মার্কিন প্রেসিডেন্টের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে ট্রাম্প তনয়া কি বলে।
নিইউয়র্ক থেকে ড. ওমর ফারুক।। স্থানীয় সময়ঃ ৩ নভেম্বর রাত নয়টা।
[অবশ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অফ উইম্যানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিন্তু বাবাকেই সমর্থন জানাল ইভাঙ্কা৷ ভুলেও বাবার নামটি নেন নি। শুধু তাই নয়, ইভাঙ্কাকে ঘিরেও ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য রয়েছে। ট্রাম্প এক সময় বলেছিলেন, ইভাঙ্কা আমার মেয়ে না হলে …..। ]
মহিলাদের যৌন হেনস্থার চরম প্রতিবাদ জানালেন ট্রাম্প তনয়া ইভাঙ্কা ট্রাম্প৷ কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের শ্লীলতাহানি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ ৩ নভেম্বর, শুক্রবার, টোকিওতে ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অফ উইম্যানের এ কনফারেন্সে এমনটাই বললেন তিনি। ইভাঙ্কা ট্রাম্প আরও বলেন, রাজনীতি এবং বিনোদনের জগতে নারীদেরকেই সবথেকে বেশি হেনস্থার শিকার হতে হয়। এটা আর মেনে নেয়া যায় না। নারীদরে ওপর সব ধরনের সহিংসতা এবং হেনস্থার চরম প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের থেকে কোন অংশে কম নয়৷ তবু, মহিলাদেরকে প্রতি পদে পদে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়৷ কিন্তু কেন এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে? কেন মহিলাদেরকে এভাবে কর্মক্ষেত্রে বারবার অবদমিত করা হবে? কর্মক্ষেত্রে কেন সম্মান পাবেন না মহিলারা? এই ধরণেরই বহু প্রশ্ন তিনি ছুঁড়ে দিয়েছেন দর্শকাসনের দিকে৷ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সমাজ নারীদের সম্মান জানাতে ভুলে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইভাঙ্কা। তিনি এই ধরনেরর পরিস্থিতির সঙ্গে নারীদের আপোষ না করারও পরামর্শ দেন। ইভাঙ্কা দু:খপ্রকাশ করে বলেন, এ সমাজের কর্মসংস্কৃতি আজ এতটাই ভয়াবহ হয়ে সেরেছে যে, নারীকে সম্মান দেওয়ার প্রয়োজন আছে,ম সে চেতানাই যেন সবাই হারিয়ে ফেলতে বসেছে।
সম্প্রতি হলিউড প্রোডিউসার হার্ভে উইনস্টেইনের যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়টি সাড়া ফেলে দিয়েছিল হলিউডে৷ এক নারী হোস্টের শ্লীলতাহানি করায় তিনি ক্ষোভের মুখে পড়েন৷ এদিকে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ব্রিটেনের ডিফেন্স মিনিস্টারও। যুক্তরাষ্ট্রে এখন স্মরণকালের যত সব বড় নারী ক্যালেঙ্কারি ও হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ হতে শুরু করেছে।
ম্যারাথন এসিয়ান ট্যুরের উদ্বোধনে দু’দিন আগেই জাপানে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও যৌন কেলেঙ্কারির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে৷ গতবছরই নির্বাচনকালীন সময়ে এক জনসভায় বিতর্কিত এবং অশ্লীল উক্তি লেখা একটি জামা পরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এক তরুণী৷ যেখানে লেখা ছিল, “Grab my p***y. I dare you.” ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ গুলোই তাকে এই ধরনের প্রতিবাদ জানাতে মদত যুগিয়েছিল৷ ২০১৬ সালে ক্যাম্পেনিংয়ের সময় ১১ জন মহিলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন৷ অশালীনভাবে শরীরে হাত দেওয়া ও চুমু খাওয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে৷ যদিও সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছিল শ্লীলতাহানির, সেই সমস্ত কিছুই মিথ্যে৷
অবশ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অফ উইম্যানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিন্তু বাবাকেই সমর্থন জানাল ইভাঙ্কা৷ ভুলেও বাবার নামটি নেন নি। শুধু তাই নয়, ইভাঙ্কাকে ঘিরেও ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য রয়েছে। ট্রাম্প এক সময় বলেছিলেন, ইভাঙ্কা আমার মেয়ে না হলে …..।
যাই হোক, ইভাঙ্কা মেয়েদের কাজকেও যথেষ্ট সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, বাইরের কোন ব্যক্তি বলবে না যে কোন মহিলাকে কোথায় কাজ করা উচিত আর কাজ না করা উচিত৷ সেটি একেবারেই কোন মহিলার নিজস্ব ইচ্ছের উপর নির্ভর করে৷
[গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অবলম্বনে]