সরকারের এ রকম কর্মকাণ্ড যথাযথ ভাবে চালিয়ে যেতে দোয়া দিলেন আল্লামা শফী।।
০২ ফেব্রুয়ারি,২০১৮
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বৈঠকের পর আল্লামা শফী হাত উঠিয়ে দোয়া করেন। এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারের সফলতা কামনা করেন।
জুমার নামাজের পর দুপুরের খাবার শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাটহাজারী মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সম্মাননা পদকও তুলে দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এটা ছিল নিছক ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’। আর কোনো বিষয় ছিল না।
বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি কোন পক্ষ থেকেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের নাস্তিক দাবি করে তাদের ফাঁসির দাবিতে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। ওই বছরের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের অবস্থানকে কেন্দ্র করে সেদিন তুলকালাম ঘটে যায়। দিনভর সংঘর্ষের পর রাতে হেফাজত কর্মীদের উচ্ছেদে ব্যাপক প্রাণহানির অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয় হেফাজত।
হেফাজত নিহতদের কোনো তালিকা দিতে না পারলেও সেই ঘটনার পর সরকারবিরোধী কট্টর অবস্থান নেয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও ওই বছরের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারে অংশ নেয় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা।
তবে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারে আসার পর ধীরে ধীরে দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব কমে আসে। আর ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে গণভবনে যান আল্লামা শফী। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাসিদকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন। সেদিন থেকে হেফাজতে ইসলামী ও সরকার আরও কাছাকাছি আসে এবং আল্লামা শফী ও সরকার খুব সখ্যতা গড়ে ওঠে। এখন থেকে সরকারের যে কোন জটিল মূহুর্তে শফী সাহেব দোয়া করে দিয়ে থাকেন।
হেফাজত প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আদালত যে নির্দেশ দেবে, সে অনুযায়ী কাজ করবে সরকার।
রায়কে ঘিরে সেদিন কোন সহিংসতার আশঙ্কা করছেন কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। তারা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না। তাই আমরা মনে করি, সেদিন কিছুই হবে না।’
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আরেকটি মাদ্রাসা জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসাকে নিয়ে যারা জঙ্গিবাদের অপবাদ দেয় তারা ভুল করে। কওমি মাদ্রাসায় ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হয়।’