‘শেখ হাসিনার দলের ডাইরেক্ট অ্যাকশন এবং অন্যদেরও সাতকাহন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশৃঙ্খলা করবেন না। ঘরের মধ্যে ঘর বানানোর চেষ্টা করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি টানানোর চেষ্টা করবেন না। শেখ হাসিনার অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন। শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারী যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল স্টেশনে পথসভায় এসব বলেন তিনি। এদিন নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশক শুরু হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যেই দিনাজপুর, রাজশাহী, বরগুনা ও সিলেটে শোকজ লেটার যাবে। উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের দাবির পেক্ষিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, একটু অপেক্ষা করুন। ঢাকা-টাঙ্গাইল অফিসগামী ট্রেনও চালু হবে। এ সময় তিনি সবার উদ্দেশ্যে জানতে চান- প্রধানমন্ত্রী তার দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন কিনা? সবাই হাত তুলে বলেন হ্যাঁ বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। সূত্রঃ পূর্ব পশ্চিম।
শেখ হাসিনার প্রশংসায় বি. চৌধুরী

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সাধারণত পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য দিতেই বেশি শোনা যায়। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার প্রধানের প্রশংসা করতে তেমন একটা দেখা মেলে না।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশ-এর ‘প্ল্যান-বি পজিটিভ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে পজেটিভ বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ জানালেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
বি চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দিন বিদেশে ছিলেন। তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশপ্রেম না থাকলে এটা হওয়ার কথা না। আওয়ামী লীগ প্রায় অসংগঠিত দলের পরিণত হয়েছিল সেই দলকে আবার সংগঠিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি খুব ভালো ছড়াও জানেন। এটা আমি জানতাম না। তিনি খুব ভালো রান্নাও করতে জানেন।
খালেদা জিয়া সম্পর্কে বি চৌধুরী বলেন, তিনি একজন গৃহিণী। সে থেকে তিনি রাজনীতি করছেন। নিশ্চয় অনেক স্বার্থ রক্ষা করেছেন। রাজপথে নেমেছেন। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য শেষ পর্যন্ত তাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। এটা তার রাজনৈতিক কৃতিত্বের ফল।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী
‘নির্বাচনী সরকার ঘোষণার ২০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার পতন’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার ঘোষণার পর ২০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচনকালীন সরকার ঘোষণার পরপরই দেশে একযোগে আন্দোলন শুরু হবে।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সকাল ১১টার দিকে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটির নেতাকর্মীরা। অসাংবিধানিকভাবে কারাগারের ভেতরে আদালত স্থানান্তরের প্রতিবাদে রাজশাহীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের মাঝে যে বিষ ঢেলেছেন, সে বিষেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন তিনি। সরকার আমাদের নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্ন ধরণের মামলা দিয়ে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু সেটা রুখে দিবে জনগণ। কারণ আমাদের এক পা কবরে শহীদি দরজা খুলে রেখেছে, অন্য পা জেলের ফুলের মালার জন্য প্রস্তুত আছে।
বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। তিনি বলেন, সরকার গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে এ সরকার আমাদের ১৯৫ নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৭৮ হাজার নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ সময় তিনি হুশিয়ারি করে বলেন, আপনারা সামরিক আদালত প্রতিষ্ঠা করে কি আমাদেরকে হত্যা করতে চান? তবে জেনে রাখুন এর ফল ভালো হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, দেশে সামরিক শাসন চলছে। এটা এরশাদের শাসনকেও ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, জেনে রাখুন, বিএনপি কোনো জেল-জুলুম ভয় করে না। বরং সরকার বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে ভয় করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মতিহার থানা সভাপতি আনসার আলী, রাজপাড়া থানা সভাপতি শওকত আলী, বোয়ালিয়া থানা সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকল, রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মুজাদ্দেদ আলী সুমন। এছাড়াও মহানগর ও থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
‘মাত্র ৩০ দিনের জন্য শেখ হাসিনার পতন চাই না’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমরা ২০-৩০ দিনের জন্য শেখ হাসিনার পতন চাই না। অল্প দিনের জন্য শেখ হাসিনা কিংবা বর্তমান সরকারের পতন চাই না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় ঐক্য সম্ভব নয়’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য সমর্থন করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমদূরত্বে রেখে জাতীয় ঐক্য গড়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
‘নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব। এছাড়া শেষ দিন পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য চাইব।’
ড. কামাল ও বি চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, ‘আমাদের ঐক্য শুভ-অশুভ হতে পারে, তবে জাতির ক্ষতি করবে না।’
জাতীয় ঐক্য আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে হতে পারে না- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন কথা যথার্থ বলেও মনে করেন এক সময়কার এই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা।
জাতীয় ঐক্যের সাথে সম্পৃক্ত নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো জাতীয় ঐক্য গঠন হয়নি। তাই কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। তারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটা তাদের বক্তব্য। আর দড়ি টানাটানি যাই হোক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে বাদ দিয়ে কিছু সম্ভব নয়।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি- বর্তমানে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে না।’
সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সেই বক্তব্য তার দেয়ার এখতিয়ার নেই। এমনকি কোনো মন্ত্রী-এমপিরও এখতিয়ার নেই। এমন বক্তব্য শুধু নির্বাচন কমিশন দেবেন।’
আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।