সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্লোভ রাজনীতিবিদ ও আল্লাহর প্রিয় বান্দা।
।।কাউসার আলম।।
সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শুধু সৎ নির্লোভ রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা। জুম্মাবারের মত পবিত্র দিনে তার মৃত্যু ঘটে। এমন ওফাত ক’জনের ভাগ্যে জুটে!
সারাদেশের মতই মরহুমের আসনেও অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। তার তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে অনেক কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট পাওয়া যায় নি। কিংবা যারা ধানের শীষের এজেন্ট হয়েছিলেন, তারাও ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়ে সকাল এগারোটায়ই ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান।
মহান মুক্তিযুদ্দের অন্যতম সংগঠক এই সেই সৈয়দ আশরাফ যিনি অসুস্থতার কারণে এলাকায় যেতে পারেন নি, অর্থাভাবে পোস্টার ছাপাতে পারেন নি, তবু তিনি জয়ী হয়েছেন। তাঁর কর্মীরা জীবনবাজি রেখে বিএনপি জামাতি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয় এনে দিয়েছেন।
বিএনপি জামাতিদের যতই গা জ্বলুক, ওরা যতই হিংসা করুক, ব্যক্তিগত জীবনে এই মহান নেতা ছিলেন অসাম্প্রদায়িকতার অপূর্ব দৃষ্টান্ত। বিয়ে করেছেন ব্রিটিশ ভারতীয় শীলা ঠাকুরকে। মেয়ের নামও রেখেছেন রিমা ঠাকুর। সম্ভবত আশরাফ সাহেব এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন।
সৈয়দ সাহেব মদখোর ও সুদখোর একদম পছন্দ করতেন না। তাইতো ড. ইউনুস নোবেল বিজয়ের পর খোঁচা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কোথায় গিয়ে হোয়াইট ওয়াইন (মদ) খেলে নোবেল পাওয়া যায়, তা আমাদের জানা আছে।”
এই মহান মানুষ্টির এরকম হাজারো মহানুভবতার পরিচয় দেওয়া যাবে। লোকমুখে শোনা যায়, কিশোরগঞ্জের কেউ তার কাছে চাকরির জন্য গেলে কখনোই তিনি খালি হাতে ফেরত পাঠাতেন না। কিশোরগঞ্জের ঘরে ঘরে তিনি চাকরি দিয়েছেন।
ভাবছেঝন, তিনি এখন পরাপারে কাছে পৌঁছে কী জবাব দেবেন! ওরে বোকার দল! তোমরা নিজের চিন্তা কর। কে আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবে, সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। তিনি এবং তাঁরা যে উন্নয়ন করেছেন, সে উন্নয়নের গল্প বললেই তো হাসতে হাসতে স্বর্গে চলে যেতে পারবেন! সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মত তার সুহৃদ ও শুভাকাঙখীদেরও যেন একত্রেই স্বর্গ লাভ হয়।
সকলের স্বর্গ লাভ হোক। পৃথিবীর সব প্রাণী সুখী হোক !” সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মত এমন মহান পুরুষের জন্ম যেন বারবার হয়।
সৈয়দ আশরাফের আরও অনেক স্মরণীয় উক্তি আছে, সেগুলো এ রকমঃ
০১. ‘আ.লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, একটি অনুভূতির নাম।” -সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
০২. তথাকথিত আল্লাহর শাসন দিয়ে কিছু হবেনা–সৈয়দ আশরাফ!
০৩. ‘আমি আওয়ামী লীগের সন্তান। আওয়ামী লীগের ঘরেই আমার জন্ম। আ.লীগ যখন ব্যথা পায়, আমার তখন ব্যথা লাগে। একজন আ. লীগ কর্মী ব্যথা পেলে আমি ব্যথা পাই। আমার রক্ত আর আপনার রক্ত একই। রক্তে কোন বিভেদ নাই’।”
– আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
০৪. জাসদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধারক ও বাহকের শতভাগ ভণ্ডঃ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
০৫. আমি হিন্দুও না, মুসিলিমও না, খ্রিস্টানও নাঃ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম