যে ৮ কথা সন্তানকে কখনোই বলা উচিত নয়
আপনি হয়তো বাচ্চার ভালোর জন্য তাকে বকা দিচ্ছেন, ভাবছেন একটু বকা দিলে তো কোন ক্ষতি নেই। এই একটু বকা আপনার বাচ্চার মনে খুব খারাপ প্রভাব ফেলছে। এটি তার ব্যক্তিত্বে অনেকখানি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু ব্যক্তিত্বে নয় এটি আপনাদের সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এমন কিছু কথা আছে যা বাচ্চাদের সামনে বলা উচিত নয়। অথচ অসাবধান হয়ে আমরা প্রায় সময়ই এইরকম কথা বাচ্চাদেরকে বলে থাকি। এই কথাগুলো আপনার বাড়ন্ত শিশুকে বলা থেকে বিরত থাকুন।
আমাকে একা থাকতে দাও
এটা সত্য প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কিছু সময় কাটানোর প্রয়োজন হয়। জীবনে এমন কোন এক সময় আসে, যখন সবাই একা একা থাকতে চায়। কিন্তু তাই বলে সন্তানকে সরাসরি বলবেন না, “আমাকে একা থাকতে দাও”। এটি তাদের মধ্যে নিরপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে। সে মনে করে আপনি হয়তো আর তাকে ভালোবাসেন না।
তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না
প্রতিটি মানুষের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আপনার সন্তানেও এর ব্যতিক্রম নয়। সব কাজ সে করতে পারবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যদি কোন কাজে ব্যর্থ হয়, তার মানে এই নয় যে তার দ্বারা কোন কাজ হবে না। তাকে সান্ত্বনা দিন। তার সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান করুন।
তোমার ভাই বা আপুর মত হতে পারো না?
আপনার সন্তানকে তার ভাইবোন বা কাজিনের সাথে তুলনা করবেন না। প্রতিটি সন্তানই স্বতন্ত্র। আপনার এইরূপ তুলনা তার ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলে। নিজের ভেতর হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়।
থাম! না হলে তোমাকে মারব
এই কথাটি প্রায় সব বাবা মায়েরা তার সন্তানদের বলে থাকেন। আপনি সন্তানকে মারেন কিংবা না মারেন এই কথাটি তার মনে বিদ্রোহী মনোভাব সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয় এটি বাচ্চাদের জেদী করে তোলে।
তুমি কোন কাজ ঠিকমত করতে পারো না
একজন বাচ্চার ক্ষমতা সীমিত থাকে। সে সব কাজ নিখুঁত করার চেষ্টা করে। কিন্তু সবসময় তা পারফেক্ট নাও হতে পারে। তারমানে এই নয় তাকে দিয়ে কোন কাজ হবে না।
তুমি খুব মোটা/শুকনো
কোন শিশুকে তার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। এটি তার মধ্যে নিজের প্রতি ঘৃণা তৈরি করে। তার শরীরের গঠন নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
তুমি না জন্মালে ভাল হত
রাগ করে হোক অথবা অন্য যে কোন কারণেই হোক সন্তানকে এই ধরণের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। এই একটি কথা আপনার প্রতি সন্তানের ঘৃণা তৈরির জন্য যথেষ্ট।
প্রতিটি বাবা মা তার সন্তানকে ভালোবাসে। আপনিও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু অনেক সময় আমরা এমন সব কথা বলে ফেলি যা সন্তানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ধরণের কথা বলা থেকে বিরত থাকা সম্ভব। মনে রাখবেন সন্তানের সাথে একবার সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেলে তা স্বাভাবিক করা সম্ভব হয় না।