শেষ জামানার কিছু আলামত।।
জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন আর বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে একটি পক্ষ বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি করছেন, এই সভ্যতার শেষ আসন্ন। এর স্বপক্ষে তারা নানা যু্ক্তিও তুলে ধরছেন। বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে উড়িয়ে দিলেও এরই মধ্যে অবশ্য শক্তিমান দেশগুলো পৃথিবীর বাইরে বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান শুরু করে দিয়েছে। সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে মঙ্গলকেই তাদের পছন্দ।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম, এক্সপ্রেস ইউকে শেষ জামানার ইঙ্গিত বহন করে এমন কিছু ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। সেসব ছবি নিয়েই এবারের এ লেখার আয়োজন।
১. শুকর ছানার মানুষের মুখ! সম্প্রতি আর্জেন্টিনায় এটি জন্ম নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
২. গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ মেরুর শুভ্র বরফে হঠাৎ দেখা যায় রক্তের লাল স্রোত। চমকে যান বিজ্ঞানীরাসহ নানা মহল। এমনিতেই জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই মেরুর দীর্ঘদিনের জমে থাকা বরফ গলে যাচ্ছে। এরই মাঝে এমন রক্তস্রোতের ছবি ও তথ্য প্রকাশ পেলে বিজ্ঞানীদের মনে উদ্বেগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। পরে অবশ্য আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী জানান, বরফের ভেতর আয়রন অক্সাইড থাকার ফলে সাদা বরফ লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
৩. বৈশ্বিক জলবায়ুর ক্ষতির জন্য যে দেশগুলোর দায় সবচেয়ে বেশি, যুক্তরাষ্ট্র তার শীর্ষে। প্রকৃতিও এই দেশটির উপরেই গত ক’বছর ধরে নানা দুর্যোগ দিয়ে আসছে। চলতি বছর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে দাবানল দেখা দিলে ক্রমেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিশ্বাসীদের দাবি, সভ্যতার অন্তিম ক্ষণে যে আলামত দেখা যাবে তার মধ্যে নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য ভয়াবহ দাবানল অন্যতম।
৪. শেষ জামানার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে, শক্তিমান দেশগুলোর একগুঁয়ে শাসকেরা মরণ বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা বৃদ্ধি করবে। যেমনটা এখন দেখা যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচীকে ঘিরে। অবশ্য মিত্র চীনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর এই কর্মসূচী থেকে সরে আসছে পিয়ংইয়ং। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের কথা বলে এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
৫. কোনো কোনো প্রাচীন সভ্যতায় উল্লেখ রয়েছে, শেষ জামানায় সাগর ও মাটির নীচ থেকে বিকট আকারের অদ্ভুত সব দানব উঠে আসবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিপাইন, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, স্পেন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অদ্ভুত সব মৃত দানব দেখা যাচ্ছে। যা শেষ জামানার ইঙ্গিত বহন করছে বলেই বিশ্বাসীরা মনে করেন। সম্প্রতি ফিলিপাইনের উপকূলে এমনই এক বিশাল আকারের দানব পড়ে থাকতে দেখা যায়।
৬. অদ্ভুত এই দানবের দেখা মেলে টেক্সাস উপকূলে।
৭. নাম না জানা ভয়ঙ্কর এই প্রাণীকে পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারে।
৮. ছবির এই ভয়ঙ্কর প্রাণীটিকে দেখে অনেকে এলিয়েন বলে মতামত দিয়েছেন। তবে এটি কি ধরনের প্রাণী সে সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।
৯. মেঘের ভেতর এমন নিখুঁত চোখ দেখে অনেকেই একে ঈশ্বরের বলে দাবি করেছেন। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমেও দাবি করা হয়, পৃথিবীর শেষ সময়ে আকাশে, জলে ও স্থলে এমন সব দৃশ্য দেখা যাবে বলে বাইবেলে উল্লেখ রয়েছে।
১০. এক হারিকেনেই যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরটি মাটিতে মিশে গেছে। যদি সভ্যতার শেষ সময় চলে আসে, তবে গোটা পৃথিবীই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে, ইসলামিক স্কলারগণ গবেষণালব্ধ জ্ঞান দ্বারা দাবি করে থাকেন।
কেবিএ