষ সাব ইন্সপেক্টরের পদ সৃষ্টি করেছিল।
আল্লাহ নবার স্যার সলিমুল্লাহর সকল ভুল ত্রুটি ও অপরাধ ক্ষমা করে দিন ও তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন।