মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শনের প্রভাব প্রবাহিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জীবিত মুজিবের চেয়েও মৃত মুজিব এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
ইতিহাস থেকে তাঁর নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। শিশু-কিশোর-যুবকসহ সকল বয়সের মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শনের প্রভাব প্রবাহিত হচ্ছে।’ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
এ সময় ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের একটি ঘৃণ্য দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের কথা ছিল। তাঁকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে সাজ সাজ রব চলছিল। কিন্তু তাঁর আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয়নি। এর আগেই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে তাঁকে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে তখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী প্রতিবাদকারীদের হত্যা করে সেই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়। দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়, যাতে কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে না পারে। সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ এখন পরিত্রাণ পেয়েছে। শিশুরা বঙ্গবন্ধুর ছবি, ৭ মার্চের ভাষণের ছবি, তাঁর দৈনন্দিন জীবনের ছবি আঁকছে। গ্রামগঞ্জ, পাড়া, মহল্লা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল, সকল ভবন ও হলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং চারুকলা অনুষদ আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।