রাজনীতির ওপর দুই দেশের সম্পর্ক নির্ভর করবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে সামনের দিনগুলোতে আরো টেকসই করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা বলেছেন, দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক তাদের রাজনীতির ওপর নির্ভর করবে না। বরং এর জনগণের ওপর নির্ভর করবে।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পার্টিশন পলিটিক্স : ইমপ্যাক্টস অন সোসাইটি, ইকোনমি, কালচার অ্যান্ড ইন্দো-বাংলা রিলেশনস (১৯৪৭-২০১৮)’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেক্টিভ (আরডিসি) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে দুই দেশের শতাধিক গবেষক অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্সেস (কারাকাস), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় হাইকমিশন এতে সহযোগিতা করে।
সম্মেলনে হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা বলেন, ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ পরিদর্শন করেন। তখন ভৌগোলিক সীমা বাস্তবায়ন করেছিলেন। গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারতে গিয়েছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী দুই দেশের সম্পর্ককে সোনালী অধ্যায় হিসেবে সজ্ঞায়িত করেছিলেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো কিভাবে এই সম্পর্ক সামনের দিনে টেকসই হবে। এটা রাজনীতির ওপর নির্ভর করবে না, নির্ভর করবে জনগণ ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের ওপর।
দুই দেশের মধ্যে একই সভ্যতার সম্পর্ক বিদ্যামান মন্তব্য করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক লিংকেজ রয়েছে। ৫৩ নদী আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত। সব নদী ভারত থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে আসেনি কিছু নদী বাংলাদেশ থেকে ভারতেও গিয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়, লালন ফকির তারা দুই দেশেই অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব।
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামালের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
শীর্ষ নিউজ