সারাদিনে এর চেয়ে কম ঘুমালে বাড়বে মৃত্যুর ঝুঁকি!

October 13, 2018 11:11 pm0 commentsViews: 41

দিনে ঠিক কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত জানেন? পাঁচ, ছয়, নাকি আট ঘণ্টা?

 

ঘুম নিয়ে অনেকেই বেশ সমস্যায় থাকেন। রাত হলে সময় মতো বিছানায় যান ঠিকই কিন্তু ঘুম আসে না কিছুতেই! ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাতের প্রায় অর্ধেকটাই পার হয়ে যায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে। দিনে ঠিক কত ঘণ্টা ঘুমানো উচিত জানেন? পাঁচ, ছয়, নাকি আট ঘণ্টা? এর কোনওটাতেই রয়েছে মারাত্মক প্রাণের ঝুঁকির!

সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গিয়েছে, যারা দিনে সাত ঘন্টার কম বা তার বেশি সময় ঘুমিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে হৃযন্ত্রের সমস্যা হবার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। মার্কিন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিম্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষনার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাঁচ ঘন্টার কম যারা ঘুমান, তাদের মধ্যে স্ট্রোক, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, হার্ট অ্যাটাক-সহ আরও নানারকম শারীরীক সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুন। শুধু তাই নয়, এই গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঘুমের অনিয়মের ফলে নানা প্রাণঘাতী শারীরীক সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। এই গবেষণায় মার্কিন গবেষকেরা মোট ৩০,০০০ জন বয়স্ক মানুষকে পরীক্ষা করেন। লিপিবদ্ধ করা হয় তাদের বয়স, উচ্চতা, খাদ্যাভ্যাস-সহ আরও নানা তথ্য। এই গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সব কিছু ঠিক থাকলেও শুধুমাত্র ঘুমের অভাবের কারণে শরীরে কোনও রকম সমস্যা দেখা যায় কিনা, তা দেখা।

 এই ৩০,০০০ জনের উপর গবেষণা চালিয়ে গবেষকেরা যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন, কম ঘুম মানুষের শরীরের খাদ্য হজম আর অন্যান্য ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ইনসুলিন আর রক্তচাপের ক্ষেত্রে গড়বড় হতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষের ভেতরে তৈরি হয় নানা সমস্যা। অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লীপ মেডিসিনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, একজন পুর্ণবয়স্ক মানুষের উচিত প্রতি রাতে অন্তত ছয় থেকে সাত ঘন্টা করে ঘুমানো। তবে এ ক্ষেত্রে যদি কারও কোনভাবেই সাত ঘন্টা করে ঘুম না হয় তাহলে চেষ্টা করতে হবে কেবল শুয়ে থেকে বিশ্রাম নিতে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, সাত ঘন্টা না ঘুমোলেও সেই পরিমাণ শুয়ে থাকলেও মানুষের শরীরে যথেষ্ট পরিবর্তন আনে।

রাতের বেলায় পর্যাপ্ত ঘুমানোর ১৮ সুবিধা, যা অনেকেই জানে না

ব্যস্ত জীবনে অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমিয়ে থাকেন। রাত জেগে কাজ করা, রাত জেগে টিভি দেখা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে এখন অনেকেই অভ্যস্ত। ফলে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিন হয়ে ওঠে না। অপর্যাপ্ত ঘুমিয়ে অনেকে যে জীবনযাপন করেন, তার তুলনায় বেশি ঘুমালে জীবনযাপনে মিলবে আরো বেশি সুবিধা। পর্যাপ্ত ঘুমানোর ১৮ সুবিধা নিয়ে আলাচনা করা হলো:

সুখী রাখে: রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম সারা দিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গবেষকরা ৯০৯ জন কর্মজীবী মহিলার ওপর পরিচালিত এক গবেষণার ফলাফলে জানিয়েছেন, যারা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়েছেন তারা সারাদিন অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিলেন। অপরিমিত ঘুম, মেজাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যস্ত কর্মদিনেও মন প্রফুল্ল রেখে সুখী করে।

যৌন জীবনের উন্নতি ঘটায় : কামশক্তি কমে যায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে। ইরেক্টিল ডিসফাংসন এর মতো ভয়ানক যৌন সমস্যা তৈরি করে। ঘুম নিজে বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের টেসটোসটের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা নারী এবং পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং পর্যাপ্ত ঘুম যে আপনাকে ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করবে শুধু তা নয়, পাশাপাশি যৌন জীবনও ঠিক রাখবে।

আরো সহজে পেশী গঠনে সহায়তা করে: ফিটনেস ম্যাগাজিন এবং ফোরামগুলো সবসময় ঘুমের গুরুত্বের ওপর যে আলোচনা করে থাকে, তার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। আর তা হচ্ছে, দুর্বল ঘুমের জীবনযাপন নিয়ে মাসল (পেশী) গঠন করা যাবে না।

আপনি যখন জাগ্রত থাকেন তখন শরীরের কোষ ও টিস্যুর যে ক্ষতিগ্রস্ততা, তার অধিকাংশের মেরামত হয়ে রাতে। তাই অপর্যাপ্ত ঘুম পেশীর ক্ষয় বাড়িয়ে থাকে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: নিদ্রাজনিত সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি৷ গবেষণা দেখা যায়, যারা রাতে ৫ ঘন্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমায় তাদের ৪৫ শতাংশ হৃদ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এছাড়া রাতে যারা কম ঘুমায় তাদের উচ্চ রক্তচাপের প্রবল সম্ভবনা থাকে। যারা রাতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা বা তার চেয়ে কম ঘুমায় তাদের রক্তচাপের মাত্রা অন্যদের তুলনায় ব্যাপক তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।

আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে: পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে ভালো নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন কোনো কর্মী যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন সে ঘন ঘন আর্থিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং এর ফলে ঝুকিপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের সম্ভবনা বেড়ে যায়। গবেষকরা মতে, বড় ধরনের আর্থিক সিদ্ধান্ত বা কেনাকাটার পূর্বের রাতে অবশ্যই ভালো করে ঘুমানো উচিত।

দুর্ঘটনা রোধ করে: রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার পরিনতিতে ড্রাইভিংয়ের সময় তন্দ্রা, মনোযোগের অভাব, বিরক্তি কারণে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বেশিরভাগ সড়ক দূর্ঘটনা হয়ে থাকে, রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে। এজন্য বলা হয়ে থাক, ঘুম ঘুম চোখে গাড়ি চালানো আর মদ্যপান করে গাড়ি চালানো একই কথা। নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক।

ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়: টাইপ ২ ডায়াবেটিস এমনই মারাত্বক একটি ব্যাধি, যা থেকে আপনার স্ট্রোক, অন্ধত্ব এমনকি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ চিরতরে বিকল হয়ে যেতে পারে। অনেকে ভুল ধারণা পোষণ করে যে শুধু শরীরে মেদ বৃদ্ধিই ডায়বেটিসের কারণ। কিন্তু আপনি যতই চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী হোন না কেন, রাতে পর্যাপ্ত না ঘুমালে ডায়বেটিস হওয়ার সম্ভবনা আনেকাংশে বেড়ে যায়। একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, যারা রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের তাদের ডায়বেটিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানো মানুষের তুলনায় ১.৭ শতাংশ বেড়ে যায়। অন্যদিকে যারা পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের মধ্যে ডায়বেটিস আক্রান্ত হওয়ার হার ২.৫ শতাংশ বেশি।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে: পর্যাপ্ত ঘুম শুধু আমাদের দেহকে কর্মক্ষম রাখে না, পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও ঘুম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যত বেশি জেগে থাকবেন, দৃষ্টিশক্তি জনিত ভুল বেশি করবেন। অনিদ্রা আমাদের দৃষ্টিশক্তি দূর্বল করে দেয় এবং হ্যালুশিনেশনের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ায়।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাত জেগে কাজ করে তারা মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। বিশেষ করে যারা নাইট শিফটে কাজ করেন, তাদের ক্লোন ও ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। সুস্থ থাকলে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম জরুরি।

চিকিৎসা খরচ কমায়: আপনার ঘুম যদি পর্যাপ্ত না হয় তবে অন্যদের তুলনায় আপনার চিকিৎসার খরচ ১১ শতাংশ হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। নিদ্রাহীনতা এবং অনিদ্রা সমস্যায় যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকরা প্রতি বছর লাখ লাখ ডলার চিকিৎসা খরচে ব্যয় করছে।

মাদক থেকে দূরে রাখে: যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, যেসব কিশোরেরা পর্যাপ্ত ঘুমায় তাদের মাদকের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা কম থাকে। বয়ঃসন্ধিকালে যাদের ঘুমের সমস্যা বেশি, অ্যালকোহলে ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা তাদের বেশি থাকে।

ভালোভাবে কথা বলতে সাহায্য করে: রাতে ঠিকমতো না ঘুমানোর পরিণতিতে শুধু ড্রাইভিংয়ের সময় তন্দ্রা, মনোযোগের অভাব, বিরক্তির কারণে মারাত্বক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে তা নয়, এক গবেষণায় দেখা যায় ঘুম ঘাটতি আপনার বাচন ভঙ্গিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। যারা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমায় না তাদের তুলনায় যারা পর্যাপ্ত ঘুমায় তাদের উপস্থাপনা দক্ষতা অনেক ভালো।

ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচায়: পর্যাপ্ত না ঘুমালে শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়, ফলে ঠান্ডাজনিত ভাইরাসে সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবানা থাকে। সাধারণ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে ১৫৩ জন লোকের মধ্যে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, যারা রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছিল, তাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি ছিল।

মাইগ্রেন ও অন্যান্য মাথাব্যথা প্রতিরোধ করে: আপনি যদি হঠাৎ মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আপনার ঘুমানোর রুটিন চেক করে নিন। একাধিক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, যারা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান না, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মাইগ্রেন সমস্যায় ভোগেন।

বিরক্ত হওয়া থেকে বাঁচায়: যত কম ঘুমাবেন, তত বিরক্ত হবেন। একদিন রাতে কম ঘুমান, দেখবেন পরদিন সকালে ভালো কথাতেও বিরক্ত হচ্ছেন। ইসরায়েলের একদল গবেষক প্রমাণ করেছেন, যারা কম ঘুমান তারা যেকোনো কাজ বা কথাতে বেশি বিরক্ত হোন এবং এই বিরক্ত হওয়াটা এক সময় অভ্যাসে পরিণত হয়।

ব্যথা উপশমে সাহায্য করে: অনিদ্রা ব্যথা উপশমের অন্তরায়। শারীরিক যেকোনো ব্যথাতে যতই মেডিসিন নেন না কেন, যদি আপনি কম ঘুমান তবে আপনার ওই ব্যথা সারতে দীর্ঘ সময় লাগবে। এমনকি গবেষণায় প্রমাণিত যে, কম ঘুম অনেক মেডিসিনের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে।

ভুল কম করায়: পর্যাপ্ত ঘুম আপনাকে অনেক মারাত্মক ভুলের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা রাতে কম ঘুমান তাদের সাধারণ মানুষের তূলনায় ভুল করার সম্ভবনা ২২ শতাংশ বেড়ে যায়। যেমন: নাসার স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জার এক্সপ্লোশন এবং এক্সন ভ্যাল্ডেজ অয়েল স্পিল- দুর্ঘটনা দুইটি ঘটেছিল কর্মীদের ঘুম ঘাটতির কারণে। সুইডেনে ৫০ হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত অন্য একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা কম ঘুমান তাদের দূর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: যারা পর্যাপ্ত ঘুমায়, তাদের হার্টের সমস্যা কম থাকে। একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, যারা ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ বেশি থাকে। অনিদ্রা শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এমনকি স্বাস্থ্যবান যুবকেরা যারা মাত্র এক রাত সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন, তাদের রক্তচাপেও সাময়িক ব্যাপক তারতম্য দেখা গেছে গবেষণায়। [

নারীদেহে জরায়ু ক্যানসারের প্রধান এই ১০টি লক্ষণ! যা সকল নারীদের জানা খুব জরুরি

তন ক্যানসারের মতোই জরায়ু ক্যানসারও অনেক কঠিন একটি অসুখ । পৃথিবীতে প্রচুর নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এই রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে উত্তর ও পূর্ব ইউরোপে ২০১২ সালে প্রায় ৬৫,০০০ হাজার নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোতে ছয়টি ক্যানসার রোগের মধ্যে জরায়ু ক্যানসার সবচেয়ে বেশি আলোচিত কারণ প্রতি বছর পুরো পৃথিবীতে প্রায় ২,৫০,০০০ নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন ।

জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা এই অসুখ হওয়ার প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা না করানোর ফলে তাদের বেঁচে থাকার হার ৫০% কমে যায় । আর যারা প্রথম থেকেই চিকিৎসা করান তাদের বেঁচে থাকার সম্ভবনা থাকে ৯৫%। তবে অনেকেই মনে করেন যে এই অসুখটি হয়তো প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে হয়ে থাকে কিন্তু এটি ভুল ধারণা । যেকোন বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যানসার হতে পারে । তবে বিশেষ করে ৫০ বছর বয়স্ক কিংবা এর থেকেও বেশি বয়সের নারীরা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বেশি ।

তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে শিল্পোন্নত দেশের নারীরা বেশি জরায়ু ক্যানসারে অধিক আক্রান্ত হয়ে থাকেন । এবং অন্য দিকে আফ্রিকান, আমারিকান ও এশিয়া প্রদেশের নারীদের এই ক্ষেত্রে জরায়ু ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম সাদা চামড়ার নারীদের থেকে ।

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন… জরায়ু ক্যানসারকে ‘ সাইলেন্ট কিলার ’ বলা হয়ে থাকে কারণ এই অসুখ দেখা দিলে অনেক নারীরাই এর কিছু কিছু লক্ষণ বুঝতে পারেন না । কিংবা ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও গুরুত্ব দেন না । তাই সুস্থ থাকতে এই অসুখের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখুন ।

জরায়ু ক্যানসারের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ :

  1. নিন্মাঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করা ।
  2. গ্যাস , বদহজম , কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা খাবারের পর পেট ভর্তি লাগা , পেটে অস্বস্তি লাগা , ইত্যাদি পেটের কোন সমস্যা খুব বেশি হলে তা জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে ।
  3. অন্য সময়ের থেকে পেটে অনেক পরিবর্তন দেখা দেওয়া ।
  4. পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা ।
  5. বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া ।
  6. ক্ষুধা কমে যাওয়া ।
  7. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা ওজন অনেক বেশি কমে যাওয়া ।
  8. যৌনমিলনের সময় ব্যথা পাওয়া ।
  9. অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা ।
  10. নারীদের মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং হওয়া ।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় যে ১২টি খাবার!

শরীরের মধ্যে হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্ক হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির মধ্যে অন্যতম। এখনকার হাইস্পিড জীবনে চলতে গিয়ে দূষণ ও আরও অন্যান্য কারণে শরীরের এই দুটি অংশই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন ঘরে ঘরে হার্টের অসুখ ও স্মৃতি ভ্রমের সমস্যা। এখন আর আগেকার মতো শুধু বৃদ্ধ মানুষদেরই এই সমস্যা নেই। আট থেকে আশি সববয়সেই হার্টের অসুখ থাবা বসিয়েছে। কমবয়সী ছেলেমেয়েরাও দুর্বল স্মৃতিশক্তি, স্মৃতিভ্রমের অসুখে ভুগছে।

এখনকার দিনে প্যাকেটজাত খাবার ও দৈনন্দিন জীবনযাপন মস্তিষ্কের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আর এর সবচেয়ে বড় শিকার ছোট ছেলেমেয়েরা। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা নানাভাবে হার্টের অসুখ ও স্মৃতি দুর্বলতায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই খাবার গুলো নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।

  1. মাছঃ বিভিন্ন মাছে রয়েছে প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্ট, মস্তিষ্ক সবেরই ক্ষতি রোধ করে।
  2. খেঁজুরঃ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও অন্যান্য উপকারী উপাদান যা মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে ও হৃদরোগের রোগের সম্ভাবনা কমায়।
  3. মধুঃ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতায় কোনও খাবার সম্ভবত মধুকে টেক্কা দিতে পারবে না। সব রোগের নিরাময় করতে মধু প্রয়োজন হয়। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্য়াগনেশিয়াম ইত্যাদি। ফলে হার্ট ও মস্তিষ্কের জন্যও মধু একইরকম প্রয়োজনীয়।
  4. কালোজিরেঃ কালোজিরেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা হার্ট বা মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, মনোযোগ বাড়াতে কালোজিরে সাহায্য করে।
  5. বাদামঃ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-ই ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমায় ও হার্টকে সুস্থ রাখে।
  6. কুমড়োর বীজঃ কুমড়ো যেমন উপকারী তেমনই এর বীজে রয়েছে নানা খনিজ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমায় কমায় ও মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে তোলে।
  7. আমলকিঃ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে।
  8. কালোজামঃ কালোজামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা প্রবল ক্ষতির হাত থেকে হার্ট ও মস্তিষ্ককে বাঁচায়। একইসঙ্গে হার্টে রক্ত সঞ্চালনও বাড়িয়ে দেয় এই ফলটি।
    লাল
  9. আপেলঃ আপেলের চামড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এছাড়া এতে রয়েছে এমন উপাদান যা মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করার পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়।
  10. পেঁয়াজঃ এটি আমরা প্রায় সকলেই রোজ খাবারের সঙ্গে বা কাঁচা খেয়ে থাকি। পেঁয়াজ হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে দেয়।
  11. আখরোটঃ আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন-ই। আখরোট খেলে শিরার মধ্যের দূষিত পদার্থকে সরে গিয়ে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে যায়।
  12. পেস্তা বাদামঃ পেস্তা বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি-১ যা হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও মনে রাখার ক্ষমতা ও মনোযোগের সময়ও বাড়িয়ে দেয় পেস্তা বাদামের মধ্যে থাকা উপাদান। রক্তকে শোধিত করে হার্টকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে পেস্তা বাদাম।
  13. গমঃ গমে রয়েছে ভিটামিন-ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা মস্তিষ্কের ক্ষয় প্রশমন করে ও হার্টকে ভালো রাখে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার রক্ত থেকে কোলেস্ট্রেরল কমিয়ে দেয়।

শরীরের মধ্যে হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্ক হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির মধ্যে অন্যতম। এখনকার হাইস্পিড জীবনে চলতে গিয়ে দূষণ ও আরও অন্যান্য কারণে শরীরের এই দুটি অংশই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন ঘরে ঘরে হার্টের অসুখ ও স্মৃতি ভ্রমের সমস্যা। এখন আর আগেকার মতো শুধু বৃদ্ধ মানুষদেরই এই সমস্যা নেই। আট থেকে আশি সববয়সেই হার্টের অসুখ থাবা বসিয়েছে। কমবয়সী ছেলেমেয়েরাও দুর্বল স্মৃতিশক্তি, স্মৃতিভ্রমের অসুখে ভুগছে।

এখনকার দিনে প্যাকেটজাত খাবার ও দৈনন্দিন জীবনযাপন মস্তিষ্কের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আর এর সবচেয়ে বড় শিকার ছোট ছেলেমেয়েরা। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা নানাভাবে হার্টের অসুখ ও স্মৃতি দুর্বলতায় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই খাবার গুলো নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।

  1. মাছঃ বিভিন্ন মাছে রয়েছে প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্ট, মস্তিষ্ক সবেরই ক্ষতি রোধ করে।
  2. খেঁজুরঃ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও অন্যান্য উপকারী উপাদান যা মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে ও হৃদরোগের রোগের সম্ভাবনা কমায়।
  3. মধুঃ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতায় কোনও খাবার সম্ভবত মধুকে টেক্কা দিতে পারবে না। সব রোগের নিরাময় করতে মধু প্রয়োজন হয়। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্য়াগনেশিয়াম ইত্যাদি। ফলে হার্ট ও মস্তিষ্কের জন্যও মধু একইরকম প্রয়োজনীয়।
  4. কালোজিরেঃ কালোজিরেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা হার্ট বা মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, মনোযোগ বাড়াতে কালোজিরে সাহায্য করে।
  5. বাদামঃ বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-ই ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমায় ও হার্টকে সুস্থ রাখে।
  6. কুমড়োর বীজঃ কুমড়ো যেমন উপকারী তেমনই এর বীজে রয়েছে নানা খনিজ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কমায় কমায় ও মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে তোলে।
  7. আমলকিঃ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে।
  8. কালোজামঃ কালোজামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা প্রবল ক্ষতির হাত থেকে হার্ট ও মস্তিষ্ককে বাঁচায়। একইসঙ্গে হার্টে রক্ত সঞ্চালনও বাড়িয়ে দেয় এই ফলটি।
    লাল
  9. আপেলঃ আপেলের চামড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এছাড়া এতে রয়েছে এমন উপাদান যা মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করার পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনা কমায়।
  10. পেঁয়াজঃ এটি আমরা প্রায় সকলেই রোজ খাবারের সঙ্গে বা কাঁচা খেয়ে থাকি। পেঁয়াজ হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে দেয়।
  11. আখরোটঃ আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ভিটামিন-ই। আখরোট খেলে শিরার মধ্যের দূষিত পদার্থকে সরে গিয়ে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে যায়।
  12. পেস্তা বাদামঃ পেস্তা বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি-১ যা হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়াও মনে রাখার ক্ষমতা ও মনোযোগের সময়ও বাড়িয়ে দেয় পেস্তা বাদামের মধ্যে থাকা উপাদান। রক্তকে শোধিত করে হার্টকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে পেস্তা বাদাম।
  13. গমঃ গমে রয়েছে ভিটামিন-ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস যা মস্তিষ্কের ক্ষয় প্রশমন করে ও হার্টকে ভালো রাখে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার রক্ত থেকে কোলেস্ট্রেরল কমিয়ে দেয়।

হজমের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া যে ৬টি কার্যকরি উপায়

হজমের সমস্যায় কম বেশি সকলেই পড়ে থাকেন। একটু বেশি খেয়ে ফেললে কিংবা স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কিছুদিন পরপরই হজমের সমস্যায় পড়তে দেখা যায় অনেককেই।এই সকল হজম সমস্যা সমাধানের রয়েছে কিছু প্রাকৃতিক সহজ উপায়। কিছু ছোট্ট কাজে হজমশক্তি বাড়িয়ে নিয়ে খুব সহজেই মুক্ত থাকা যায় হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে।

  1. খাবার ভাল করে চিবিয়ে খান: অনেকেই খাবার দুয়েকবার চিবিয়ে গিলে ফেলেন। এতে করে হজমের সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই কাজটি হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই খাবার খাওয়ার সময় যতোটা বেশি চিবিয়ে খাওয়া যায় ততোই আপনার হজমের জন্য ভাল।
  2. ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান: ক্যালসিয়াম আমাদের হজমশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে কার্যকর। ক্যালসিয়াম আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতেও বেশ সহায়তা করে।
  3. প্রসেসড খাবার খাওয়া বন্ধ করুন: টিনজাত প্রসেসড খাবার খেলে হজমে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। কারণ খাবারগুলো যখন প্রসেস করা হয় তখন অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এইসকল প্রসেস করা খাবারের কারণে হজমে সমস্যা পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্র তার কর্মক্ষমতা হারাতে পারে।
  4. গ্রিন টি পান করুন: হজমশক্তি বাড়ানো এবং হজমসংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে গ্রিন টী এর তুলনা নেই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই গ্রিন টি হজমশক্তি বাড়ায় এবং আমাদের পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। যদি হাতের কাছে গ্রিন টি না পান তবে আদা চা পান করে নিতে পারেন। এতেও অনেক ভাল ফল পাবেন।
  5. ঝাল খাবার খান: গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লঙ্কার ক্যাপসাইসিন হজমশক্তি ভাল করতে অনেক বেশি কার্যকরী। খাবার বুঝে শুনে একটু ঝাল দিয়ে খেতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  6. শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন: শাক-সবজি খেলে হজমের সমস্যা আপনাআপনিই অনেকটা কমে আসে। কারণ, শাক-সবজি দ্রুত হজম হয় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। সব চেয়ে ভাল হয় যে সব সবজি কাঁচা খাওয়া যায়, সেগুলি যদি খাওয়া যায়। এতে হজমশক্তি আরও উন্নত হয়।

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com