শিকাগোতে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ কমান্ডার নিহত

February 15, 2018 6:55 pm0 commentsViews: 37

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে ফের বন্দুক হামলায় প্রাণ গেল দুই শিক্ষার্থীর

২৪ জানুয়ারি,২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে ফের বন্দুক হামলায় প্রাণ গেল দুই শিক্ষার্থীরআন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
কেনটাকি: যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের একটি হাই স্কুলে এক কিশোরের এলোপাতাড়ি গুলিতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ হামলায় আরো ১৮ জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে রাজ্যটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট শহর বেন্টনের মার্শাল কাউন্টি হাই স্কুলে এ হামলা চালানো হয়। খবর সিএনএন, এএফপি ও বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ক্ষেত্রে এটি সর্বশেষ ঘটনা। ১৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা ওই হামলাকারী এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

কেনটাকির গভর্নর ম্যাট বেভিন জানান, বন্দুকের গুলিতে একই বয়সী দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে। নিহতরা হলেন বেইলি হল্ট ও প্রিসটন কপি। এ ছাড়া ওই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১৮ জন। তাদের মধ্যে ১২ জন গুলিতে আহত হয়।

তিনি আরো জানান, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটকের সময় সে বাধা দেয়নি। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা ও আরো বেশ কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হবে।

কেনটাকি স্টেট পুলিশ কমিশনার রিক স্যান্ডার্স জানান, এই ঘটনায় একজন ঘটনাস্থলেই ও অপরজন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫

২৮ জানুয়ারি,২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
পেনসিলভেনিয়া: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ৫জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। বন্দুকধারীরা গাড়ি নিয়ে এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

স্থানীয় সময় রবিবার পৌনে তিনটার দিকে পেনসিলভেনিয়ার মেলক্রফটে এ ঘটনা ঘটে। খবর ফক্স নিউজের।

এর আগে ১৫ নভেম্বর,২০১৭ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্কুলে হামলায় বন্দুকধারীসহ ৫ জন নিহত এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে আইনশৃংখলা বাহিনী হামলাকারীকে হত্যা করে বলে জানায় শেরিফের কার্যালয়। এ নিয়ে চলতি বছরে ক্যালিফোর্নিয়ায় চারটি বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় অন্তত ১৫জন নিহত হলো।

ওইদিন সহকারী শেরিফ ফিল জনস্টন জানিয়েছিলেন, ওই হামলাকারী তার বাড়ি থেকে গুলি করতে করতে স্কুলে ঢুকে পড়ে। এতে ৪জন নিহত হন। পরে বন্দুকধারীও পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হন।

ওইদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে র‌্যাঞ্চো তেহামা কাউন্টির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এঘটনা ঘটে।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় এক কৃষ্ণাঙ্গ বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে তিনজন নিহত হন।

ওইদিন ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেনসো শহরে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আরো একজন আহত হয়েছিলেন।

হামলাকারী আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আমেরিকান। তার নাম কোরি আলি মুহাম্মদ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ফ্রেনসো শহরের পুলিশ প্রধান জানান, কোরি মাত্র ৯০ সেকেন্ডে ১৬টি গুলি ছোড়েন। গ্রেপ্তারের পর আরবিতে সৃষ্টিকর্তা মহান বলে চিৎকার করছিলেন তিনি। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন ডায়ার।

ডায়ার বলেন, কোরি কৃষ্ণবর্ণের। তার গুলিতে হতাহত চারজনই সাদা মানুষ। এ ছাড়া কোরি সাদা মানুষকে ঘৃণা করেন, এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। এ বিদ্বেষ থেকেই তিন ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও ফ্রেনসো শহরে একটি মোটেলের নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে চেয়েছিলেন কোরি। কিন্তু তখন পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় কোরি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, তারা বন্দুক নিয়ে একজনকে দেখেছিলেন। হামলা করার মাঝে বন্দুকধারী কয়েকবার গুলি ভরে নিয়েছিলেন। তিনি প্যাসিফিক গ্যাস অজান্ড ইলেকট্রিক কোম্পানির একটি গাড়ির দিকে গুলি করেন।

এরও আগে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডিনা শহরে বন্দুকধারীর গুলিতে দুইজন নিহত হন।

ওইদিনের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরো দুইজন।

৮ জানুয়ারি রাতে প্যাসাডিনা পুলিশের এক বিবৃতিতে জানায়, ওই অতর্কিত গুলির ঘটনায় ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক যুবক ছিল। আর আহত হন ৩৮ বছর বয়সী এক নারী, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ঠিক একই সময়ে ওই সড়কের পাশে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায়, পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায় একজন গুলিতে নিহত। অন্য আরেকজন আহত হন। তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। এই দুই ঘটনার সমন্বয় করে দেখছে পুলিশ

শিকাগোতে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ কমান্ডার নিহত
শিকাগো: যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে বন্দুক হামলায় এক পুলিশ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম পল বাউয়ার (৫৩)। সেখানকার পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর প্রকাশ করেছে।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের ওই শহরটিতে এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুরুত্বর আহত হন বাউয়াল। এর পর তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

খবরে বলা হয়েছে, বিকেলে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে পুলিশ চ্যালেঞ্জ করলে ওই ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এর পর সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন থমসন সেন্টারের নিচতলায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এরই মধ্যে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে থমসন সেন্টারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত পুলিশ কমান্ডারের পরিবারের প্রতি টুইটারে এক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইলিনয়ের গভর্নর ব্রুস রনা।

যুক্তরাষ্ট্রে ২ পুলিশকে গুলি করে হত্যা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-এন্থনি মোরেলি (৫৪) ও এরিক জোয়েরিং (৩৯)। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিতে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

রাজ্য পুলিশের প্রধান জ্যো মোর্বিটজার সাংবাদিকদের জানান, দুপুরে ওয়েস্টারভিলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে গোলাগুলির খবর পেয়ে সেখানে গেলে তাদের গুলি করা হয়। এন্থনি মোরেলি ২৯ বছর ও এরিক জোয়েরিং ১৬ বছর ধরে পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

জ্যো মোর্বিটজার আরো জানান, জরুরি নম্বর ৯১১-তে কল আসার পর তারা সেখানে যান। পুলিশের ভালো কর্মকর্তাদের মধ্যে ওই দুজন ছিলেন অন্যতম। তাদের কাছে কল আসে এবং তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন। এ ঘটনায় আহত এক সন্দেভাজন পুলিশি হেফাজতে স্থানীয় হাসপাতালে রয়েছেন।

ওহাইওয়ের গভর্নর জন ক্যাসিচ বলেন, তাদের মৃত্যু শুধু ওয়েস্টারভিলের জন্যই নয়, পুরো ওহাইওর জন্য দুঃখজনক।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটে লেখেন, আমার প্রার্থনা ও সভানুভূতি রয়েছে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের পরিবার ও ওয়েস্টারভিলের সবার প্রতি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে ব্যাপক গোলাগুলি

১৪ ফেব্রুয়ারি,২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রে
ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার সকালে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি, দি গার্ডিয়ান, সিএনএনসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) প্রধান কার্যালয়ের বাইরে বুধবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে সিবিএস নিউজ। বুধবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকালের দিকে ওয়াশিংটনের যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা দপ্তরটির মূল প্রবেশ পথে একটি এসইউভি বা ভারি যানকে জোর করে থামানো হয় বলে জানায় সিবিএস।

এনএসএ-এর প্রধান কার্যালয়ে যানবাহন প্রবেশের ফটকে থাকা গাড়িটির গায়ে বুলেটের আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।

এনএসএ পুলিশ, এফবিআই ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই এলাকায় সক্রিয় আছে বলে জানিয়েছে সিবিএস।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ)-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকালে এনএসএ-র নিরাপত্তা যানের প্রবেশদ্বারে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে আর কোনও নিরাপত্তা হুমকি নেই।

এঘটনা সম্পর্কে এফবিআই এর বাল্টিমোর অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এফবিআই ঘটনাস্থলে রয়েছে। এখনি বিস্তারিতভাবে আর কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা।’

এদিকে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মেরিল্যান্ডে এনএসএ সদর দফতরের বাইরে গোলাগুলির ঘটনায় দ্রুত অ্যাকশনে যায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটকে সক্ষম হয় তারা। ওই সন্দেহভাজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

হেলিকপ্টার থেকে নেওয়া একটি টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপন দফতরের সদস্যরা ভবনের গাড়ি প্রবেশের ফটকটি সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছেন। সেখানকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন কর্মকর্তারা।

এনএসএ-র প্রবেশদ্বার সংলগ্ন রাস্তায় যান চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এ পথে আসা গাড়িগুলোকে পথনির্দেশনা দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।

এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পাঠানো তাদের হেলিকপ্টার থেকে দেখা গেছে, মেঝেতে হ্যান্ডকাপ পরে বসে আছেন এক ব্যক্তি। তাকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।

হামলার ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

এফবিআই বলছে, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এবং সেখানে আর কোনও নতুন হুমকি দেখা যাচ্ছে না। এসইউভিটি ওই জায়গায় ঠিক কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিল তা পরিষ্কার নয়।’

হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি লিন্ডসে ওয়াল্টারস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন এবং তারা হতাহতদের জন্য প্রার্থনা করছেন।’

এর দুই দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার এ ঘটনা ঘটেছিল। নিহত হয়েছিলেন-এন্থনি মোরেলি (৫৪) ও এরিক জোয়েরিং (৩৯)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

রাজ্য পুলিশের প্রধান জ্যো মোর্বিটজার সাংবাদিকদের জানান, দুপুরে ওয়েস্টারভিলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে গোলাগুলির খবর পেয়ে সেখানে গেলে তাদের গুলি করা হয়। এন্থনি মোরেলি ২৯ বছর ও এরিক জোয়েরিং ১৬ বছর ধরে পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

জ্যো মোর্বিটজার আরো জানান, জরুরি নম্বর ৯১১-তে কল আসার পর তারা সেখানে যান। পুলিশের ভালো কর্মকর্তাদের মধ্যে ওই দুজন ছিলেন অন্যতম। তাদের কাছে কল আসে এবং তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন। এ ঘটনায় আহত এক সন্দেভাজন পুলিশি হেফাজতে স্থানীয় হাসপাতালে রয়েছেন।

ওহাইওয়ের গভর্নর জন ক্যাসিচ বলেন, তাদের মৃত্যু শুধু ওয়েস্টারভিলের জন্যই নয়, পুরো ওহাইওর জন্য দুঃখজনক।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটে লেখেন, আমার প্রার্থনা ও সভানুভূতি রয়েছে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের পরিবার ও ওয়েস্টারভিলের সবার প্রতি।

যুক্তরাষ্ট্রকে হামাস মুখপাত্রের কঠোর হুঁশিয়ারি
গাজা: যুক্তরাষ্ট্রেকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ভিন্ন কৌশলে ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন থামানো যাবে না। একসময় নিজেদেরকেই লেজ গুটি নিতে হবে।

সম্প্রতি শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির এক শীর্ষ নেতা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি না দিলেও সংগঠনের শীর্ষ একজন নেতা আল জাজিরাকে বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি মার্কিন বিদ্বেষ। এদিকে একজন হামাস মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে তেহরানভিত্তিক রেডিও তেহরান জানিয়েছে, সন্ত্রাসী তালিকাভূক্ত করে কিংবা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হামাসের ইসরাইলবিরোধী প্রতিরোধ থামানো যাবে না।

ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন
২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইন্তিফাদা বা সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

ট্রাম্প আর নেতানিয়াহু’র ছবি পুড়িয়ে, আমেরিকা-ইসরাইলের পতাকা জ্বালিয়ে প্রতিরোধ শুরু করে হামাস সমর্থকরা।

বুধবার সংগঠনটির সামরিক বাহিনীর সাথে হানিয়ার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ, সশস্ত্র কার্যক্রমের ইন্ধন এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের ওপর ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার সাথে তিনি (হানিয়া) জড়িত। এছাড়া সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৭ মার্কিন নাগরিক হত্যার সাথে হামাস দায়ী। সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভূক্তির কারণে মার্কিন অর্থ বিভাগের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লেন হানিয়া। এখন থেকে তিনি মার্কিন ভিত্তিক কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা পাবেন না। যুক্তরাষ্ট্রে তার যে কোন ধরণের সম্পত্তি, ব্যবসা বাণিজ্য ও আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না তিনি।

হামাসের একজন শীর্ষ নেতা গাজী হামাদ হানিয়াকে ইসরাইলবিরোধী প্রতিরোধের প্রতীক আখ্যা দিয়েছেন। গাজা উপত্যকা থেকে তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, সংগঠনের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্বান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামগ্রিক মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনার অংশ।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্বেষ নজিরবিহীন।’ ইসরায়েলের প্রতি অব্যাহত অন্যায্য সমর্থন, জেরুজালেম নিয়ে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা থেকে মার্কিন সহায়তা কর্তনের মধ্য দিয়ে এই বিদ্বেষ জারি রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে তেহরানভিত্তিক পার্সটুডে একজন হামাস মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইসরায়েলবিরোধী যুদ্ধ না থামানোর অঙ্গীকার করেছে সংগঠনটি। হামাসের ওই মুখপাত্র বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন ইন্তিফাদা বা গণজাগরণ সৃষ্টি না করছি ততক্ষণ মার্কিন সমর্থিত এই ইহুদিবাদী নীতিকে মোকাবেলা করা যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা মার্কিন এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি আমেরিকার একদল ইহুদিবাদী লোকের চিন্তা-ভাবনার ফসল হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত। হামাসের কাছে এ সিদ্ধান্তের কোনো মূল্য নেই।

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.

Editor in Chief: Dr. Omar Faruque

Editor: Dr. Morjina Akhter

All contact: 400E Mosholu Parkway South Apt # A23,The Bronx, New York 10458, USA

Mob. 001.347.459.8516
E-mail: dhakapost91@gmail.com