ঘটনার ১৮ পর সৌদি সরকার যখন জামালের হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিল, তখন তারা তার মরদেহ সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে ঘোষণা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে এই দাবী তুললেন তুর্কি-আরব মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন এর প্রধান তুরান কিসলাকজি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গতকাল (২০ অক্টোবর) ইস্তান্বুলে সৌদি কনসুলেটের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জামালের মরদেহ হস্তান্তরের জন্যে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে এ দাবী তোলা হয়।
তুরান বলেন, “জামালের মরদেহ আমাদের হাতে দেন, যাতে আমরা তার দাফন করতে পারি। আর সেই দাফন অনুষ্ঠানে যেন জামালের ভক্তরা, বিশ্ব নেতারা অংশ নিতে পারেন।”
“আজ থেকে ঠিক ১৮ দিন আগে ইস্তাম্বুলের সৌদি কন্সুলেটে ইতিহাসের একটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল। আমরা আশা করেছিলাম (লেবাননের প্রধানমন্ত্রী) সা’দ হারিরির মত জামালও জীবিত অবস্থায় (সৌদি সরকারের হাত থেকে) বের হয়ে আসবেন। কিন্তু তার ‘নিখোঁজ’ হওয়ার তিনদিন পর আমরা আশা হত হলাম,” যোগ করেন তুরান।
তিনি খাশোগি হত্যার বিচার দাবী করে বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভেবে শুধু ১৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করলেই চলবে না। যারা এ কাজের হুকুম দিয়েছেন ও সংঘঠিত করিয়েছেন, তাদেরকেও আমরা বিচারের মুখোমুখি হতে দেখতে চাই।”
এদিকে, খাশোগির মৃত্যুর খবরে বিমর্ষ তার প্রেমিকা হাতিজে জেংগিস এক টুইটার বার্তায় বলেন, “তারা আমার পৃথিবী থেকে তোমার শারীরিক উপস্থিতিটাকে সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তোমার সেই সুন্দর হাসি আমার হৃদয়ে চিরদিন থেকে যাবে।”