মাহমুদুর রহমানের কাছেই ‘সাহসী’ শব্দ নিরাপদ
30 Dec, 2017
আব্দুল্লাহ আল শাহীন
আমাদের দেশে ‘সাহসী’ শব্দটা অবহেলিত কারণ উক্ত শব্দের সদ্ব্যবহার হয়না। যারফলে সাহসী শব্দটা বেশ কিছুদিন থেকে লুকিয়ে আছে। মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠিতে চাইলেও পারেনা। কারো নামের পূর্বে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনা। অন্যদিকে কখনো প্রশাসন কখনো আবার সন্ত্রাসিদের গুলির শব্দে নিজেই পালিয়ে যায়। কিন্তু এই মূল্যবান শব্দটি মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিজের কাছে আগলে রেখেছেন। শব্দটিও মাহমুদুর রহমানের নামের পাশে বেশ মূল্যায়ন পাচ্ছে। বলা যায় তার কাছে সাহসী শব্দটি অতি আদরেই আছে। শব্দটিকে কখনো অবহেলা করেন না। পাশাপাশি সাহসী শব্দটি নিরাপদে আছে। কারণ অন্যদের নামের পাশে যুক্ত হলেই নিরাপত্তা নেই। অল্পতে ভয় পেয়ে সাহসী শব্দকে বনবাসে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু মাহমুদুর রহমান সাহসী শব্দের অবমূল্যায়ন দেখলে নিজের কাছে রাখা সাহসী নামের ব্যক্তিত্বকে এগিয়ে দেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাহসী শব্দের সাথে সম্পর্ক গড়ার পরামর্শ দেন। দেশবাসীকে অধিকার আদায়ের জন্য সাহসী শব্দকে আপন করার অনুরোধ জানান।
তার নামে দেশের কোন জেলা নেই যে মামলা হয়নি। যে ব্যক্তিটি শেষ দশ বছরের প্রায় অর্ধেক সময় জেলে ছিল। যাকে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে মৃত্যুর মুখে টেলে দেওয়া হয়েছিল। যার পত্রিকায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলার বৃষ্টি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে বিমান বন্দরে এসে বলে আলাদা সুটকেস নিয়ে এসেছি কোথায় নেবেন কারাগার নাকি ডিবি অফিস? মাহমুদুর রহমান ইমিগ্রেশন কাউন্টারে গিয়ে বললেন- আমি ফিরে এসেছি। কোথায় পাঠাবেন- ডিবি অফিসে? থানা হাজতে, নাকি জেলখানায়? জেল জীবনের প্রস্তুতি হিসেবে আলাদা সুটকেস গুছিয়ে ফেরার কথাও জানালেন। পকেট খালি করে বিমানেই সব বুঝিয়ে দিয়েছেন সহধর্মিনীকে।
দেশ যখন একটি অনিশ্চয়তার পথে সেই সময়ে এমন সাহসী মানুষটির বাহিরে অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। পেশাজীবী মানুষ হয়েও দেশের সাধারণ জনগণের অধিকারের জন্য বারবার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিদেশী আগ্রাসিনের বিরুদ্ধে তার সাহসী অবস্থান সবাইকে অবাক করে। এতো গ্রেপ্তার আর জুলুম নির্যাতনের পরেও সাহসী শব্দকে পর করেন নাই।
আরেকবার যদি গ্রেপার করা হয় প্রাণ নিয়ে ফিরবেন বলে মনে হয়না। বারবার তার প্রতি যে অন্যায় করা হচ্ছে তা স্বাধীন দেশে বেমানান।
সাহসী শব্দকে রক্ষার জন্য। বিদেশী আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য, দেশ ও মাটির স্বার্থে, সাধারণ জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য হলেও স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রগমানের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
আওয়াজবিডি