সতর্ক সরকার, কঠোর হওয়ার চিন্তা
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুঁজি করে বিরোধীপক্ষ বা যে কোনো ধরনের স্বার্থান্বেষীমহল অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভেতর সরকারবিরোধী বহিরাগতরা ঢুকে স্যাবোটাজ করতে পারে বলে সরকারের কাছে গোপন রিপোর্ট রয়েছে। যে কারণে চলমান আন্দোলনের ওপর তীক্ষè নজর রাখছে সরকার। পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতাদেরও আন্দোলন-পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী রবি ও সোমবার পর্যন্ত সরকার আন্দোলন-পরিস্থিতি নজরে রাখবে। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনায় কঠোর হওয়ার চিন্তা মাথায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের রাজপথ থেকে হটাতে মৃদু কঠোরতা দেখাতে পারে।
সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র বলেছে, শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেÑ বড়রা যা পারেনি ছোটরা তা করতে পেরেছে। তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে যেসব দাবি তুলেছে তা মানতে ইতোমধ্যে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবার শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে পড়ালেখায় মনোযোগী হোকÑ এটাই এখন সরকারের চাওয়া। এজন্য সরকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পরিচালনা পর্ষদকেও অনুরোধ করছে শিক্ষার্থীদের ঘরে এবং ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে। তারপরও শিক্ষার্থীরা না ফিরলে বিকল্প পদক্ষেপগুলো নিয়ে ভাবছে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভেতর বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের সব জেলার পুলিশ সুপার ও মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করতেও বলা হয়েছে।